শুক্রবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৫

বেফাকের সঙ্কটাবস্থা ....

বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার একটা প্রকাশনা বিভাগ আছে। তাদের মাধ্যমে বেফাক কওমী মাদরাসার অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বইসহ বেশ কিছু প্রকাশনা বের করেছে। সারা বাংলাদেশে এজেন্টদের মাধ্যমে এই প্রকাশনাগুলো বিতরণ ও বিপণন করা হয়ে থাকে। রমজানের আগে বেফাক অফিসে এজেন্টদের সম্মেলন করা হয়। সেখানে জানানো হয়েছিল এ বছর বইয়ের মূল্য তালিকা বৃদ্ধি করা হচ্ছে না। একটা মূল্য তালিকাও দেয়া হয়। তাতে আগের মূল্যকেই অপরিবর্তিত রাখা হয়। অথচ রমজানের পর দেখা গেল বিনানোটিশে বইয়ের মূল্য বৃ্দ্ধি করা হয়েছে। অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। প্রকাশনা বিভাগে যোগাযোগ করে জানা গেল- তারা বলল- ভাই আমরাও জানি না বইয়ের মূল্য বৃদ্ধি পাবে, আপনারা জানবেন কিভাবে? প্রকাশনা এককভাবে এ কাজটা করেছে। আমার প্রশ্ন হলো, প্রকাশনা বিভাগের কাজ তাদের না জানিয়ে প্রশাসন এভাবে একতরফা কাজ করল কেন? এটা কি কোন অশনি সংকেত? এরপরের খবর আরো মারাত্মক। বেফাকে বইয়ের অর্ডার দিয়ে জানা গেল বহু বইয়ের প্রিন্ট নেই। কবে আসবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। শিক্ষা বছরের শুরুতে কেন এই সঙ্কট? বেফাক তো বাকীতে বই বিক্রি করে না। তাহলে তাদের অর্থনীতি সঙ্কট, এ কথা বলা যাবে না। এতো দিন ধরে বেফাক ব্যবসা করছে, যথেষ্ট লাভ করেছে তারা। ইতোপূর্বে কোনদিন বই ডিও বা প্রিন্ট নেই- এ কথা শোনা যায়নি, আজ কেন শুনতে হচ্ছে? ওখানে কি কোন অপছায়া ভর করছে? বেফাকের প্রকশনা বিভাগ কি কোন গভীর সঙ্কটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে? যারা এ ব্যাপারে কোন দায়িত্ব নিয়ে সমাধান বের করতে পারবেন, তাদের উচিত অতি দ্রুত বিষয়টির দিকে নজর দেওয়া।
বি.দ্র. বেফাকের সঙ্কট দেখলাম তাদের ওয়েব সাইট দেখে। মাত্র ছ হাজার টাকার জন্য তারা তাদের ডোমেইন ধরে রাখতে পারেনি। এই ছ হাজার টাকা কি বেফাকের জন্য অনেক বড় বোঝা? কথায় কথায় বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপলক্ষে বেফাকে তো বেশ ভালো খাই দাই হয়। তখন তো টাকার অভাব হয় না? এসব ক্ষেত্রে টাকা নাই কেন?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন