বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই, ২০১৫

মাত্র ৩ মাসে পবিত্র কোরআন মুখস্থ করল তুরস্কের কিশোরী


তুরস্কের ১২ বছরের কিশোরী ‘আলিফ উযান’ মাত্র ৩ মাসে সম্পূর্ণ কোরআন হেফজ করতে সক্ষম হয়েছে। তুরস্কের ধর্মীয় সংস্থা জানিয়েছে, তুরস্কের ‘কুনিয়া’ প্রদেশের কারাপিনার শহরে ১২ বছরের কিশোরী ‘আলিফ উজান’ বিশেষ প্রশিক্ষণ ও নিয়মিত চেষ্টার সুবাদে মাত্র ৩ মাসে পবিত্র কোরআনে কারিমের ৩০ পারা মুখস্থ করতে সক্ষম হয়েছে।

তুরস্কের ধর্ম বিষয়ক সংবাদ মিডিয়ায় এক সাক্ষাতকারে আলিফ উজান বলেন, ‘আমি বিশেষ প্রশিক্ষণ ও পদ্ধতি অবলম্বনের ফলে মাত্র ৩ মাসে পবিত্র কোরআনে কারিম হেফজ করতে সক্ষম হয়েছি। কিশোরী আলিফ অারও বলেন, ‘আমার বড় বোনও পবিত্র কোরআনের হাফেজ। কোরআন প্রশিক্ষণ সেন্টার থেকে তার বিদায় অনুষ্ঠানের দিনে, আমি ৩ মাসে কোরআন হেফজ করার ইচ্ছা করি, পরে সে অনুযায়ী কর্মপন্থা চলতে থাকে। আমি খুশি যে, আমার পরিকল্পনা মোতাবেক সবকিছু হয়েছে। আল্লাহর প্রতি আমি ভীষণ কৃতজ্ঞ। কারণ তার সাহায্য ছাড়া এ কাজ কখনও সম্ভব নয়।’

ওই সাক্ষাতকারে আলিফ আরও বলেন, ‘জাফর নামক কোরআন প্রশিক্ষণ সেন্টারে আমি কোরআনের ক্লাস করেছি। ওই কোরআন প্রশিক্ষণ সেন্টারে আমার সমবয়সী আর কেউ ছিল না। এ জন্য আমি মাঝে-মধ্যে মন খারাপ করতাম। তবে কোরআন প্রশিক্ষণ সেন্টার আমার থেকে যারা বয়সে বড় ছিল তারা সবাই আমাকে দারুণভাবে সহযোগিতা করেছে, তারা আমাকে খুব ভালোবাসত। আর এটি আমার জন্য অনেক আনন্দদায়ক ছিল। এর ফলে আমি অল্প সময়ে কোরআন হেফজ করতে সক্ষম হয়েছি।

কিশোরী এই হাফেজ আরও বলেন, যারা পবিত্র কোরআনের হাফেজ হতে ইচ্ছা করেন, তাদের প্রতি আমার অনুরোধ হলো, এ কাজ শুরু করার পর পরিকল্পিতভাবে প্রচেষ্টা চালাতে হবে, সেই সঙ্গে প্রশিক্ষকের নির্দেশ পুরোপুরি মনে চলতে হবে। তবেই সফলতা আসবে। 

সাক্ষাতকারের শেষে অালিফ বলেন, এবার আমি পবিত্র কোরআনের অর্থ এবং আরবি ভাষা শিখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি ভবিষ্যতে আমার জীবনের সম্পূর্ণ সময়কে পবিত্র কোরআনের নির্দেশমতে ও কোরআনের পথে নিয়োজিত করতে চাই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন