মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন দাঃবাঃ
পোপ আসছেন আজ, স্বাগত জানাতে পারছি না যে কারণে-
১) পোপ আসছেন বাংলাদেশে শান্তির বার্তা নিয়ে। শান্তির বার্তা বিলিয়ে দিতে গতকাল গিয়েছিলেন মিয়ানমারে। বর্তমান সময়ে বিশ্বের সবচে নির্যাতিত জাতি রোহিঙ্গা জাতি। জাতিগত নিধনের শিকার তারা। তিনি তাদের নামটুকু উচ্চারণ করলেন না। এমনটিই বলছে মিডিয়া। যিনি মানবতার পক্ষে কথা বলার সাহস পেলেন না, তাকে স্বাগত জানাই কী করে?
২) দখলদার ইসরাইল কর্তৃক অসহায় নিরীহ ফিলিস্তিনীদের উপর বর্বরতার খবর তিনি অবশ্যই রাখেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাঁর কোন উদ্যোগ দৃশ্যমান হয় নি।
৩) ভুল তথ্যের উপর ভিত্তি করে ইরাকে আগ্রাসন পরিচালনা করার কথা স্বীকার করলেও ইরাকে এখনো আগ্রাসন চলছেই। বোমা হামলা, হত্যা, ধর্ষণ থামছে না কিছুতেই। শান্তির ধ্বজাধারীদের পদার্পণ নেই সেখানে।
৪) সাম্রাজ্যবাদীদের শক্তির মহড়া চলছে সিরিয়ায়। শান্তি নয় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় লড়াই করছে হায়েনারা। সেখানে শান্তির বার্তা বড্ড প্রয়োজন।
৫) আফগানিদের কপালে শান্তি নেই, কাশ্মীরীরা মরছে ধুঁকে ধুঁকে। লিবিয়াও শান্তি নেই। চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে নিষিদ্ধ হয়ে আছে মুসলমানদের মৌলিক অধিকার। আলজেরিয়া তিউনিসিয়ায় উড়তে পারছে না শান্তির পতাকা। এসব দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাঁধা কারা? পোপ কি কখনো তাদের কাছে শান্তির বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন?
তারপরেও আপনি আসুন। বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অবস্থা দেখে যান। দেখে লজ্জিত হবেন নিশ্চয়ই। বিশ্বে মুসলমানদের উপর এত নির্যাতন নিপীড়ন হওয়া সত্ত্বেও একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি উত্তমরূপে বজায় থাকে কী করে! আসলে এটাই ইসলাম। এটাই ইসলামের শান্তি। মুসলমান শান্তির পক্ষে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় বদ্ধপরিকর।
হয়তো যাবার সময় আমার দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রশংসা করে যাবেন। তবে অনুরোধ রইলো। শান্তির ফোয়ারা ইসলামী শিক্ষা থেকে সামান্য হলেও নিয়ে যাবেন। ইসলাম ও মুসলিম সম্পর্কে ভুল ধারণা নিরসন করে যাবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন