গাজি ইমাম শামিল রহ.। দাগিস্থানের মহাবীর। চেচনিয়ার রণবীর। রুশ শ্বেতভল্লুকদের যমদূত। দাগিস্থান-চেচনিয়ার প্রতিরোধ যুদ্ধের বীর সেনানী। কুকাজের সিংহ। চেচনিয়ার পাহাড়ি ঈগল। দাগিস্থান-চেচনিয়া জিহাদের তৃতীয় আধ্যাত্মিক নেতা। প্রথম মুসলিম গেরিলা যোদ্ধা।
:
যখন রুশ সরকার এই ফরমান জারি করল যে, "যে ব্যক্তি ইমাম শামিল রহ. কে জীবিত গ্রেফতার করে দেবে, তাকে ৪৫ হাজার রাশান মুদ্রা উপহার দেয়া হবে"- তখন ইমাম শামিল রহ. প্রতিউত্তরে রুশ জেনারেলকে চিঠি লিখলেন-
"আমার কতোইনা সৌভাগ্য, যখন আমি জানতে পারলাম যে, আমার মাথা এতো মোটা অংকের মুদ্রার বরাবর, কিন্তু তুমি কখনও সৌভাগ্যবান হতে পারবেনা, যখন জানতে পারবে যে, তোমার মাথা; বরং স্বয়ং রুশ সরকারের মাথা আমার কাছে এক পয়সারও বরাবর নয়!"
:
সূত্র- ড. রাগিব আস-সারজানির মাওক্বিয়ু' ক্বিসসাতিল ইসলাম।
:
এরকম যুগান্তকারী সাহসী উচ্চারণ করতে বুকের পাটা লাগে, আর তা যে কারও হয়না; একমাত্র তাঁদেরই হয়, যাঁরা বারুদের পোড়া গন্ধে জান্নাতের খুশবু খুঁজে পায়। যাঁরা আল্লাহর জমীনে আল্লাহর দ্বীনকে বুলন্দ করতে শরীরের শেষ রক্তবিন্দু বিলিয়ে দেয়ার প্রয়াসে বুক চেতিয়ে দাঁড়ায় ময়দানে জগদ্দল পাথর হয়ে। যুগে যুগে এরকম সাহসী উচ্চারণ করে মুসলিম উম্মাহর শৌর্য-বীর্যকে অক্ষুণ্ণ রেখে গেছেন মুসলিম উম্মাহর শিংহ শার্দুলেরা। নিকট অতীতেও এরকম একটি সাহসী উচ্চারণ করে বুকের পাটা প্রদর্শন করেছিলেন আলাহর পথের এক লড়াকু সৈনিক শাইখ খালিদ আল-হাসীনান রহ. যুগের ফিরাঊন ওবামাকে লক্ষ্য করে। তিনি হুংকার ছুঁড়েছিলেন, "আমার শাহাদাতের দিনই আমার সৌভাগ্যের দিন হে ওবামা!"
.
সত্যিই ৬/১২/২০১২ সালের ফজরের সময় রোজাদার অবস্থায় আফগানিস্তানের এক দূর্গম পাহাড়ে আমেরিকান ড্রোন হামলার শিকার হয়ে শাহাদত বরণ করে জান্নাতের পাখি হয়ে চিরসৌভাগ্য লাভ করেন। তাক্বাব্বালাহুল্লাহ ওয়া আসকানাহু জান্নাতাল ফিরদাঊস।
:
সূত্র- আস-সাহাব মিডিয়া আরবি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন