ছবিটির ডানপাশে যে মহান মনীষীকে দেখা যাচ্ছে, তিনি হলেন শাইখ মুস্তফা সাবরী রাহ.। ওসমানী খিলাফতে তাঁর লক্বব ছিলো 'শাইখুল ইসলাম'। তিনি সেসকল হাতেগুনা আলেমদের একজন ছিলেন, যাঁরা শুরুলগ্ন থেকেই ধর্মনিরপেক্ষতার জনক বে-ঈমান আতাতুর্কের ইসলাম বিদ্বেষী ষঢ়যন্ত্র ও কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন এমনি এক কঠিন পরিস্থিতিতে, যখন বেশিরভাগ মানুষ; এমনকি আলখেল্লাধারী আলেমগন পর্যন্ত আতাতুর্কের প্রবঞ্চনার শিকার হয়ে গিয়েছিলেন!
.
.
যখন তিনি আতাতুর্কের ইসলাম বিদ্বেষী কর্মকান্ড দেখতে পেলেন, এক ঐতিহাসিক কিতাব রচনা করলেডন 'আন-নাকীরু আলা মুনকিরীন নি'মাতি মিনাদ দ্বীন ওয়াল খিলাফাহ ওয়াল উম্মাহ' নামে। উক্ত কিতাবে তিনি একটি কথা বললেন -"যারা আমাদের দেশে রাজনীতিকে দ্বীন থেকে মুক্ত করে নিয়েছে এবং তারা ওলামায়ে কিরামের জন্য রাজনীতি চর্চাকে অপছন্দ করে এই দলিলের ভিত্তিতে যে, এ রাজনীতি ওলামায়ে কিরামের জন্য অসমীচীন ও মানহানিকর, তারা মূলতঃ রাজনীতির অবমূল্যায়ন করতে চায় ও রাজনীতিকে একমাত্র তাদের জন্য কুক্ষিগত করে রাখতে চায়! তারা ওলামায়ে কিরামদের ধোঁকা দিতে চায় এবং অথর্বদের কাতারে দাঁড় করিয়ে রাখতে চায়, যাতে আলেমরা তাদের হস্তচুম্বন করে! তারা বুঝাতে চায় যে, আলেমরা সম্মানী, অতঃপর তারা যা ইচ্ছা তা করতে পারে জনগণ ও দ্বীনের ব্যাপারে!"
.
.
বাম পাশর ছবির দিকে তাকান। পাগড়িওয়ালা আলখেল্লাধারী বয়োবৃদ্ধ শাইখ! আতাতুর্কের দরবারী ভাড়াটে আলেম! এদের মাধ্যমে আতাতুর্ক তুরষ্কে প্রথমে তার ভীত মজবুত করছিলো। অবশেষ টয়লেট পেপারের মতো ছুঁডড়ে ফেলে তাদের শাহরগ চেপে ধরেছিলো। শেষ রক্ষে দেয়নি তাদেরও!
.
.
শাইখ মুস্তফা সাবরী রাহ. - আতাতুর্ক ও তার সমর্থক জনগনের তোপের মুঝে পড়েছিলেন। কিন্তু তারপরও বলেছিলেন, আলেমদের দায়িত্ব নয় জনসমর্থন আদায় করা এবং ক্ষমতাধরদের মন যুগিয়ে চলা, বরং আলেমদের দায়িত্ব হলো সত্যকে উন্মোচন করে দেয়া।
.
.
সূত্র- (تاريخ الدولة العثمانية) হতে অনূদিত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন