বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৫

ফ্যাশনপূঁজার প্রবণতাঃ

নিয়মিত সিনেমা দেখার অভ্যাস গড়ে ওঠলে সাধারনত মানুষ মানষিকভাবে ফ্যাশনপূঁজারী হয়ে ওঠে। তখন সুন্নত মোতাবেক জীবনযাপনের পরিবর্তে ফ্যাশন মোতাবেক চলাকেই গৌরব মনে করে। এতে ব্যক্তির মনে এমন এক অপবিত্র ও অশুভ ছায়া পড়ে যার প্রভাবে সে মহানবী সা. এর চিরসুন্দর আদর্শ ত্যাগ করে ক্ষণিকের চোখ ঝলসানো ভেল্কিবাজির মত অত্যাধুনিক ফ্যাশনকেই নিজের জীবনের জন্য বেছে নেয়। নিম্নে কয়েকটি আলোচনা করা হলঃ
ক) ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক দাড়ি রাখা সুন্নত পক্ষান্তরে দাড়ি শেভ করা হালের ফ্যাশন। মানুষ সিনেমা দেখে দেখে নায়কদের অনুকরণে দাড়ি শেভ করতে অনুপ্রাণিত হয়।
খ) সুন্নত হলো, পুরুষ মাথায় টুপি দিয়ে থাকবে এবং চুল ছোট রাখবে। আর নারীরা সম্পূর্ণভাবে মাখার কেশ ঢেকে রাখবে। অথচ বর্তমানে উল্টো ছেলেরা সিনেমার নায়কদের অনুকরণে বড় বড় চুল রাখছে। আর মেয়রি অনুসরণ করছে নায়িকাদের। এভাবে খোলা মাথায় কেশের বাহারে যুবতীররা যুবকদেরকে রাস্তাঘাটে অপরাধের দিকে কেমন করে লেলিয়ে দিচ্ছে বলাই বাহুল্য। তারা এমন করে সুন্নতকে জবাই করছে আর ফ্যাশনকে লালন করছে অতি উৎসাহের সাথে এটা তো সিনেমারই কুফল।
গ) মহিলাদের হাতে মেহেদীর রং দেয়া হল সুন্নত। কিন্তু আজকের মেয়েরা মেহেদীর বদলে বছে নিয়েছে নেইল পলিশ। কারণ এটা নায়িকাদের ফ্যাশন। অথচ এই ফ্যাশনপূঁজার কারণে মেয়েদের না হচ্ছে অযু আর না হচ্ছে নামাজ। গভীরভাবে চিন্তা করলে বুঝা যায়, সিনেমা আবিস্কার করে অতি সুক্ষ্ণভাবে ইসলামের শত্রুরা মুসলমানদেরকে খোদার পথ থেকে সরিয়ে অন্যপথে ব্যস্ত রাখার যে ফাঁদ পেতেছে আমাদের বর্তমান প্রজন্ম সোৎসাহে সে ফাঁদে মাথা আটকিয়ে নিজেদের ভাবছে মুক্ত, স্বাধীন এবং প্রগতিশীল। এর পরিনাম যে কত কঠিন তা ভেবে দেখার অবকাশ পর্যন্ত তাদের নেই। আর যারা এতে বাধা দেয় তারা হয়ে যায় অসামাজিক, কাঠখোট্রা, রসকষহীন এবং প্রগতি বিরোধী ইত্যাদি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন