মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই, ২০১৫

একটা সময় ছিল ( ইমতিয়াজ আহমদ )

একটা সময় ছিল, ইসলামী ঘরানার ঈদসংখ্যা বলতে সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ছিল মুসলিম জাহান। ঐতিহাসিক উপন্যাস, ইতিহাস-ঐতিহ্য, গবেষণামূলক ও তাত্ত্বিক প্রবন্ধসহ নানা আয়োজনে বেশ পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেছিল মুসলিম জাহানের ঈদসংখ্যা। এরপর সবাইকে তাক লাগিয়ে সাহসী পদক্ষেপে এগিয়ে এল মাসিক রহমত। তারা পর পর দুবছরে দুটি ঈদসংখ্যা আমাদের উপহার দিল। ইসলামী ঘরানার পত্রিকা ইসলামী লেখক দিয়ে ঈদসংখ্যা বের করতে পারে তা তারা প্রমাণ করল। এরপরে রহমত আর ঈদসংখ্যা বের করতে পারল না, তবে শুণ্যস্থান পূরণে এগিয়ে এল সাপ্তাহিক লিখনী। তারা পর পর দুবছর দুটি ঈদসংখ্যা বের করল। এ বছর বের করবে এমন লম্ফঝ্ফ তারা ফেসবুকে করেছিল বটে, তবে তা আর পাঠকের চোখের সীমায় যেতে সাহস পায়নি। এর মাঝে আনতারা দুটি সংখ্যা (ওটা ঈদসংখ্যা নয়, তবে বেশ বড়সড়) বের করে আশার বাতি জ্বালিয়ে দুপ করে নিভে গেল।
কেন এ অবস্থা? আমাদের কিসের অভাব? আজ ইসলামী লেখকদের সংখ্যা এতোটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, ইসলামী লেখক ফোরাম নামে একটা সংগঠনের আত্মপ্রকাশ পর্যন্ত ঘটেছে। আজ আমাদের ভালো ঔপন্যাসিক আছে, আছে গল্পকার, ছড়াকার। ভালো অনুবাদক আছে, আছে ভালো গবেষক ও প্রবন্ধকার। তাহলে কেন বের হলো না নিদেনপক্ষে একটি ভালো মানের ঈদসংখ্যা? এ প্রশ্নের উত্তর আমাদের অবশ্যই খুজে বের করতে হবে। আমার সাথে অনেক একমত হবেন না, তারপরো বলি, এর জন্য আমাদের পৃষ্ঠপোষক ও পাঠকের অভাব রয়েছে। মোটামুটি বর্তমানে যে অবস্থা, তাতে লেখকের অভাব আছে এ কথা বলব না, তবে ইসলামী পত্রিকা বের করার জন্য আর্থিক ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করার লোকের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। ইসলামী পত্রিকায় ভালো অংকের বিজ্ঞাপন পাওয়া যায় না। তারপর কিনে পড়ার মতো পাঠকের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। তাহলে কার জন্য এতো বিশাল বাজেটে ঈদসংখা বের করা হবে?
ভালোমানের কিছু করতে হলে, পৃষ্ঠপোষক ও পাঠক তৈরী করতে হবে। অথবা স্মরণিকার মতো মুফত বিলি করে বলতে হবে এতে আমার লেখা আছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন