বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৫

লা মাজহাবীরা পালাবে কোথায়?

এক. ইমাম আজম আবু হানীফা রহঃ পঞ্চান্নবার হজ্ব করেন ৷ আখেরী হজ্বে কা'বার প্রহরী থেকে অনুমতি নিয়ে রাতে কা'বা শরীফের অন্দরে তাশরীফ নিয়ে গেলেন ৷ দুই স্তম্ভের মাঝখানে দাঁড়িয়ে এভাবে দু রাকআত নামাজ পড়লেন যে, প্রথম রাকআতে এক পায়ে দাঁড়িয়ে পনেরো পারা কুরআন পড়লেন আর দ্বিতীয় রাকআতে আরেক পায়ে শেষ পনেরো পারা পড়লেন ৷ সালাম ফিরিয়ে খুব রোনাজারি করলেন আর দুআ করলেন:
يا الهي ما عبدك هذا العبد الضعيف حق عبادتك ولكن عرفك حق معرفتك فهب نقصان خدمته بكمال معرفته.
হে মাবুদ, তোমার এই দুর্বল বান্দা তোমার পূর্ণ ইবাদত করতে পারেনি, কিন্তু তোমাকে পূর্ণরূপে চিনতে পেরেছে ৷ অতএব, তার ইবাদতের কমতি ক্ষমা করে দাও তার মারিফাতের বিনিময়ে (তোমাকে যতটুকু চিনতে পেরেছে তার বিনিময়ে) ৷
তখন অদৃশ্য থেকে আওয়াজ এলো
يا اباحنيفة قد عرفتنا حق المعرفة وخدمتنا فأحسنت الخدمة وقد غفرنا لك ولمن اتبعك ممن كان علي مذهبك إلي يوم القيامة الخ.
হে আবু হানীফা, তুমি আমাকে পরিপূর্ণরূপে চিনতে পেরেছো আর আমার ইবাদত অতিশয় সুন্দরভাবে করেছো ৷ অবশ্যই আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিলাম এবং যারা কিয়ামত পর্যন্ত তোমার মাযহাবের অনুসরণ করবে তাদেরও ক্ষমা করে দিলাম ৷
--রদ্দুল মুহতার, খঃ-1, পৃঃ-36
দুই. ইমাম শাফেঈ রহঃ হলেন ইমাম আজমের ছাত্রদের ছাত্র ৷ তিনি ইমাম সাহেব রহঃ কে অত্যন্ত সম্মান করতেন ৷ আর এতটাই আদব করতেন যে, যখন তিনি ইমাম আজম রহঃ এর কবরে উপস্থিত হলেন তখন ফজরের নামাজে দুআ কুনূত পড়লেন না এবং রফয়ে ইয়াদাইনও করলেন না ৷
তিন. ইমাম শাফেঈ রহঃ বলেন:
যখন কোনো বিষয় আমার সংশয় সৃষ্টি হয় তখন দু' রাকআত নামাজ পড়ে ইমাম সাহেব রহঃ এর রুহ থেকে এস্তেফাদা করি (উপকৃত হই) ৷ যদ্দরুণ আমার সংশয় দূর হয়ে যায় ৷
--মবাদিয়াতে ফিকহ, পৃঃ-29)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন