♥ হযরত আনাস ইবন মালিক রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি আমার সাহাবিকে গালি দেবে বা সমালোচনা করবে, তার উপর আল্লাহ, ফেরেশতা ও সকল মানুষের অভিশাপ। আল্লাহ তার নফল ও ফরয কিছুই কবুল করবেন না।’ (তবরানী-২১০৮, সহিহুল জামে- ৬২৮৫, সিলসিলাতু আহাদীসিস-সাহিহাহ- ২৩৪০, শাইখ আলবানি হাদিসটাকে 'হাসান' সাব্যস্ত করেছেন)
♥ হাসান বসরি রহ. কে বলা হল, হে আবু সাইদ! কিছু লোক তো হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর ও মুয়াবিয়া রা. কে অভিশাপ দেয় বা গালি দেয়/নিন্দা করে! জবাবে হাসান বসরি বললেন, এদের উপর আল্লাহর লা'নত। (তারীখু দিমাশক, ৫৯/২০৬, হাফিয ইবনে আসাকির)
♥ আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মুয়াবিয়া রা. আমাদের কাছে একজন পরীক্ষার পাত্র। যে ব্যক্তিকে আমরা তার প্রতি বক্রদৃষ্টিতে তাকাতে দেখি, তাকে আমরা গোটা জামাতে সাহাবার ব্যাপারে কুধারণাকারী হিসেবে অভিহিত করি। (তারীখু দিমাশক- ৫৯/২১১, হাফিয ইবনে আসাকির)
♥ রাবি বিন নাফে আল-হালাবি রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মুয়াবিয়া রা. সাহাবায়ে কেরামের পরদা। সুতরাং যে ব্যক্তি এই পরদাকে উন্মোচন করবে, সে পরদার অভ্যন্তরে প্রবেশ করার স্পর্ধা দেখাবে। (তারীখু দিমাশক- ৫৯/২১০, হাফিয ইবনে আসাকির)
♥ ইবরাহিম বিন মাইসারাহ রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি উমর ইবনে আব্দুল আজিজ রহ. কে কাউকে প্রহার করতে দেখিনি। তবে তাকে একজন ব্যক্তিকে প্রহার করতে দেখেছি, তিনি তাকে চাবুক দিয়ে কয়েকটা ঘা লাগিয়েছেন। কেননা ঐ ব্যক্তি মুয়াবিয়া রা. কে গালি দিয়েছিল। (তারীখু দিমাশক- ৫৯/ ২১১, হাফিয ইবনে আসাকির)
♥ ইমাম মালিক রহ. বলেন, যে ব্যক্তি কোন একজন সাহাবি যেমন আবু বকর অথবা উমর বা উসমান কিংবা আলি অথবা মুয়াবিয়া বা আমর ইবনে আস রা. কে গালি দিবে/ নিন্দা করবে, তাকে উচিত শাস্তি দিতে হবে। (আশ-শিফা ফী হুকুকিল মুস্তফা- ২/২৬৭, ইমাম কাজি ইয়ায রহ.)
♥ আব্দুল মালিক আল-মাইমুনি রহ. বলেন, আমি আবু আব্দুল্লাহ আহমদ ইবনে হাম্বল রহ. কে বলতে শুনেছি যে, মুয়াবিয়া রা. কে নিয়ে আলোচনা করার কী দরকার? এ ব্যাপারে আমরা আল্লাহর কাছে মার্জনা চাই। (আস-সুন্নাহ লিল খল্লাল- ২/৪৩২, ইমাম আবু বকর আহমদ বিন মুহাম্মদ আল খাল্লাল)
♥ ইবনে হানি নেশাপুরি রহ. বলেন, জনৈক ব্যক্তি ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহ. কে প্রশ্ন করল, যে ব্যক্তি মুয়াবিয়া রা. কে গালি দিবে বা নিন্দা করবে, তার পিছনে কি নামাজ পড়া যাবে? উত্তরে ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহ. বলেন, না! তার পিছনে নামাজ পড়া যাবেনা। এখানে কোন কল্যাণ নাই। (মাসাইলু ইবনি হানি আন-নাইসাবুরি- ১/৬০, তাবাকাতুল হানাবিলাহ- ১/২৮৫)
♥ আবু বকর বিন হুবাইশ বিন সিন্দি রহ. বলেন, আবু আব্দুল্লাহ আহমদ ইবনে হাম্বল রহ. এর কাছে জনৈক ব্যক্তি আগমন করে বলল, আমার একজন মামা আছেন, যিনি আমীরে মুয়াবিয়া রা. কে গালি দেন/ নিন্দা/ সমালোচনা করেন। অনেক সময় আমি তার সাথে খাওয়াদাওয়া করি। তা কি জায়েজ আছে? এ কথা শুনে ইমাম আবু আব্দুল্লাহ আহমদ ইবনে হাম্বল রহ. তৎক্ষণাত জবাব দিলেন, ঐ ব্যক্তির সাথে তুমি খাওয়াদাওয়া করোনা। (فضائل معاوية, পৃষ্ঠা- ১৩, ইমাম ইবনে হাজার আল-হাইতামি ও السنة للخلال, খন্ড- ২, পৃষ্ঠা- ৪৪৮, ইমাম আবু বকর আহমদ বিন মুহাম্মদ আল-খাল্লাল)
♥ শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়া রহ. কে জিজ্ঞেস করা হল যে, ঐ ব্যক্তির হুকুম কি, যে মুয়াবিয়া রা. কে গালি দিবে/নিন্দা করবে? উত্তরে তিনি বললেন, যে ব্যক্তি কোন একজন সাহাবি যেমন মুয়াবিয়া বা অন্য কোন অধিক উত্তম সাহাবিকে গালি দিবে/নিন্দা করবে, উলামায়ে কিরামের ঐক্যমতানুসারে ঐ ব্যক্তিকে চরমভাবে শাস্তি দিতে হবে। (মাজমুউল ফাতাওয়া- ৩৫/ ৫৮, তারীখু দিমাশক-১৬/২৩)
:
:
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন