সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

লজ্জা ও শালীনতা

লজ্জা নারীর স্বভাবজাত বিষয়। আমরা দেখি মেয়ে শিশু স্বভাবতই লজ্জাশীলা হয়। কিন্তু পরিবেশ এই স্বভাবকে অসুস্থ করে তোলে।
যেমন হাদীসে এসেছে ‘‘প্রতিটি শিশুই ইসলাম গ্রহণের স্বভাবজাত যোগ্যতা নিয়ে জন্ম নেয়, কিন্তু মাতা পিতা তাকে ইহুদী বা নাসারা বানায়’’।
আর লজ্জা ও শালীনতাবোধ অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। শালীনতার চূড়ান্ত শরয়ী রূপ হল পর্দা। পর্দার মধ্যে বড় ওড়না বা বোরকা, সেগুলো আকর্ষণীয় না হওয়া, কথার আওয়াজ কোমল ও আকর্ষণীয় না হওয়া, কথার বিষয়বস্ত্ত ও বাক্য শালীন হওয়া, চলার ভঙ্গি ও অঙ্গভঙ্গি মার্জিত হওয়া, বাইরে বের হলে সুগন্ধি ব্যবহার না করা, আকর্ষণ ও প্রদর্শন থেকে বিরত থাকা, পবিত্র মানসিকতা, আল্লাহর ভয় ইত্যাদি অনেক বিষয় অন্তর্ভুক্ত। আর সবগুলো বিষয় পালন করার জন্য শুধু একটি বিষয় প্রয়োজন। তা হল তাকওয়া বা আল্লাহর ভয়।
এ বিষয়টিই পর্দার আনুষাঙ্গিক সব বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে যার পর্দার শুরু আল্লাহভীতি থেকে তার আপনাআপনিই বাকিগুলো এসে যায়। আর যার পর্দার শুরু হয় পোশাক থেকে তার মাঝে আল্লাহভীতি আসা পর্যন্ত বাকি সবগুলো বোঝা মনে হয়। আর আল্লাহভীতি আসার জন্য সবচেয়ে সহায়ক হল সঠিক তারবিয়াত বা তত্ত্বাবধান ও সুন্দর পরিবেশ এবং সহীহ ইল্ম তথা পর্দা ও ইসলাম সম্বন্ধে স্বচ্ছ ধারণা।
কারো মাঝে যখন লজ্জাবোধ থাকে না তখন সে সবকিছুই করতে পারে। একটি হাদীসে এসেছে,
إذا لم تستحي فاصنع ما شئت
‘‘যখন তোমার থেকে লজ্জা বিদায় নেয় তখন যা ইচ্ছা তাই কর’’।-সহীহ বুখারী, হাদীস : ৬১২০; সুনানে আবু দাউ, হাদীস : ৪৭৬৪

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন