যুবক বিয়ে করার জন্য হন্যে হয়ে পাত্রী খুঁজে চলছে। পাত্রী হতে হবে দ্বীনদার। একজায়গায় এক দ্বীনদার পাত্রীর সন্ধান পেল। শর'য়ীভাবে পাত্রীকে দেখতে পাত্রীর বাড়ি গেল। পাত্রীর সাথে কথাবার্তা চলার একপর্যায়ে পাত্রী যুবককে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন করল- 'আপনি কুরআনের কতটুকু মুখস্ত করেছেন?'
- একটুওনা। তবে সর্বদা চেষ্টা করি, যেন আল্লাহর একজন সৎকর্মশীল বান্দা হতে পারি। যুবক পাল্টা প্রশ্ন করে বসল- 'আপনি কতটুকু মুখস্ত করেছেন?'
- আমপারা মুখস্ত করেছি।
:
উভয় ফ্যামিলির গার্জিয়ানদের উদ্দোগে এ - পাত্রীর সাথেই যুবকের বিয়ে হয়ে গেল। তারা হয়ে গেল স্বামী-স্ত্রী। কিছুদিন যেতে না যেতেই স্বামী অনুভব করল যে, সে দুনিয়াতেই যেন একটুকরো জান্নাতের মালিক বনে গেছে। স্ত্রী- ও অনুভব করল যে, তার স্বামী তখন সত্য বলেছে। সত্যিই সে একজন সৎকর্মশীল বান্দা।
:
একদিন স্ত্রী স্বামীকে বলল- 'এই, আসুন না আমাকে কিছু কুরআন মুখস্ত করিয়ে দেবেন? স্বামী বলল- 'হ্যাঁ, চলো, আমরা উভয়েই মুখস্ত করব। একে অপরকে মুখস্ত করিয়ে দেবো। যেই কথা সেই কাজ। তারা একে অপরকে কুরআন মুখস্ত করিয়ে দিতে শুরু করল। উভয়ে একেরপর এক সুরা মুখস্ত করতে থাকল একে অপরকে শোনানোর মাধ্যমে। এভাবে একদিন তারা উভয়েই কুরআনের হাফেজ ও হাফেজা হয়ে গেল! শুধু তাই নয়; একটি প্রতিষ্টান থেকে সার্টিফিকেটও নিয়ে নিল।
:
কিছুদিন পর স্বামী তার স্ত্রীকে সাথে নিয়ে শ্বশুরালয়ে গেল। গিয়েই শ্বশুরকে অতি আহ্লাদে খবর দিল- 'আব্বু, আপনার মেয়ে হাফেজা হয়ে গেছে! খবরটি শুনে শ্বশুর যারপরনাই আশ্চর্য হয়ে গেলেন! তিনি মেয়েজামাইকে কিছু না বলে উঠে মেয়ের রুমে গিয়ে কিছু কাগজপত্র নিয়ে আসলেন। কাগজপত্রগুলো দেখে যুবকের চোখ তো ছানাবড়া! এ যে তার স্ত্রীর কুরআন হিফজের প্রাতিষ্টানিক সার্টিফিকেট! তার মানে তার স্ত্রী বিয়ের আগে থেকেই কুরআনের হাফেজা ছিল! এইবার যুবক আসল ব্যাপার বুঝতে পারল। আসলে তার স্ত্রী কুরান মুখস্ত করিয়ে দেয়ার ভান করে মূলত: তাকেই হাফেজ বানানোর কৌশল অবলম্বন করেছিল! স্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতায় যুবকের দিল ভরে গেল। তার দু'চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ল ক'ফোটা আনন্দাশ্রু।
:
:
সূত্র- আরবের জনপ্রিয় ফেইসবুক পেইজ (نصائح عامة) হতে অনূদিত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন