মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

এই বছর হজ্ব থেকে সাউদি সরকার যত টাকা আয় করলো!

অনেকেই নাস্তিক- সাউদি বিদ্বেষী - শিয়া- বিদাতীদের অপপ্রচারের কারনে মনে করেন হজ্বের থেকে লক্ষ লক্ষ রিয়াল আয় হচ্ছে সাউদি সরকারের! আর এটা দিলেই সাউদি সরকারের অর্থনীতি টিকে আছে! এটা যদি কেউ বলে যে, বিশ্ব ইজতেমায় লক্ষ লক্ষ বিদেশি মুসুল্লি আসে বলেই বাংলাদেশের অর্থনীতি টিকে আছে- তাহলে কথাটা কেমন শোনাবে? তার চেয়েও বেশি অবান্তর সৌদি অর্থনীতি নিয়ে বলাটা। শুধুমাত্র অজ্ঞতা এবং বিদ্বেষ থেকেই এসব কথা আসে।
কুয়েতে নিযুক্তসৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ড. আব্দুল আজিজ আল ফায়েজ বলেনঃ "সৌদি আরব হজ্জ ভিসার কোন বিনিময় নেয় না, ভিসা সম্পূর্ণ রূপে ফ্রি, আমরা জানতে পেরেছি কিছু অসৎ এজেন্সি মালিক হাজীদের কাছ থেকে ফি নিচ্ছে সৌদি আম্বাসির কথা বলে,
যারা এর বিনিময় নেয় এবং দাবি করে সৌদি আম্বাসি ভিসার ফি নিচ্ছে তারা চোর।"
আচ্ছা! যদি হজ্বের জন্য ভিসা ইস্যু করে কোন প্রকার টাকা না-ই রাখে সাউদি সরকার হাজীদের কাছ থেকে! তাহলে বাংলাদেশ থেকে হজ্বে আসতে দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা কেন লাগে! হ্যাঁ, এই টাকা গুলো মুলত যারা হজ্ব এজেন্সির দায়িত্বে আছেন তারা নিয়ে থাকেন হাজীদের নানা ধরনের সুযোগ সুবিদার বিনিময়ে। বিমানের টিকেটের দামই এখন ৪০-৫০ হাজার টাকা, আর মাক্কাহ মাদিনাতে দীর্ঘ একমাস থাকা খাওয়া+ যাতায়াত খরচা খচর বাবদ দুই লাখ টাকা এটা কি এমন কিছু??? আপনারা যারা মালয়শিয়া- থাইল্যান্ড- সিংগাপুর যান ঘুরতে তাদের তো এক সাপ্তাহ থেকেই এর থেকে বেশী টাকা খরচ হয়ে যায়।
আর হজ্ব থেকে আয়লদ্ধ টাকা দিয়ে সাউদি সরকারের দেশ চালানো লাগে না আলহামদুলিল্লাহ! saudi Aramco সাউদির রাষ্ট্রীয় পেট্রোল উত্তোলন কারী কোম্পানির এক দিনের আয় দিয়েই এমন ১০/১৫ টা হজ্বের থেকে যা আয় হয় (সাউদি বিরধী রা যা ভাবে) তার থেকে অধিক। আলে সাউদ তথা সাউদি সরকার হজ্ব কে বানিজ্য হিসেবে নেয় না! তারা এই হাজীদের খেদমত করাকে আল্লাহর সন্তুষ্টির উসিলা হিসেবে দেখে থাকে এবং তাদের বংশের একটা ঐতিহ্য হিসেবেও দেখে থাকে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন