শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৭

শুধু আফসোস!! আর দুঃখ লাগে!! আমরা এটাই বলে দোয়া করি। هداهم الله جميعا.


সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের ইসরাইলপ্রীতি মধ্যপ্রাচ্যকে বদলে দিচ্ছে। তাঁর উদার ভালোবাসার বদৌলতে গত সপ্তাহে সৌদিআরবে অনুষ্ঠিত একটি যুব সম্মেলনে ইসরাইল থেকে এসেছিলেন ইহুদি ব্লগার বিন তিসইউন। শুধু রিয়াদ কিংবা জেদ্দা নয়, বরং বেশ আমেজে এই ইহুদি ঘুরে গেছেন মদিনায় অবস্থিত মসজিদে নববি থেকে। অথচ যুগ যুগ ধরে অমুসলিমদের জন্য প্রবেশ নিষিদ্ধ সেখানে। 
ফুরফুরে মেজাজে ইহুদি এই তরুণ সৌদিআরবের পতাকা গায়ে জড়িয়ে তলোয়ার হাতে স্থানীয়দের সঙ্গে নাচ-গানে অংশ নিয়েছেন, সৌদি যুবতীদের সঙ্গে ছবি তুলে তাদের অতি রূপবতী ও সুন্দরী হিসেবে বর্ণনা করেছেন নিজ ইনস্টাগ্রামে। সৌদিআরব ও ইসরাইলের এমন প্রীতি ও ভালোবাসার এই তো মাত্র শুরু!
উদার হতে চলা সৌদিআরবের নতুন এই পালাবদলের হাওয়ায় উৎসবের বন্যা বইছে ইসরাইলে। এর প্রমাণ মেলে গত সপ্তাহে যখন ইসরাইলের একজন মন্ত্রী সৌদিআরবের গ্র্যান্ড মুফতিকে ইসরাইল সফরের আমন্ত্রণ জানালেন। কারণ, সৌদি গ্র্যান্ড মুফতি ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা অবৈধ হিসেবে ফতওয়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। আর গত পরশু ইসরাইলের জ্বালানি মন্ত্রী যখন সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, সৌদিআরবের সঙ্গে তাঁদের গোপন সম্পর্ক রয়েছে, তখন বোঝা যাচ্ছে, ফিলিস্তিনকে গলা টিপে হত্যার সব আয়োজন স্বয়ং তদারকি করছেন যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান।
সৌদিআরব আমাদের নয়, এটি আলেসউদের সম্পত্তি। এ নিয়ে আমাদের কিছু বলবার নেই। কিন্তু মক্কা-মদিনা আমাদের, এক ইসরাইলি ইহুদি কেন এবং কার ছত্রছায়ায় ঢুকে গেল এই সীমানায়- জানতে চাওয়ার অধিকার রয়েছে আমাদের।
নিউজের সত্যতা বা লিংক জানতে চেয়ে কেউ বিরক্ত করবেন না আশা করি। ইনস্টাগ্রামে (ben.tzion) লিখে ওই তরুণের একাউন্টে গেলে তাঁর ছবি ও বর্ণনা দেখতে পারবেন। আমার এখানে নয়।
সূএঃ তামিম রায়হান

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন