রবিবার, ২৮ জুন, ২০১৫

বেপর্দা নারীদের প্রতি কিছু প্রশ্নঃ

স্পা না করলে কি মেয়েরা মরে যাবে? বাঙ্গালী মেয়ারা যথেষ্ঠ রূপবতী। এই রূপ গত কয়েক বছরে ধুম করে জেগে ওঠেনি। তারা আগেও রূপবতী ছিল এখনো আছে। আমি জানিনা যে স্পা তে এমন কি আছে যে তার রূপে এমন বিশেষ কিছু অ্যাড করবে যা না থাকলে তার জীবন চলবেনা? যার কারনে অন্য একজন মানুষের সামনে আধা নগ্ন হয়ে body message করাতে হবে। লজ্জা শরমের মাথা কি কাঁচাই খেয়ে ফেলেছেন আপুরা?
এই কথাগুলা বলতে আমার খুবই খারাপ লাগে। অনেক বেশি লজ্জা লাগে এই জন্য যে এত ব্যাখ্যা করে মুসলিম বোনদেরকে এসব বলতে হয়। আমি বাংলায় এসব লিখতে পারবনা। Most of the man gets sexually aroused when:
✓ আপনি টাইট ফিটিং কাপড় পরেন।
✓ আপনি ওড়না পরেন না/ গলায় ঝুলায় রাখেন/ একপাশে ঝুলায় রাখেন।
✓ আপনি যখন অর্ধস্বচ্ছ কাপড় পরেন।
✓ আপনার পেট/ পা/ পীঠ যখন দেখা যায়।
✓ আপনি যখন ঠোঁট রাঙ্গান।
✓ আপনি যখন চোখে স্মোকি সাজ পরেন এবং আরও শত শত কারন থাকতে পারে।
কি? মনে হচ্ছে যে ছিঃ ছিঃ ছেলেরা এত খারাপ! তাইনা? The fact is that they are CREATED like this. Do you understand my dear sisters? THEY ARE CREATED BY ALLAAH LIKE THIS.শুধুমাত্র আল্লাহ্‌র ভয়, সমাজের ভয়, ভালত্ব, সুস্থ বিবেক আছে দেখেই এখনো কোন ভাই এই ধরণের আপুদের রাস্তায় ধরে কষে কষে কয়েকটা চড় থাপ্পড় বসান না। (আলহামদুলিল্লাহ)।
আপু, আরো কয়েকটা uncensored কথা বলি। এটা জানেন তো যে মানুষ (অধিকাংশ) খুব সহজেই বোর হয়ে যায় আর নতুন কিছু খুঁজতে থাকে যা তাকে আনন্দ দেবে। পশ্চিমাদের মধ্যে হোমসেক্সুলালিটি এত বেশি, এর কারন নিয়ে কখনো চিন্তা করেছেন? কেন যেখানে চাইলেই মানুষ আপনার বিছানায় আসতে রাজী সেখানে কেন মেয়ে মেয়ের সাথে এবং ছেলে ছেলের সাথে যেতে চায়? আসলে এরা নারী দেহ দেখতে দেখতে ক্লান্ত। এদের রূচি আস্তে আস্তে বিকৃত হয়ে গেছে। এখন তারা নিজেদের মধ্যে থেকেই সংগী খোঁজে। (নাউজুবিল্লাহ)
একটা কথা বলি শোনেন। আপনি মানুষকে যা দেখাবেন তা দেখেই তারা আপনার মূল্যায়ন করবে। মানুষের শরীরের সৌন্দর্য এক সময় শেষ হয়ে যায়। তাই আজকে যারা আপনাকে বুকের উড়না বিহীন অবস্থায়, জিন্স প্যান্ট পড়া অবস্থায় বা বেপর্দা অবস্থায় দেখে আপনাকে বলছে, তোকে তো দারুন লাগছে এবং আপনার ফেসবুকের ছবিতে প্রশংসার পর প্রশংসা করে যাচ্ছে…… । তাই বুঝি ভাবতেছেন আপনাকে আচ্ছা সুন্দরী লাগছে? আরে না! আসলে তো তারা মাছির মত আপনার দৃর্গন্ধ নিচ্ছে। আপনি যানেন না? ডাস্টবিনের দূর্গন্ধ মাছিই ভালবাসে, মৌমাছি নয়। আর আপনি সেই মাছিদের জন্য পারলে আরও বেশী খোলামেলা হয়ে, সাজুগুজু করে ছবি আপলোড করছেন। (নাউজুবিল্লাহ)
কিন্তু আপু, একটা কথা জানেন? মনের সৌন্দর্য শেষ হয় না। মন জরাগ্রস্ত হয়না। একটা সুন্দর মন, শালীন দেহ সর্ব কালে সর্ব যুগে প্রশংসিত। আজকের বোরকা পরা মেয়েদেরকে দেখলে যেমন, আপনার যারা প্রশংসা করে সেই ছেলেরাও মাথা নামিয়ে নেয়, তেমনি আমার দাড়ি টুপি ওয়ালা ভাইরাও মাথা নামিয়ে নেয়। আজ থেকে ২০ বছর পর দেখলেও তারা দৃষ্টি নামিয়ে নিবে, ইনশাআল্লাহ। আমাদের এই সকল পর্দানশীন বোনেরা আজকে যেমন সম্মানিত, তেমনি কালকেও থাকবেন এবং সারাজীবনই সম্মানিতই থাকবেন ইনশাআল্লাহ্‌।
আর আপনাদের কি হবে? আজকে আপনারা যাদের চোখ জুড়াচ্ছেন, কাল তারা আপনার দিকে তাকাবেই না। আর সম্মান? সেটা আজকেও কেউ আপনাদের করছে না, ভবিষ্যতেও করবে না, যদিনা তওবা করে পরিপূর্ণ পর্দায় ফিরে না আসেন। আপু, চাকরানী চেনেন? দাসী চেনেন? আপনারা হলেন পুরুষদের চাকরানী নয়তো মেকাপের দাসী। ঘন্টার পর ঘন্টা সময় নিয়ে এত সাজ গোজ যে করেন, পরে তো সেগুলো তত কষ্ট করেই ঘষে ঘষে তুলে ফেলতে হয়। কি লাভ এই কৃত্তিমতার?
এই যে একেকজন ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং, ভার্সিটিতে পড়ছেন অথচ নিরেট মূর্খের মত আচরণ কেন করছেন? আপনার এত এত বিদ্যা আপনাকে কেন রঙ চঙ্গের আশ্রয় নেয়া থেকে বাঁচাতে পারেনা? কেন অফিসে/ অফিসিয়াল কনফারেন্স/ কনভোকেশন/ নবীন বরণ/ ফেয়ারওয়েলে যাবার আগে আপনার নিজের চেহারায় এত ঘষা মাজা করতে হয়? এসব যায়গার তো আপনি আপনার লেখাপড়ার কল্যানেই যাচ্ছেন তাই না? তাহলে কেন সব কিছু ছাপিয়ে আপনার সাজ গোজ সেখানে প্রাধান্য পাবে? কি করলেন এত লেখাপড়া করে যা আপনার মানসিকতাকে বদলাতে পারেনি? দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে পড়েও কেন আপনাকে ছোট ছোট কাপড়, কিছু রঙ চঙ্গের উপর নির্ভরশীল হতে হয়। বলতে পারেন? প্রশ্ন রইলো।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন