Emran Hossain Adib
নবী করীম (সা:) এর জন্মমুহূর্তকে "মীলাদুন্নবী" বলে। বর্তমানে 'মীলাদুন্নবী' বলতে নবী (সা:)এর জন্মদিনকে বিশেষ ফযীলতের আশায় বিশেষ
পদ্ধতিতে উদযাপন করাকেই বুঝানো হয়ে থাকে। এর সাথে 'ঈদ' শব্দটি যোগকরে ইসলাম স্বীকৃত মুসলমানদের দু'টি ধর্মীয় 'ঈদ' অনুষ্ঠানের সাথে তৃতীয় আরেকটি 'ঈদ' সংযুক্ত করা হয়েছে। ইসলামে যার কোন ভিত্তি নেই। ইহা স্পষ্ট একটি বিদ'আত। কেননা রাসুল (সা:) তাঁর জীবদ্দশায় কখনোই নিজের জন্মবার্ষিকী পালন করেননি। তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ চার সাথী, সংকট মুহূর্তের সংগি দু'জন শ্বশুর ও দু'জন জামাতা,জীবনের চেয়ে যারা নবী করীম (সা:) কে বেশী ভালবাসতেন, সেই মহান চার খলীফা দীর্ঘ প্রায় ত্রিশ বছর খেলাফতে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তাঁহারা কখনোই রাষ্ট্রীয়ভাবে কিংবা ব্যক্তিগতভাবে প্রিয় নবী(সা:)এর উদ্দেশ্যে 'মীলাদ' মাহফিল করেননি। ছাহাবায়ে কেরামের পরে তাবেঈনে উযামের কেউই তা পালন করেননি। এমনকি চার ইমামের যামানাতেও এর কোন প্রচলন ছিল না। অতএব এটা ইবাদতের নামে নতুন আবিষ্কৃত হয়েছে। আর এরূপ নবাবিষ্কৃত বস্তুকেই বিদ'আত বলা হয়। রাসুলুল্লাহ (সা:) বলেন -
أن اصدق الحديث كتاب الله و أحسن الهدى هدى محمد وشر الأمور محدثاتها و كل محدثة بدعة و كل بدعة ضلالة و كل ضلالة في النار
নিশ্চয়ই সর্বোত্তম কথা হল আল্লাহর কিতার, আর সর্বোত্তম হিদায়াত হল মুহাম্মাদ (সা:) এর হিদায়াত। আর সর্বনিকৃষ্ট কাজ হল (শরী'আতের মধ্যে) নব আবিষ্কার। আর প্রত্যেক নব আবিষ্কারই বিদ'আত এবং প্রত্যেক বিদ'আতই গোমরাহি। আর প্রত্যেক গোমরাহীর পরিণামই জাহান্নাম
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন