বৃহস্পতিবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৫

ছবি তোলা ও মেয়ে মানুষের ছবির মাসআলা ___________

মাওলানা মামুনুল হক সাহেব_____________________
কেউ একজন ইনবক্সে আমার নিকট নিম্নোক্ত প্রশ্নটি করলে আমি উত্তর দিয়েছি ৷ অন্যদেরও প্রয়োজন হতে পারে বিবেচনায় পোস্ট করে দিলাম ৷
প্রশ্ন:
আস্সালামু আলাইকুম ।আশা করি উত্তর পাবো ।একটা বিষয় ক্লিয়ার হতে চাই অনেকেই fb তে ছবি বিভিন্ন ছবি শেয়ার করে বাস্তবে হয়ত ছবি তোলা জায়েয নয় মনে করে তোলে না ।ফোনে ছবি তোলা কি জায়েয ?কোনো জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত আর সেটা শেয়ার করা ,বা ফোনে রেখে দেয়া ।এর জন্য কি কোন গুনাহ হবে।ছবি তোলাটা এখন মহামারি রোগের মত হয়ে গেছে ।আশা করব একজন সচেতন আলেম হিসেবে এ দিক নিয়ে কিছু কথা বলবেন ।যদি বলে থাকেন অনুগ্রহ করে তা জানাবেন ।এ ব্যাপারটি নিয়ে আমি বেশ চিন্তিত।আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করার জন্য দুঃখিত ।আপনারা অর্থাৎ আলেম আলেমারা আমাদের মডেল ,আশা করি গুরুত্ত দিবেন ।
উত্তর:
বাস্তবে ছবি তোলা আর মোবাইলে ছবি তোলার মধ্যে কী পার্থক্য? মোবাইলের ছবি কি বাস্তব ছবি না?
শোনেন,
সংক্ষেপে ছবির বিষয়ে তিনটি কথা বলি ৷
এক,
নির্জীব কোন বস্তুর ছবি আঁকা, তোলা সবই জায়েয
দুই,
মানুষ বা অন্য কোনো প্রাণীর ছবি যদি মোবাইল বা ক্যামেরা ইত্যাদির মাধ্যমে তোলা হয়, তবে সেটা মোবাইলের বা কম্প্যুটারের স্ক্রীনে থাকাকালীন অর্থাৎ প্রিন্ট না করা পর্যন্ত অধিকাংশ ওলামায়ে কেরামের মতে এটা শরীয়তনিষিদ্ধ ছবি নয় ৷ আবার অনেকের মতে এটা হারাম ছবি ৷ আমি মনে করি, দলীলের দিক থেকে প্রথম মতটি অগ্রগণ্য ৷ তবে দ্বিতীয় মতটি অধিক শতর্কতা মূলক ৷
তিন,
উপরোক্ত আলোচনা হলো ছবির বৈধতা অবৈধতা বিষয়ে ৷ কিন্তু ব্যাপারটি যদি কোন সাবালিকা মেয়ে বা মহিলা মানুষের ছবির হয় তবে সেখানে ছবির পাশাপাশি পর্দার বিষয় চলে আসবে ৷ সুতরাং যাকে সামনাসামনি দেখা যাবেনা তাকে আয়নায়, মোবাইলে, ক্যামেরায়, কম্প্যুটারে বা টেলিভিশনে কোথাওই দেখা জায়েয হবে না ৷ সেই হিসাবে কোন মেয়ে মানুষের ছবি মোবাইল বা কম্প্যুটারে রাখা এই দৃষ্টিকোণ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ ৷

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন