মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

আমরা মনে করিতেছি যে,

আমরা মনে করিতেছি যে, বিভিন্ন স্থানে দ্বীনী মাদ্রাসা কায়েম হওয়া, উলামা কেরামগণের ওয়াজ নসীহত, খানাকাসমূহ আবাদ হওয়া, দ্বীনী কিতাবসমূহ লেখা, বিভিন্ন দ্বীনী পত্র-পত্রিকা প্রকাশ-এইসব কাজ আমর বিল মারুফ ও নাহী আনিল মুনকারের শাখা সমূহ। এইগুলির দ্বারা উক্ত দায়িত্ব আদায় হইতেছে।
ইহাতে সন্দেহ নাই যে, এই সমস্ত প্রতিষ্ঠান কায়েম থাকা ও টিকিয়া থাকা একান্ত জরুরী।; এইগুলির প্রতি লক্ষ্য রাখাও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের অন্তর্ভূক্ত। কেননা দ্বীনের কম বেশি ঝলক যাহা কিছু দেখা যাইতেছে তাহা এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানের বদৌলতেই দেখা যাইতেছে। তবুও গভীরভাবে চিন্তা করিলে দেখা যায় যে, আমাদের বর্তমান প্রয়োজনের তুলনায় এইসব প্রতিষ্ঠান যথেষ্ট নহে এবং এইগুলিকে যথেষ্ট মনে করা আমাদের প্রকাশ্য ভুল।
কেননা, এই সব প্রতিষ্ঠান দ্বারা আমরা তখনই উপকৃত হইতে পারিব যখন আমাদের অন্তরে দ্বীনের শওক ও তলব থাকিবে এবং দ্বীনের প্রতি আমাদের ভক্তি ও আজমত থাকিবে।
আজ হইতে পঞ্চাশ বছর আগে আমাদের মধ্যে দ্বীনের শওক ও তলব ছিল। তখন ঈমানের ঝলক দেখা যাইত। এইজন্য এইসব প্রতিষ্ঠান আমাদের জন্য যথেষ্ট ছিল।
কিন্তু আজ অমুসলিম জাতিসমূহের অক্লান্ত পরিশ্রম আমাদের ইসলামী জযবাকে একেবারে শেষ করিয়া দিয়াছে। তলব ও আগ্রহের পরিবর্তে আজ আমাদের মধ্যে দ্বীনের প্রতি ঘৃণা ও বিতৃষ্ণা দেখা যাইতেছে।
এহেন অবস্থায় আমাদের জন্য জরূরী হইল যে, আমরা সুনির্দিষ্ট কোন মেহনত আরম্ভ করি। যাহাতে জনসাধারণের মধ্যে দ্বীনের সহিত সম্পর্ক, শওক ও আগ্রহ পয়দা হয় এবং তাহাদের ঘুমন্ত জযবা পুনরায় জাগিয়া উঠে।
তখন আমরা ঐ সকল প্রতিষ্ঠান দ্বারা উহার শান অনুযায়ী উপকৃত হইতে পারিব।
অন্যথায় এইভাবে যদি দ্বীনের প্রতি অনিহা ও অবহেলা বৃদ্ধি পাইতে থাকে তবে ঐসকল প্রতিষ্ঠান হইতে উপকৃত হওয়াতো দূরের কথা ঐগুলি টিকাইয়া রাখাও মুশকিল নজরে আসিতেছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন