বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

একটি গল্প শোনো

একদেশের রাজা একবার মন্ত্রীসভায় নতুন একটা ফরমান জারী করলেন। ঘোষণা করলেন, দেশের অলস মানুষদের রাজকোষ থেকে ভাতা প্রদান করা হবে। তাদের ভরণ-পোষণের ব্যাবস্থাও রাজকোষ থেকে করা হবে। অলসদের থাকার জন্য বিরাট একটা ভবনও নির্মান করালেন রাজা। চারদিকে রাজার ঘোষণা ছড়িয়ে পড়লো। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে অলসের দল আসতে শুরু করলো। রাজাও তাদের খাতির আত্যি করতে লাগলেন। কিছুদিন যেতে না যেতেই দেশের প্রায় ⅓ মানুষ অলসের কাতারে নাম লেখালো। 
:
রাজা পড়লেন মহা বিপাকে। দেশের এতো মানুষ যদি অলস হয়ে যায় তাহলে রাষ্ট্র কী করে চলবে? রাজা রুদ্ধদ্বার বৈঠক ডাকলেন। নিজের উদ্বেগের কথা পেশ করলেন। মন্ত্রীরা একেক পরামর্শ প্রদান করতে লাগলো। একজন মন্ত্রী বললো, মহারাজ! একটা বুদ্ধি আছে খাঁটি অলস নিরুপন করার ! তা হলো, ঘরের চারপাশে আগুন লাগিয়ে দেয়া হোক। যারা তারপরও বের হবে না। শুধু তারাই প্রকৃত অলস।
:
আগুন জ্বালানো হলো। দু‘জন ব্যাতীত সবাই বের হয়ে গেলো। দুই অলসের একজন অপর জনকে বললো, কীরে ভাই ! ঘরের চারপাশে মনে হয় আগুন লেগেছে। খুব গরম লাগছে। চল বেরিয়ে যাই। অপর অলস ধমক দিয়ে বললো, চুপ করে শুয়ে থাক। মনে হয় কারেণ্ট চলে গেছে তাই গরম লাগছে। এখনই কারেণ্ট চলে আসবে। এরপর রাজা এই দুইজনের পিঠে জাতীয় অলস সিল মেরে দিলেন।
:
দৃশ্যপট-[দুই]
:
বাংলাদেশের সরকার দেশের ওলামায়ে কেরামের মাঝে কে সরকারের প্রকৃত খায়েরখা তা নিরুপন করার করার জন্য পরীক্ষা নিতে চাইলেন। অনেকেই নিজেকে সরকারের খায়েরখা হিসেবে প্রকাশ করতে লাগলো। কিন্তু সরকার মহোদয় কে খাঁটি আর কে মেকি তা বুঝতে পারছিলেন না। মন্ত্রীসভায় প্রস্তাব উঠলো। ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে আঘাত করা শুরু করা হোক। তখন যারা প্রতিবাদ না করে চুপ থাকে তারাই সরকারের প্রকৃত দালাল।
:
যেই ভাবা সেই কাজ। শুরু করা হলো ইসলাম নিয়ে কটাক্ষ। রাসূলের সা. চরিত্রে কালিমা লেপন। মসজিদ ভাঙ্গন। ইসলামের বিভিন্ন রোকন নিয়ে অপব্যাখ্যা। প্রকৃত ও আহলে হক উলামায়ে কেরাম জ্বলে উঠলেন প্রতিবাদে। শত শত মানুষ শাপলায় হতাহত হলেন। কিন্তু সরকারের প্রকৃত দালাল আহলে শিন্নি অল বিরানী, মাজার পুজারী, বিদআতী রা তখনও চুপ। তখনও তারা নিজেকে সরকারের খায়েরখা প্রমানে ব্যস্ত। তখনো তাদের মুখে একটাই শ্লোগান.......... জয়তু শিন্নি। জয়তু দালালী।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন