শুক্রবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৭

আল্লাহু আকবার


আল্লাহু আকবার! অবাক বিস্ময়ের ব্যাপার যে, গোটা পৃথিবীতে প্রতিটা মুহুর্তে যে ধ্বনি ভেসে বড়ায়, সেটা হল আজানের ধ্বনি! আল্লাহু আকবার - লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর সুমধুর ধ্বনি! গোলাকার এই পৃথিবীর প্রকৃতির কন্দরে কন্দরে, রন্দ্রে রন্দ্রে প্রতিটা ক্ষণে, প্রতিটা মুহুর্তে বিরাজ করে মুসলমানদের মসজিদের মিনার হতে ভেসে আসা আজানের ধ্বনি! আর তা এভাবে যে-
:
গোলাকার এই পৃথিবী ৩৬০ টি রেখায় ভাগ হয়ে থাকে। এই রেখাগুলো- ই 'সময়' কে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে সীমাবদ্ধ করে রাখে। প্রতিটি উপরস্থিত রেখা তার নিচের রেখা থেকে ৪ মিনিটের দূরত্বে থাকে। আজানের ক্ষেত্রে মূলনীতি হল- আজানের ধ্বনি সময়ের নির্দিষ্ট রেখা দিয়েই ধ্বনিত হয়। আর একজন মুয়াজ্জিন ভালোকরে আজান দিলে তা ৪ মিনিট পর্যন্ত ব্যাপিত থাকে। সুতরাং- ৪×৩৬০(রেখা)=১৪৪০ মিনিট। আর ১৪৪০ মিনিটকে ৬০ মিনিট এর সাথে ভাগ দিলে ২৪ ঘন্টা হয়ে থাকে। এই হিসেব বুঝার পর এবার জানুন-
:
ফজরের আযান শুরু হয় ইন্দোনেশিয়া থেকে, এরপরে আসে সুমাত্রায়। সেখান থেকে মালয়েশিয়া। এরপরে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা-ভারত - পাকিস্তান-আফগানিস্তান-ওমান-সৌদি আরব-কুয়েত-সংযুক্ত আরব আমিরাত-ইয়েমেন-ইরাক-ইরান-তুর্কি-ত্রিপলি-লিবিয়া-আমেরিকা। এভাবে আরও ইত্যাদি বাকি দেশে চলতে থাকে। এভাবেই ফজরের আজান ৯ ঘন্টাব্যাপী একাধারে চলতে থাকে। এরপরে জোহরের ওয়াক্তে আবারও ফিরে আসে ইন্দোনেশিয়ায়। এই পদ্ধতিতেই ৫ ওয়াক্তের আজান সারা পৃথিবীতে ঘুরতে থাকে। 
:
আরও সহজে বুঝত চাইলে আমাদের দেশের বিভিন্ন জেলার টাইমের তারমতম্যের প্রতি লক্ষ্য করুন। আমাদের দেশের এক জেলার সাথে অপর জেলার ৩-৪-৫ মিনিট করে সময়ের ব্যাবধান রয়েছে। আর এজন্যই প্রতি ওয়াক্তের আজানেও ৩-৪-৫ মিনিট করে ব্যবধান হয়ে থাকে। এভাবে সারা পৃথিবীতে এক দেশ থেকে আরেক দেশের সময়ের ব্যবধান রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সাথে আমাদের দেশের প্রায় ৩০ মিনিটের ব্যবধান রয়েছে।
:
:
সূত্র- আরবের জনপ্রিয় ফেইসবুক পেইজ (معلومة) অবলম্বনে।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন