বুধবার, ২৯ জুলাই, ২০১৫

আত্মার খোরাক


                                         -----০০০-----(১)------০০০-----

ইমামুল কুররা আছেম কূফী র. যখন মসজিদে নববীতে কুরআন তিলাওয়াত করতেন তখন তাঁর মুখ থেকে সুগন্ধি বের হতো। কেউ জিজ্ঞাসা করলো, হযরত ! আপনি কি মুখে এলাচি বা অন্য কোনো সুগন্ধি বস্তু রাখেন? আমরা এর আগে তো এমন সুগন্ধ কোথাও পাইনি ! তিনি বললেন, আরে নাহ ! তোমরা যা ভাবছো তা নয় ।
:
আসল ঘটনা হলো , একবার স্বপ্নযোগে নবী কারীম সা. এর জিয়ারত নসীব হয়েছিলো আমার । রাসূল সা. বললেন, আছেম ! তুমি এমন মহব্বতের সাথে কুরআন তিলাওয়াত করো যে, আমার কাছে খুব ভালো লাগে। এসো ! আমি তোমার মুখে চুমু দিয়ে দিই।
যখন থেেক রাসূল সা. স্বপ্নযোগে আমার মুখে চুমু দিলেন, তখন থেকে আমার মুখ থেকে সুগন্ধ বের হচ্ছে।

                                              ----০০০-----(২)------০০০-----


শায়খ যাকারিয়া র. “ফাজায়েলে দুরূদ“ কিতাবে লিখেছেন, এক ব্যক্তি প্রতিদিন শোয়ার পূর্বে দুরূদ শরীফ পড়তেন। একদিন স্বপ্নযোগে রাসূল সা. এর সাথে তাঁর সাক্ষাত নসীব হয়। আল্লাহর হাবীব সা. তাঁকে বললেন, তুমি যে মুখের মাধ্যমে আমার দুরূদ পড়ো, সে মুখ আমার কাছে নিয়ে এসো, আমি তাতে চুমু দিতে চাই। লোকটি তাঁর চেহারা রাসূল সা.-এর দিকে এগিয়ে দিলেন। আল্লাহর হাবীব তাঁর মুখে চুমু খেলেন। আমনি তাঁর ঘুম ভেঙ্গে গেলো। চোখ খুলে দেখলেন সমস্ত ঘর মেশকে আম্বরের সৌরভে মোহিত হয়ে আছে। অতঃপর আট দিন পর্যন্ত তাঁর মুখ থেকে মেশক আম্বরের সুগন্ধি বের হয়েছিলো। সুবহানাল্লাহ।
:
বন্ধুরা ! কুরআনে পাকের তিলাওয়াত ও দুরূদে রাসূল প্রকৃতার্থেই সৌভাগ্যের সোপান। যে কোন পরিস্থিতিতে মানষিক প্রশান্তি আনয়নে এ দুই আমলের বিকল্প নেই। তাছাড়া রাসূল সা.-এর দিদার লাভ যা প্রত্যেক মুমিনের চির কাঙ্খিত তা ও অর্জন হয় এই দুই আমলের ওপর ভিত্তি করে।
:
তাই আসুন ! বেশী বেশী করে কুরআন তিলাওয়াত ও দুরূদ শরীফ পাঠ করার মাধ্যমে নিজেকে সৌভাগ্যবানদের কাতারে শামিল করে নেই।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে তৌফিক দান করুন। আমীন।।
চলবে................................. 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন