বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৫

চারিত্রিক ক্ষতিঃ -----------------------

এটা পরিক্ষিত সত্য যে, যার যে পরিমাণ সিনেমা দেখার অভ্যাস গড়ে উঠবে তার চরিত্র সে পরিমান দ্রুততার সাথে মারাত্মক ধ্বংসের দিকে অগ্রসর হতে থাকবে। বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের বেলায় এর প্রভাব অতি সহজে অনুমান করা যায়। সিনেমার কারণে ঘরে-বাইরে সর্বত্র চরিত্রহননমূলক অশালিন আলোচনা, অসাড় ও অনর্থক কাহিনী বর্ণনা, অশ্লীল ও যৌন আবেদনমূলক গানবাজনা ইত্যাদি প্রসার লাভ করে। ফলে বেয়াদবি এত চরমভাবে বিস্তার লাভ করে যে পিতা-পুত্র, ছোট-বড় এর কোন ভেদাভেদ থাকে না। মা-বাবার সামনেই ছেলেমেয়েরা অশালীনভাবে নাচতে-গাইতে শুরু করে। সন্তানদের মাঝে পিতা-মাতার অবাধ্যতা, তাদের সাথে রূঢ় এবং অসদ্ব্যবহার করা, বড়দের অমান্য করা, ছেটদের প্রতি নির্দয় হওয়া, শিক্ষকদের ব্যঙ্গ করা, পরস্ত্রীরর প্রতি লোভী হওয়া, পরের অনিষ্ট করা, প্রতিবেশীর মেয়েকে উত্ত্যক্ত করা, বেপর্দা-বেহায়াপনা প্রভৃতি বদভ্যাসগুলো প্রধানত সিনেমা এবং নাটক থেকেই জন্ম নিয়ে থাকে। মোটকথা নাটক-সিনেমার কারণে পরিবারের লজ্জা-শরম, ভদ্রতা-সভ্যতা, মমতা-সহমর্মিতা, শ্রদ্ধা-ভক্তি ইত্যাদি সবকিছুই বিলীন হয়ে যায়। ফলে পরিবারের উপর থেকে আল্লাহর রহমত ধীরে ধীরে লোপ পায় এবং যা হওয়ার কথা ছিল সুখের নীড় শতচেষ্টা করেও তা আর গড়ে তোলা যায় না। কার্যত সুখের স্থলে পরিবার অশান্তির নরক রাজ্য হয়ে ওঠে। কেউ হয়তো এ কথা বলতে পারেন যে, আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যরা সিনেমা দেখি কিন্তু কই আমাদের চরিত্রতো ঠিক আছে। আমি বলব, এটা হয়তো আপনাদের প্রাথমিক অবস্হা। কিছুদিন অতিক্রান্ত হলেই টের পাবেন এর পরিণতি কত ভয়াবহ। কারণ সিনেমা দেখার আগ্রহ এবং লিপ্সা দিন দিনন বাড়তে থাকে আর চরিত্রের মান দিন দিন ক্ষয় হতে থাকে। এটা এতো সন্তোর্পনে হয়ে থাকে যে প্রাথমিকভাবে টেরই পাওয়া যায় না যে, ব্যক্তি চরিত্রের দিক থেকে কত দ্রুত পিছিয়ে যায়।
মূলতঃ এটা হলো শয়তানি কৌশল। শয়তানই বিভিন্নভাবে মানুষের মনে লোভনীয় ও চমৎকার যুক্তি দিয়ে এসব মন্দকাজে উদ্বুদ্ধ করে। ফলে ব্যক্তি নিজের ভিতরের মন্দ মানুষটিকে জয় করে নিজেকে আর সৎ ও সুখী করে গড়ে তুলতে চায় না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন