শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

ঈদের দিনে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত করনীয়-

১-ফজরের নামাজ জামায়াতে আদায় করা।
.
২-ঈদের দিন গোসল করা । (মুয়াত্তা মালেক-৪২৮)
.
৩-নতুন বা পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান করা। (বায়হাকি-৩/২৮১)
.
৪-ঈদুল ফিতরে বিজোড় সংখ্যক খেজুর খেয়ে যাওয়া আর ঈদুল আযহা বা কুরবানির ঈদে কিছু না খেয়ে যাওয়া এবং এসে কুরবানির গোস্ত প্রথমে খাওয়া সুন্নাত, যদি খুব দেরি না হয় তবে সুন্নাতটা পালন করা উচিত। (বুখারি-৯৫৩,তিরমিযী-৫৪২,দারেমী-১৬০৩)
.
৫-পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া এবং আসার সময় পায়ে হেটেই আসা এবং ভিন্ন রাস্তা দিয়ে আসা।(সহিহ ইবনে মাযাহ-১০৭০)
.
৬- ঈদের নামাজ মসজিদে না পড়ে ঈদের মাঠে পড়া তবে বৃষ্টির কারণে মসজিদে পড়া জায়েজ রয়েছে।(বুখারি)
.
৭-আরাফার দিন ফজরের সলাত থেকে ১৩ জিলহয আসর সলাত পর্যন্ত প্রত্যেক ফরয সলাতের পড় এই তাকবীর পাঠ করা- ‘‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়ালিল্লাহিল হামদ।’’ এছাড়াও ১৩ তারিখ পর্যন্ত যে কোন সময় পরাও উত্তম।(বুখারি)
.
৮-ঈদের সালাতে নিজেরা যাওয়ার পাশাপাশি মহিলাদেরকে সাথে নেওয়া এবং তাদের জন্য ঈদের মাঠে অবশ্যই আলাদা ব্যবস্থা রাখা। (বুখারি-৩২৪)
.
৯- প্রথম রাকাতে তাকবীরে তাহরিমাসহ অর্থাৎ প্রথম তাকবিরসহ ৭ তাকবীর এবং ২য় রাকাতে ৫ তাকবীর দিয়ে মোট ১২ তাকবীরে ঈদের সলাত আদায় করা। (সহিহ আবুদাউদ-১০১৮)
.
১০-একে অন্যকে এই বলে ঈদের শুভেচ্ছা জানানো- ‘তাকাববালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনক’ অর্থ- আল্লাহতায়ালা আমাদের ও আপনার ভাল কাজগুলো কবুল করুন। (ফাতহুল বারি,অধ্যায়-২, পৃঃ ৪৪৬)
.
১১- অবশ্যই ঈদের সলাত আগে আদায় করে এসে তারপর কুরবানি করা, সলাতের আগে কুরবানি করলে কুরবানিই হবে না। (বুখারি-৯৫৫)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন