মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

হযরত অাবু হুরাই‌রা (রাঃ) ব‌লেন,

হযরত অাবু হুরাই‌রা (রাঃ) ব‌লেন, অা‌মি রসূল (সাঃ) কে এরশাদ কর‌তে শু‌নিয়া‌ছি,
বনী ঈসরাঈ‌লে দুই বন্ধু ছিল। তাহা‌দের ম‌ধ্যে একজন গুনাহ ক‌রিত এবং দ্বিতীয়জন খুব এবাদত ক‌রিত।
এবাদতকারী যখনই গুনাহগার‌কে গুনাহ ক‌রি‌তে দে‌খিত তখন তাহা‌কে ব‌লিত, তু‌মি গুনাহ হই‌তে ফি‌রিয়া যাও ।
উত্ত‌রে সে ব‌লিল , অামা‌কে অামার র‌বের উপর ছা‌ড়িয়া দাও ( অা‌মি বু‌ঝিব এবং অামার রব বু‌ঝি‌বে ) । তোমা‌কে কি অামার উপর পাহারাদার বানাইয়া পাঠা‌নো হইয়া‌ছে ?
অা‌বেদ (এবাদতকারী ) রাগা‌ন্বিত হইয়া ব‌লিল, অাল্লাহর কসম! অাল্লাহ তোমা‌কে মাফ করি‌বেন না। অথবা ইহা ব‌লিয়া‌ছে যে, অাল্লাহ তায়ালা তোমা‌কে জান্না‌তে দা‌খেল করি‌বেন না।
অতঃপর দুইজনই মারা গেল এবং (রূহ জগ‌তে) উভয়ই অাল্লাহ তায়ালার সাম‌নে এক‌ত্রিত হইয়া গেল । অাল্লাহ তায়ালা অা‌বেদ‌কে জিজ্ঞাসা ক‌রি‌লেন, তু‌মি কি অামার সম্প‌র্কে জা‌নি‌তে (যে, অা‌মি মাফ ক‌রিবনা) ? অথবা মাফ করার বিষয়‌টি যাহা অামার ক্ষমতায় র‌হিয়া‌ছে উহার উপর কি ক্ষমতা ছিল ( যে, তু‌মি মাফ করা হই‌তে অামা‌কে ফিরাইয়া রা‌খি‌বে ? )
অার গুনাহগার লোক‌টি‌কে ব‌লি‌লেন, অামার রহম‌তে জান্না‌তে চ‌লিয়া যাও। (কেননা সে রহম‌তের অাশাবাদী ছিল।)
অার দ্বিতীয় ব্যা‌ক্তি অর্থাৎ অা‌বেদ সম্প‌র্কে (ফে‌রেশতাগন‌কে) ব‌লি‌লেন, তাহা‌কে জাহান্না‌মে লইয়া যাও। ( অাবু দাউদ )
***********************
উক্ত হাদি‌সের উ‌দ্দেশ্য এই নয় যে, গুনা‌হের উপর সাহস করা হই‌বে। কেননা এই গুনাহগার লোক‌টির ক্ষমা অাল্লাহ তায়ালার মে‌হেরবানী‌তে হইয়া‌ছে। ইহা জরুরী নয় যে, প্র‌ত্যেক গুনাহগার‌দের স‌হিত একই অাচরণ করা হই‌বে। কেননা নিয়ম তো ইহাই যে, গুনাহের উপর শা‌স্তি হয়।
উক্ত হা‌দি‌সের উ‌দ্দেশ্য ইহাও নয় যে, গুনাহ ও নাজা‌য়েজ কা‌জে বাধা দেওয়া হই‌বে না। কেননা , কুরঅান ও হা‌দি‌সের শত শত জায়গায় গুনাহর কা‌জে বাধা দেওয়ার হুকুম র‌হিয়া‌ছে এবং বাধা না দেওয়ার উপর ধমকী অা‌সিয়া‌ছে।
অবশ্য অর্থ এই যে, নেককার , না অাপন নেকীর উপর ভরসা ক‌রি‌বে, অার না বদকা‌রের ব্যাপা‌রে কোন সিদ্ধান্ত দি‌বে, অার না তাহা‌কে তুচ্ছ জ্ঞান ক‌রি‌বে।
(দাওয়া‌তের এলম ,অামল ও ছিফত অর্জন করার জন্য চাই প্রশিক্ষন অার সফর করা, চলুন অাল্লাহর রাস্তায়)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন