শুক্রবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৭

কেন আরবের সাথে (ইরান) পারস্যদের দ্বন্দ্ব ....?


আজ থেকে ১৪ শ' বছর আগেই খলীফা হযতর ওমরের (রাঃ) সময় থেকেই পারস্যের অগ্নীপুঁজারীরা তাদের অগ্নীপুঁজার কারনেই আরবদের মেনে নিতে পারেনি কারন আরবের ততকালীন লোকেরা সর্বপ্রথম অগ্নীপুঁজার বিরুদ্ধে বলেছেন, আর সেই ধারাবাহিকতা আজও চলছে।আরবের বিভিন্ন দেশে ইরান থেকে অস্র দেয়া হয় সেসব দেশের মুশরীক পন্থী শিয়াদের তারা যাতে আরবের সরকারদের বিরুদ্ধে একটা ঝামেলা তৈরি করে। তো সৌদি আরবের পার্শবর্তী দেশ যে দেশ থেকে সৌদিতে ঢুকতে কোন ভিসা লাগে না অর্থাৎ ইয়েমেন সেখানে সৌদির চির প্রতিদন্দী মুশরিক ইরানী সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাস চালাবে আর তারা চেয়ে চেয়ে দেখবে সেটা হতে পারে না।ইরান শুধু সৌদির পার্শবর্তী দেশ নয় বরং সৌদি আরবের ভেতরে আল কাতিফ প্রদেশের শিয়াদের দ্বারাও সৌদি আরবে একটা ঝামেলা পাকাতে চেয়েছিল যেটা সবাই জানে।এখন কথা হচ্ছে আরব দেশগুলতে যেভাবে শাসন ব্যাবস্থা চালু আছে সেটা ঠিক আছে যার কারনে আমার বাংলাদেশের কোটি মানুষ এখানে তাদের জীবিকা অর্জন করতে পারছে কিন্তু আরব দেশগুলো কখনই ইরানের সঙ্গ দেয়নি ভবিষ্যতে দিবে বলে মনেও হয় না তাই আমেরিকা-ইসরাইল যেভাবে আরব দেশগুলো ভেঙ্গে ফেলতে চায় ঠিক একই ভাবে মুশরিক পন্থী ইরানও আরব দেশগুলোতে গোলযগ তৈরি করতে চায় তার স্বার্থ আদায়ের জন্য। আজ আমাদের অনেক মুর্খ মুসলিমকে দেখা যায় যে ইরানকে মুসলীম বিশ্বের নেতা মনে করে বসে আছে অথচ যে মুসলীম না সে আবার কেমনে মুসলীম বিশ্বের নেতা হয়...? ইরান ইসলামের জন্য সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে না তাদের আসল উদ্দেশ্য হল কবর ও বারো ইমাম পুজারী খমিনীর মৃত্যুর সময়ে অসিয়াত করে যাওয়া "ইসনা আশারিয়্যা" নামক কুফরী মতবাদ মুসলীম দেশগুলোতে ছড়ানো।
একটু লক্ষ করলেই বুঝবেন দেখুন আরবের বিভিন্ন দেশে যত যুদ্ধ হচ্ছে সবখানেই ইরান তার স্বার্থের জন্য লড়ছে, ইরাকে আমেরিকা হামলা করলো তখন তারা চুপ ছিল কেন...? সৌদি রাজপরিবার আমেরিকার গোলাম সেজন্য তারা তো চুপ থাকবেই কিন্তু ইরান চুপ ছিল কেন...? ইয়েমেনের কথা তো বললামই, সিরিয়ায় ৫ লক্ষাধিক মুসলীমদের খুনী আসাদকে কিভাবে অস্র ও সৈন্য দিয়ে সাহয্য করেছে অথচ আসাদ কালিমা পর্যন্ত পরিবর্তনকারী একজন মুশরীক কাফির, কেন আপনি দেখেন নি সেই সিরিয়ার মুসলীম মেয়েরা বিশ্ব আলেমদের কাছে চিঠি লিখেছিল এই মর্মে যে কাফির আসাদ বাহিনীর ধর্ষনের হাত থেকে বাঁচতে আত্মহত্যা জায়েজ আছে কিনা একটু ভাবুন পরিস্থিতি কোথায় গেলে এমনটা হতে পারে,
আফগানিস্তানে আমেরিকার আগ্রাসনের সময় তালিবান বিরোধী সেই শীয়া গুলফুদ্দীন হেকমতিয়ারের উত্তরাঞ্চলীয় জোটকে এই ইরান সাহায্য করেছিল, মানে দাড়ালো আমেরিকা যাদের ওপরে ভর করে আফগানে ঢুকলো সেই জোটকে ইরানও মদদ করেছিল কেন...? তালেবানরা মুসলীম (সুন্নী) ছিল বলে।
বর্তমানে মুসলীম বিশ্বে সবচেয়ে নির্যাতিত জনগোষ্ঠী হচ্ছে আরাকানের মুসলীমরা অথচ আরাকানের ব্যাপারে ইরানের ভুমিকা কি..? আরাকানে যতটুক করছে তা তো সেই আমেরিকার দালাল হিসেবে পরিচিত সৌদিই করছে, আরও ৭০ বছর আগেই বাদশা আব্দুল আজীজই সর্বপ্রথম আরাকান নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কথা বলেছেন, প্রায় ৫ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা যারা সৌদিতে নাগরিকত্ব পেয়েছে, আজও আরাকান স্বাধীনের জন্য "ফ্রী আরাকান স্যালভেশন" এবং অন্যান্য যতগুলো সশস্র গ্রুপ আছে সবগুলো মূলত সৌদি আরব থেকেই পরিচালিত হয়, দেখবেন কিছুদিন আগেও মিয়ানমার সরকার ৭ সৌদি নাগরিকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগ এনে তাদের নাম কালো তালিকাভুক্ত করেছে কিন্তু যারা ইরানকে মুসলীম বিশ্বের নেতা মনে করছেন তাদের কাছে আমার প্রশ্ন আরাকানে ইরান কি করছে...? ইরান, রাশিয়া ও চিন আরাকান ইস্যুতে একই সুরে কথা বলেছিল কারন আরাকানে নির্যাতিতরা মুসলীম শীয়া নয় তাই ইরানের স্বার্থও সেখানে নেই। সুতরাং মুসলীম মুসলীমদের জন্য লড়ছে এবং লড়বে যেটা সৌদি আরব আজীবন করে আসছে হয়তো মাঝে দু'এক শাসক আসবে ভিন্ন রকম কিন্তু ইরান তো মুসলিম নয় সে কোন দিনও মুসলীমদের জন্য লড়বেও না সেটা আপনি বুঝেন আর না বুঝেন মানতেই হবে।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন