বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

ইফতারের গুরুত্ব ও ফজিলত

ইফতার রমজানের পরিবেশ তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। মানুষের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটি এক বিশেষ নিয়ামত। এটি পালন শুধু কর্তব্য নয়, আনন্দও বটে। এতে আল্লাহর প্রতি বান্দার আনুগত্যের দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়।
ইফতারের সময় সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, সুবহে সাদিক হতে রাত অবধি রোজা পূর্ণ করো। (সুরা বাকারা, আয়াত-১৮৭) অর্থাৎ সূর্য অস্ত যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রোজা শেষ করে ইফতার করা।
একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রোজাদারের দুটি সময় আনন্দের- এক ইফতারের সময়, দ্বিতীয় আল্লাহ সঙ্গে মিলিত হওয়ার সময়।
‘ইফতার’ আরবি শব্দ, যার অর্থ রোজা ভঙ্গ করা বা সমাপ্ত করা। ইফতার রোজাদারদের জন্য একটি আনন্দময় সময়। ইসলামি পরিভাষায়, সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার, কামাচার ও পাপাচার থেকে বিরত থেকে সূর্যাস্তের পর কিছু খেয়ে বা পান করে রোজা সমাপ্ত করার নামই ইফতার।
রহমত-বরকত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস মাহে রমযান হলো আত্নশুদ্ধির মৌসুম৷ এ মাসের প্রতিটি আমলের দ্বারা মানুষ আত্মার উত্কর্ষ সাধন করে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি ও বন্ধুন্ত লাভের যোগ্যতা আর্জন করতে পারে৷ দীদারে এলাহী লাভে ধন্য হয়৷
রমযানের সুন্নাত আমল সমূহের মধ্যে অন্যতম হলো ইফতার৷ হযরত সালমান ফারসী (রা.) বর্ণিত হাদীসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেছেন,
ﻟﻠﺼﺎﺋﻢ ﻓﺮﺣﺘﺎﻥ ﻓﺮﺣﺔ ﻋﻨﺪ ﻓﻄﺮﻩ ﻭ ﻓﺮﺣﺔ ﻋﻨﺪ ﻟﻘﺎﺀ ﺭﺑﻪ
‘‘রোযাদারের জন্য দুটি আনন্দ৷ একটি আনন্দ ইফতারের সময়, অপর আনন্দ তার রবের সাথে সাক্ষাত’’৷
সুর্যাতের পরপরই ইফতার করা সুন্নাত৷ ইফতারে তড়াতাড়ী করা এবং দেরী না করা উত্তম৷ হাদীসে কুদসীতে আছে, আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেন, আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
ﺍﻥ ﺍﺣﺐ ﻋﺒﺎﺩﻯ ﺍﻟﻰ ﺍﻋﺠﻠﻬﻢ ﻓﻄﺮﺍ – ( ﺭﻭﺍﻩ ﺍﺣﻤﺪ ﻭﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻯ )
‘‘আমর নিকট সর্বাধিক প্রিয় ঐ বান্দাগণ যারা বিলম্ব নাকরে তাড়াতাড়ী ইফতার করে”৷
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘‘সে পর্যন্ত দ্বীন ইসলাম বিজয়ী থাকবে যতদিন মানুষ শীঘ্র ইফতার করবে৷ কেননা ইহুদী ও নসারাগণ দেরীতে ইফতার করে”৷
হযরত সাহল বিন সা‘দ (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
ﻻ ﻳﺰﺍﻝ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﺑﺨﻴﺮ ﻣﺎ ﻋﺠﻠﻮﺍ ﺍﻟﻔﻄﺮ – ( ﻣﺘﻔﻖ ﻋﻠﻴﻪ )
‘‘মানুষ সর্বদা তাড়াতাড়ী ইফতার করলে তাতে কল্যাণ নিহিত রয়েছে”৷

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন