মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই, ২০১৫

নববী মেহনতের দ্বারাই পরিবেশ তৈরি হয় ।

মেহনত করলে পরিবেশ তৈরি হয়। সাহাবা (রাজিঃ)মেহনত করে পরিবেশ তৈরি করেছেন। তাদের জীবনে দারিদ্রতা ছিল। এমন দারিদ্রতা যে আমরা কল্পনাও করতে পারি না। মেহমানের মেহমানদারির জন্য খানার তালাশে ১০ বাড়ী ঘুরে এসে শুধু পানি ছাড়া কোন কিছু মিলে নাই।এর পরেও নিজের অভাবের চেয়ে প্রতিবেশির অভাবকে এত বেশি অগ্রাধিকার দিতেন যে, একটি খাসির মাথা ৭ বাড়ী ঘুরে এসে প্রথম বাড়ীতে হাজির হয়েছে। নামাজ পড়ার মত পর্যাপ্ত কাপড়  পর্যন্তও ছিল না।একটি কাপড়ে স্বামী – স্ত্রী নামাজ পড়েছেন।জিহাদের সফরের পর্যাপ্ত জন্তু বাহন ছিল না।  
একটি ঘোড়াতে ১০ জন মিলে সফর করেছেন।এর পরেও মেহনত করেছেন । মেহনত করে দ্বীনের এক পরিবেশ তৈরি করেছেন । সাহাবা (রাজিঃ) কোরবানী করে যখন মেহনত করলেন আল্লাহ সামান আর সুরুতকে পরিবর্তন করে দিলেন । কুফরকে পরিবর্তন করে তৈহিদ দিলেন ।মাত্র ২৩ বছরের মেহনতে এমন এক পরিবেশ তৈরি হয়েছিল যা কয়েক শত বছর বিদ্যমান ছিল ।মেহনতের কারনে তাদের পরিবেশ ছিল না খেয়ে থাকার।সেখানে এমন রিজিক এর প্রশস্ততা এসেছিল যে, আজও তাদের আওলাদরা পর্যন্ত খাচ্ছেন । মেহনত করতে করতে তাদের দোয়া এমন অবস্থায় পৌছেছিল যে,তারা যা দোয়া করত আল্লাহ তাই কবুল করতেন । যতদিন এভাবে কোরবানীর সাথে মেহনত চালু ছিল ততদিন

দ্বীন বাড়তেছিল । যখন দাওয়াতের এই মেহনতের মধ্য যখন কমতি শুরু হয়েছে তখন আমাদের ভিতর থেকে দ্বীনবের হয়ে যাওয়া শুরু হয়েছে । আজও যদি আমরা সাহাবা (রাজিঃ) এর মত কুরবানী করে মেহনত শুরু করি । আল্লাহ দ্বীনকে সেই অবস্থায় পৌছে দিবেন যেখানে হুজুর (সাঃ) রেখে গিয়েছিলেন । হজরত মাওলানা ইলিয়াস (রহঃ) বলেন, আমাদের মেহনতের উদ্দেশ্য হল হুজুর (সাঃ) দ্বীনের মেহনত যে ছাতা রেখে গিয়েছিলেন সেখানে পৌছানো । আল্লাহ আমাদেরকে আমলের তৌফিক দান করেন । আমিন ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন