প্রথমে বলে রাখা দরকার যে, কাদিয়ানিদের দৃষ্টিতে ইমাম ইবনে কাইয়ুম (রহঃ) ছিলেন সপ্তম শতাব্দির মুজাদ্দিদ। (দেখুন মির্যা খোদা বখশ কাদিয়ানী রচিত 'আছলে মুছাফফা' ১/১৬৪)।
স্বয়ং মির্যা কাদিয়ানী সাহেব লিখেছেন - ইবনে কাইয়ুম (রহঃ) তদানীন্তন সময়ের একজন মুহাদ্দিস, মুফাসসির এবং যুগের ইমাম ছিলেন। (রূহানী খাযায়েন ১৩/২২১)।
এবার আমরা ইবনে কাইয়ুম (রহঃ) -এর বক্তব্য জানব। ইবনে কাইয়ুম (রহঃ) লিখেছেন :
[১] وہذا المسیح ابن مریم حی لم یمت وغذأہ من جنس غذاء الملئکۃ অর্থাৎ মাসীহ ইবনে মারিয়াম তিনি জীবিত, মৃত্যুবরণ করেননি। ফেরেশতাদের (আধ্যাত্মিক) খাবারের মতই তাকেও খাওয়ানো হয়। (দেখুন - কিতাবুত তিবইয়ান, ইবনে কাইয়ুম কৃত)।
[২] ইমাম ইবনে কাইয়ুম (রহঃ) তিনি আরো লিখেছেন :
المسلمین الذی ینتظرو نہ ہو عبداﷲ ورسولہ وروحہ وکلمتہ القاہا الی مریم العذراء البتول عیسیٰ ابن مریم اخو عبداﷲ ورسولہ محمد بن عبداﷲ فیظہر دین اﷲ وتوحیدہ ویقتل اعداء الدین اتخذوہ وامہ الٰہین من دون اﷲ واعداء لا الیہود الذین رموہ وامہ بالعظائم فہذا ہو الذی ینتظرہ المسلمون وہو نازل علی المنارۃ الشرقیہ بدمشق واضعاً یدیہ علی منکبی ملکین یراہ الناس عیاناً بابصارہم نازلاً من السماء فیحکم بکتاب اﷲ وسنۃ رسولہ‘‘
(ہدایہ الجباری مصنفہ امام ابن قیمؒ)
অর্থাৎ মাসীহ'র জন্য মুসলমানরা অপেক্ষা করতেছে। তিনি আল্লাহ'র বান্দা এবং আল্লাহ' রাসূল। তিনি আল্লাহ'র রূহ এবং আল্লাহ'র ওই কালিমা যা তিনি মারিয়াম (আ)-এর প্রতি নাযিল করেছেন। অর্থাৎ ঈসা ইবনে মারিয়াম আল্লাহ'র বান্দা এবং আল্লাহ'র রাসূল হযরত মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ (সা)-এর একজন ভাই (হাদিসে এসেছে, নবীগন পরস্পর বৈপিত্রেয় ভাই)। তিনি আল্লাহ'র দ্বীন এবং তাওহীদকে জয়ী করবেন এবং নিজ দুশমনদের (লড়াইয়ের মাধ্যমে) হত্যা করবেন, যারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে তাঁকে এবং তাঁর মাতাকে উপাস্য বানিয়েছে।
আর তিনি সেসব ইহুদী দুশমনদের হত্যা করবেন যারা তাঁর উপর এবং তাঁর মাতার উপর অপবাদ রটিয়েছে। তিনিই হলেন মাসীহ যার অপেক্ষায় মুসলমানগন রয়েছেন। তিনি দামেস্কের পূর্ব দিকে সাদা মিনারার উপর এমন অবস্থায় নাযিল হবেন তখন তাঁর দুই হাত ফেরেশতার পাখার উপর রাখা হবে। লোকেরা তখন স্বচক্ষে তাঁকে আসমান থেকে অবতরণ করতে দেখবেন। তিনি আল্লাহ'র কিতাব এবং রাসূলের সুন্নাত দ্বারা বিচার পরিচালনা করবেন।" (দেখুন, হিদায়াতুল জাব্বারী ; লেখক ইমাম ইবনে কাইয়ুম)।
উপরের বক্তব্য দ্বারা ইবনে কাইয়ুম (রহঃ) -এর আকিদা সুস্পষ্ট হয়ে গেছে। কারণ সেখানে তিনি সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, ঈসা (আ) তিনি আকাশে জীবিত আছেন। তিনি ফেরেশতার পাখার উপর হাত রেখে যখন নাযিল হবেন তখন সমসাময়িককালের মুসলমানরা সেটি স্বচক্ষে দেখবেন।
[৩] এবার কাদিয়ানিরা ইবনে কাইয়ুম (রহঃ) -এর যে বক্তব্যটি তাদের পক্ষে দলিল বানিয়ে প্রোপাগান্ডা চালায় সেটি দেখুন। ইমাম ইবনে কাইয়ুম (রহঃ) 'মাদারিজুস সালেকীন' কিতাবের ২য় খন্ডের ২৪৩ এবং ৩১৩ নং পৃষ্ঠায় লিখেছেন :
ومحمدﷺ مبعوث الی جمیع الثقلین فرسالتہ عامۃ لجمیع الجن والانس فی کل زمان ولو کان موسیٰ وعیسیٰ حیین لکانا من اتباعہ واذا نزل عیسیٰ ابن مریم فانما یحکم بشریعۃ محمدﷺ‘‘
(مدارج السالکین ج۲ ص۲۴۳،۳۱۳)
অর্থাৎ আঁ-হযরত (সা)-এর নবুওত তামাম জীন এবং ইনসানের জন্য এবং প্রত্যেক যামানার জন্য। যদি হযরত মূসা এবং ঈসা (অদ্যাবধি পৃথিবীতে) জীবিত থাকত তাহলে তারাও অবশ্য আঁ-হযরত (সা)-এর অনুসরণ করত। আর ঈসা ইবনে মারিয়াম (আ) যখন নাযিল হবেন তখন তিনি শরীয়তে মুহাম্মদীর উপর আমল করবেন।" (সূত্র : মাদারিজুস সালিকীন : ২/২৪৩; ৩১৩)
প্রিয় পাঠক! এবার ইমাম ইবনে কাইয়ুম (রহঃ) উক্ত বক্তব্যের পূর্বে কী বললেন তা দেখুন। তা দেখার পর উপরের বক্তব্যটির সঠিক মর্মার্থ পরিষ্কার করে নিতে পারবেন, ইনশাআল্লাহ। তাঁর পূর্বোক্ত বক্তব্যটি হল :
فمن ادعی انہ مع محمد کالخضر مع موسیٰ او جوز ذالک لاحد من الامۃ فلیجد اسلامہ ویشہد انہ مفارق لدین الاسلام بالکلیۃ فضلاً ان یکون من خاصۃ اولیاء اﷲ وانما ہو من اولیاء الشیطان‘‘
অর্থাৎ যে ব্যক্তি এরকম দাবি করবে যে, ঈসা ইবনে মারিয়াম (আ) হযরত মুহাম্মদ (সা)-এর সাথে সেভাবেই হবেন যেভাবে মূসার সাথে খিজির (আ)- ছিলেন। অথবা উম্মতে মুহাম্মদির মধ্য থেকে কারো জন্য এমনি কোনো সম্পর্ক স্থির করবে (নোট : মির্যা কাদিয়ানিকে তার অনুসারীরা এমনি একজন মনে করে থাকে) যে, এ ব্যক্তি ইসলামের সংস্কার করবে। সে পুরোপুরি দ্বীনে ইসলাম থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া মর্মে সাক্ষ্য দিয়ে দিল। হোক সে আল্লাহ'র খাস কোনো ওলী! পক্ষান্তরে সে هو من اولیاء الشیطان তথা শয়তানের ওলী।"
প্রিয় শুধি! ইমাম ইবনে কাইয়ুম (রহঃ) আজ থেকে প্রায় সাত শত বছর আগ থেকেই মুসলিম উম্মাহ'র জন্য কেমন সাবধানবাণী দিয়ে গেলেন তা পুনবার বুঝিয়ে বলার দরকার আছে বলে আমি মনে করিনা। অত্যন্ত সূক্ষ্মদৃষ্টি সম্পন্ন এ মুজাদ্দিদ ইমাম যেন বুঝাতে চেয়েছেন যে, অদূর ভবিষ্যতে উম্মতে মুহাম্মদিয়ার ভেতর থেকে হয়ত কেউ নিজেকে প্রতিশ্রুত ঈসা মাসীহ'র মাছীল (রূপক) দাবি করতে পারে। তখন সে আল্লাহ'র খাস ওলী হলেও তাকে শয়তানের ওলী বলেই বুঝতে হবে।"
মাআশাল্লা, ইবনে কাইয়ুম (রহঃ) -এর এ আগাম সতর্কবার্তা পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে ১৮৯১ খ্রিষ্টাব্দে মাছীলে ঈসা দাবিদার (নবুওতেরও দাবিদার) মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানির সাথে মিলে যায়। এ যেন কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরুয়ে এল!! নির্লজ্জ কাদিয়ানী জামাত তার পরেও মির্যাকে মিথ্যুক আখ্যা দিয়ে ইসলামের দিকে ফিরে আসবে কি?
তাই বলা যায় যে, ইমাম ইবনে কাইয়ুম (রহঃ) -এর আকিদা ছিল, ঈসা (আ)-ই কেয়ামত পূর্ব সময়ে আকাশ থেকে নাযিল হবেন। বর্তমানে তিনি জীবিত। আর মির্যা কাদিয়ানী মাছীলে ঈসা দাবি করায় সপ্তম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ স্বয়ং ইবনে কাইয়ুম (রহঃ) -এর ফতুয়াতেই 'শয়তানের ওলী' সাব্যস্ত হয়ে গেছে।
[৩]
এবার একটি প্রশ্ন এবং তার জবাব :
সপ্তম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ ইবনে কাইয়ুম (রহঃ) -এর লেখা -
لوکان موسیٰ وعیسیٰ حیین لکانا من اتباعہ -(যদি মূসা এবং ঈসা [দুনিয়ার জীবনে] হায়াতে থাকতেন তাহলে দুজন অবশ্যই উনার অনুসারী হয়ে যেতেন) এর দ্বারা ঈসা এবং মূসা দুজনকে বর্তমানে "মৃত" বুঝালো কিনা?
তার জবাবে বলা হয়ে থাকে যে, উক্ত বক্তব্য দ্বারা শুধুমাত্র হযরত মূসা (আ)-কে মৃত বুঝাবে কিন্তু হযরত ঈসা (আ)-কে বুঝাবেনা। তার কয়েকটি কারণ নিম্নরূপ -
(১) উক্ত বক্তব্য দুনিয়াবী হায়াতের সাথে সম্পর্কিত । আর হযরত ঈসা (আ) যেহেতু আসমানি হায়াতে রয়েছেন, সেহেতু ইবনে কাইয়ুম (রহঃ)'র উক্ত বক্তব্য যথাস্থানে সঠিক। তদ্দ্বারা ঈসা (আ)-কে মৃত বুঝাবেনা।
উদাহরণত, যায়েদ বলল যে, আজ যদি আমার পিতা থাকতেন তাহলে তিনিও আজ এই ঈদের দিনে আমাদের সাথে ঈদ করতেন। এখানে যায়েদের পিতাকে "মৃত" সাব্যস্ত করা ভুল হবে। কারণ যায়েদের পিতা সৌদিআরব থাকেন। যায়েদের বক্তব্য - 'যদি আমার পিতা থাকতেন' এর দ্বারা উদ্দেশ্য হবে 'যায়েদের পিতা স্বদেশে বর্তমান নেই' এতটুকুই বুঝানো। কিন্তু যায়েদের কথার বাচনভঙ্গি না বুঝে উক্ত বক্তব্য দ্বারা তার পিতাকে "মৃত" ধারণা নেয়া ভুল এবং ভাষাগত জ্ঞানে অজ্ঞতারই পরিচায়ক। ঠিক 'যদি ঈসা ইবনে মারিয়াম (আ) হায়াতে থাকত' - কথাটির তাৎপর্যও তদ্রূপ।
(২) ইবনে কাইয়ুম (রহঃ) যেখানে বললেন, ঈসা আর মূসা যদি জীবিত থাকত..... তার পরক্ষণেই তিনি বলে দিলেন যে, ঈসা (আ) যখন আসমান থেকে নাযিল হবেন তখন তিনি শরিয়তে মুহাম্মদিয়ার অনুকরণ করবেন। এমতাবস্থায় ঈসা কি নাযিল হওয়ার পূর্বে মৃত ছিলেন বুঝাবে? কী জবাব??
(৩) ইবনে কাইয়ুম (রহঃ) থেকে অনেকগুলো উদ্ধৃতি উপরে দেয়া হয়েছে। সেখানে তিনি ঈসা (আ)-কে সুস্পষ্টভাবে حى তথা জীবিত বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। কাজেই, উনার উক্ত বক্তব্য হতে এমন কোনো মর্মার্থ নেয়া যাবেনা যা তাঁরই সুস্পষ্ট আকিদা বা নীতির সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক। সেজন্য বুঝতে হবে যে, উক্ত বক্তব্য দুনিয়াবি হায়াতের সাথে খাস। তাই ঈসা (আ)-কে মৃত উদ্দেশ্য নেয়া বাতিল।
(৪) আর যদি 'মুতলাকে জীবিত' (তারা যেখানেই থাকুক) উদ্দেশ্য নেয়ার দাবি করা হয় তখন আমিও মির্যার প্রতি পাল্টা প্রশ্ন তুলতে পারি যে, মির্যাদের উপরিউক্ত দাবি অনুসারে তো তখন মূসা (আ)-কেও মৃত সাব্যস্ত করা হচ্ছে। অথচ মির্যা কাদিয়ানী খোদ বিশ্বাস রাখতেন যে, হযরত মূসা (আ) আকাশে জীবিত। এমতাবস্থায় মির্যাদের আকিদার কী হাশর হবে? যাকে মির্যা সাহেব "জীবিত" আখ্যা দিলেন তাঁকে কি এবার নিজ হাতে মেরে পেলবেন? সুতরাং মির্যার মুখরক্ষা করতে চাইলে অবশ্যই মেনে নিতে হবে যে, ইবনে কাইয়ুম (রহঃ) -এর উক্ত বক্তব্যে 'ঈসা এবং মূসা দুজনের হায়াত' দ্বারা ارضی حیات তথা দুনিয়াবি জীবনই উদ্দেশ্য। সুতরাং ঈসা (আ)-কে মৃত বুঝানোর দাবি ভুল।
(৫) সবাই জেনে থাকবেন যে, আসমানবাসী আদৌ শরীয়তে মুহাম্মদিয়ার মুকাল্লিফ (নির্দেশপ্রাপ্ত) নন। কাজেই, ইবনে কাইয়ুম (রহঃ) ঈসা (আ)-এর হায়াত বলে দুনিয়াবি হায়াতই উদ্দেশ্য নেবেন এটাই স্বাভাবিক। তিনি যেন বলতে চেয়েছেন, 'যদি ঈসা এবং মূসা দুজন প্রসিদ্ধ নবীও বর্তমানে দুনিয়াতে বহাল তবিয়তে থাকতেন তাহলে তাঁরাও শেষ নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ'র ইত্তিবা করতেন'। সুবহানাল্লাহ।
কিন্তু কাদিয়ানিদের মগজে এসব সূক্ষ্ম উদাহরণও যদি সঠিকভাবে লোড না নেয়, তাতে আমাদের আফসোস করা ছাড়া কিবা করার আছে!!! আর মাথামোটাদের মগজে এসব ঢুকারও কথা না! আসলে যাদের কান দুটোই কাটা, চোখ দুটোই অন্ধ, তাদের যতই দলিল দেবেন সবই বেকার। আল্লাহ আমাদের হিদায়াত দিন!
এবার হযরত ঈসা এবং মূসা (আ) সম্পর্কে মির্যা কাদিয়ানির বক্তব্য দেখুন! মির্যা সাহেব লিখেছেন :
হযরত ঈসা ইবনে মরিয়ম (আ) সম্পর্কে মির্যা সাহেব বলেছেন,
صحیح مسلم کی حدیث میں جو یہ لفظ موجود ہے کہ حضرت مسیح جب آسمان سے اتریں گے تو ان کا لباس زرد رنگ کا ہوگا. ( إزالة الاوہام جلد اوّل؛ روحانی خزائن 3/142 )
অর্থাৎ সহীহ মুসলিম শরীফের হাদিসে এমন শব্দ মজুদ আছে যে হযরত মাসীহ (আ) আকাশ থেকে যখন অবতরণ করবে তখন তাঁর পোশাক হলুদ রঙ্গের হবে। (মির্যা সাহেব কর্তৃক রচিত, ইযালাতুল আওহাম : ১ম খন্ড দ্রষ্টব্য, রূহানী খাযায়েন ৩/১৪২ দ্রষ্টব্য)।
এবার হযরত মূসা (আ) সম্পর্কে মির্যা কাদিয়ানীর বক্তব্য কেমন ছিল তা কষ্ট করে দেখে নিন! মির্যা কাদিয়ানী স্বীয় রচনা "নূরুলহক" পুস্তকে লিখতেছেন -
یہ وہی مرد خدا ہے جس کی نسبت قرآن شریف میں اشارہ ہے کہ وہ زندہ ہے اور ہم پر فرض ہوگیا کہ ہم اس بات پر ایمان لائیں کہ وہ آسمان میں زندہ موجود ہے۔ ’’ولم یمت ولیس من المیتین‘‘ وہ مردوں میں سے نہیں۔‘‘
(نور الحق حصہ اوّل ص۵۰، خزائن ج۸ ص۶۹)
অর্থাৎ ইনি সেই মর্দে খোদা কুরান শরীফে যাঁর সম্বন্ধে ইশারা আছে যে, তিনি [মূসা] আকাশে জীবিত ও বিদ্যমান। তিনি মৃত্যুবরণ করেননি এবং তিনি জীবিতদের অন্তর্ভুক্ত নন।" (রূহানী খাযায়েন : ৮/৬৯)
পরিশেষে আমরা সেই জবাব দিয়েই আজকের এ আলোচনার ইতি টানব যে জবাব মির্যায়িরা মূসা (আ)-এর হায়াতের পক্ষে দিয়ে থাকেন। (উল্লেখ্য, কাদিয়ানিদের উপরিউক্ত আকিদা তথা মূসা (আ) এখনো জীবিত থাকার আকিদার সাথে মুসলমানগন একমত নন। কারণ এ বিশ্বাস একটি ভিত্তিহীন ও গাঁজাখুরি বিশ্বাস।) সুতরাং আলোচনার সারকথা হল, ইমাম ইবনে কাইয়ুম (রহঃ) -এর নামে মির্যায়িদের তাবত দাবি দাওয়া শুধু ভুল নয়, বরং জঘন্যতম প্রোপাগান্ডার শামিল। আশাকরি বুঝতে পেরেছেন। ওয়াসসালাম।
লেখক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন