বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই, ২০১৫

হাদীসের আলোকে লা-মাযহাবীদের অবস্থানঃ-

এই দলটি যে ভ্রান্ত ও গোমরাহ , তা বুঝে আসে কয়েকটি হাদীস দ্বারা । হাদীস শরীফে এরশাদ হয়েছে- হযরত আনাস রাঃ বলেন, আমি রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি এরশাদ করেন, আমার উম্মত কখনো গোমরাহীর উপর একমত হবে না । সুতরাং যখন তোমরা মতবিরোধ দেখো তখন তোমরা বড় জামাতের অনুসরণ কর । (ইবনে মাজাহ ২৮৩) মিশকাত শরীফে এই হাদীসের দ্বিতীয় অংশ হচ্ছে- কেননা যে বড় জামাত থেকে পৃথক হয়ে যাবে, তাকে পৃথক ভাবে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে । (মিশকাত ১/৩০) এর মানে হল- যে মতের উপর বেশির ভাগ মুসলমান প্রতিষ্ঠিত, তোমরা সেই মতের অনুসরণ কর । সেই মত থেকে পৃথক হয়ে দাঁড়াবে না । এখন বিশ্বের দেড়শ কোটি মুসলমানের প্রতি লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে, হাতে গোনা কিছু লোক ছাড়া বাকী সবাই মুকাল্লিদ তথা চার মাযহাবের মধ্য থেকে কারো না কারো অনুসারী । আর রুটির মধ্যে লবনের মতো অলপ কয়েক জন হল লা-মাযিহাবী । অন্য হাদীসে এরশাদ হয়েছে, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, নিশ্চই আল্লাহ পাক আমার সকল উম্মতকে গোমরাহীর পথে একতাবদ্ধ করবেন না । মুসলমানদের সম্মিলিত দলের উপর আল্লাহ পাকের (সাহায্যের) হাত রয়েছে । সুতরাং যে পৃথক হয়ে গেল, সে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে । (তিরমিযী ২/৩৯)
এখন যদি আহলে হাদীসের বিবেচনা অনুযায়ী যদি সকল মুকাল্লিদরা গোমরাহ আর জাহান্নামী হয় আর তারা হাতে গোনা কয়েকজন জান্নাতের অধিবাসী হয়, তাহলে এই ছহী হাদীসের ব্যাখ্যা কী হবে ? এটা তো সিহাহ সিত্তাহর হাদীস, যা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই । বুঝা গে, সমস্ত উম্মত যে কথার উপর একমত, সেটাই ঠিক ।
আরো একটি হাদীস লক্ষ্যনীয়, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, নিশ্চই শয়তান মানুষের জন্য নেকড়ে স্বরূপ, যেমন নাকি নেকড়ে দলছুট হয়ে যাওয়া বা দূরে সরে যাওয়া বকরীকে নিয়ে পালায় ( অনুরূপ ভাবে যে মানুষ জামাত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, শয়তানও তাকে গোমরাহ করে দেয় ) সুতরাং তোমরা জামাতকে আকড়ে ধর । (আহমাদ) অর্থাৎ দলছুট বকরীর উপর নেকড়ে যেমন স্বাচ্ছন্দে হামলা চালায়, অনুরূপভাবে শয়তানও সেই ব্যক্তির উপর সাওয়ার হয়ে যায়- যে যে উলামায়ে কেরামের জামাত থেকে পৃথক হয়ে নতুন কোন মতবাদ আবিষ্কার করে ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন