হাম্বলী মাজহাব অবলম্বনকারী পরবর্তী ফেকাহ শাস্ত্রবিদগণের দৃষ্টিতে পর্দার অপরিহার্যতা:
আল-মুন্তাহা নামক গ্রন্থে উল্লেখ আছে যে,পুরুষত্বহীন (যার অন্ডকোষ ফেলে দেয়া হয়েছে) ও লিঙ্গবিহীন পুরুষের জন্য পর নারীর প্রতি দৃষ্টিপাত করা হারাম।আল-ইক্বনা নামক গ্রন্থে উল্লেখ আছে যে, পুরুষত্বহীন, নপুংসক পুরুষের জন্যে নারী দর্শন হারাম। এই কিতাবের অন্যত্র উল্লেখ আছে, স্বাধীন পর নারীর প্রতি ইচ্ছাকৃত দৃষ্টিপাত করা এমনকি তার চুলের প্রতি নজর করাও হারাম।আদ-দলীল গ্রন্থের মূল পাঠে উল্লেখ আছে,দৃষ্টিপাত আট প্রকার। প্রথম প্রকার হল: সাবালক যুবকের পক্ষে (যদিও সে লিঙ্গ কর্তিত হয়) স্বাধীন প্রাপ্তবয়স্কা নারীর প্রতি (বিনা প্রয়োজনে) তাকানো হারাম। এমনকি রমনীর মাথার কৃত্রিম চুলের প্রতিও তাকানো জায়েয নয়।শাফেয়ী মতাবলম্বী ফেকাহ শাস্ত্রবিদগণের পর্দা সম্পর্কিত অভিমত।নারীর প্রতি কামুক দৃষ্টিতে তাকানো হারাম অনুরূপভাবে যে দৃষ্টিতে ফেতনার আশঙ্কা আছে সেটিও হারাম।আর দৃষ্টি যদি কামোভাব সহকারে না হয় এবং এতে ফেৎনা সৃষ্টির আশংকাও না থাকে এ ক্ষেত্রে তারা দুইটি অভিমত পেশ করেন। শারহুল ইক্বনা গ্রন্থকার অভিমতদ্বয় উল্লেখ করে বলেন, ত্রুটিমুক্ত ও বিশুদ্ধ মতটি হল: এ ধরনের দৃষ্টিপাত হারাম। তাদের প্রসিদ্ধ গ্রন্থ আল মিনহাজে উল্লেখ আছে যে, রমণীর পক্ষে মুখমন্ডল খোলা রেখে বের হওয়া মুসলিমদের ঐক্যমতে নিষিদ্ধ। তাতে আরও বলা হয়েছে, মুসলিম শাসকবৃন্দের ইসলামি ও ঈমানি দায়িত্ব হচ্ছে, মহিলা সম্প্রদায়ের প্রতি মুখমন্ডল খোলা রেখে বের হওয়ার উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা। কারণ, ফেৎনা সৃষ্টি ও যৌন উত্তেজনার মূলে দর্শনই দায়ী। যেমন, আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন:
আল-মুন্তাহা নামক গ্রন্থে উল্লেখ আছে যে,পুরুষত্বহীন (যার অন্ডকোষ ফেলে দেয়া হয়েছে) ও লিঙ্গবিহীন পুরুষের জন্য পর নারীর প্রতি দৃষ্টিপাত করা হারাম।আল-ইক্বনা নামক গ্রন্থে উল্লেখ আছে যে, পুরুষত্বহীন, নপুংসক পুরুষের জন্যে নারী দর্শন হারাম। এই কিতাবের অন্যত্র উল্লেখ আছে, স্বাধীন পর নারীর প্রতি ইচ্ছাকৃত দৃষ্টিপাত করা এমনকি তার চুলের প্রতি নজর করাও হারাম।আদ-দলীল গ্রন্থের মূল পাঠে উল্লেখ আছে,দৃষ্টিপাত আট প্রকার। প্রথম প্রকার হল: সাবালক যুবকের পক্ষে (যদিও সে লিঙ্গ কর্তিত হয়) স্বাধীন প্রাপ্তবয়স্কা নারীর প্রতি (বিনা প্রয়োজনে) তাকানো হারাম। এমনকি রমনীর মাথার কৃত্রিম চুলের প্রতিও তাকানো জায়েয নয়।শাফেয়ী মতাবলম্বী ফেকাহ শাস্ত্রবিদগণের পর্দা সম্পর্কিত অভিমত।নারীর প্রতি কামুক দৃষ্টিতে তাকানো হারাম অনুরূপভাবে যে দৃষ্টিতে ফেতনার আশঙ্কা আছে সেটিও হারাম।আর দৃষ্টি যদি কামোভাব সহকারে না হয় এবং এতে ফেৎনা সৃষ্টির আশংকাও না থাকে এ ক্ষেত্রে তারা দুইটি অভিমত পেশ করেন। শারহুল ইক্বনা গ্রন্থকার অভিমতদ্বয় উল্লেখ করে বলেন, ত্রুটিমুক্ত ও বিশুদ্ধ মতটি হল: এ ধরনের দৃষ্টিপাত হারাম। তাদের প্রসিদ্ধ গ্রন্থ আল মিনহাজে উল্লেখ আছে যে, রমণীর পক্ষে মুখমন্ডল খোলা রেখে বের হওয়া মুসলিমদের ঐক্যমতে নিষিদ্ধ। তাতে আরও বলা হয়েছে, মুসলিম শাসকবৃন্দের ইসলামি ও ঈমানি দায়িত্ব হচ্ছে, মহিলা সম্প্রদায়ের প্রতি মুখমন্ডল খোলা রেখে বের হওয়ার উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা। কারণ, ফেৎনা সৃষ্টি ও যৌন উত্তেজনার মূলে দর্শনই দায়ী। যেমন, আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন:
وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ
আর তুমি মুমিনদেরকে বলে দাও তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনত রাখে। (সূরা নূর-৩০)
প্রজ্ঞাভিত্তিক ইসলামি শরিয়তের বিধি-বিধানের লক্ষ্য হচ্ছে ফিৎনা-ফাসাদ, অনাচার, ব্যভিচারসহ যাবতীয় অবাধ্যতার ছিদ্রপথ চিরতরে বন্ধ করে দেয়া।মুনতাকাল আখবার গ্রন্থের ব্যাখ্যাগ্রন্থ নাইলুল আওতারে উল্লেখ আছে, নারীর জন্যে মুখমন্ডল খোলা রেখে বেপর্দা হয়ে বের হওয়া বিশেষত: দুষ্ট-দুরাচার-পাপীলোকদের সম্মুখে ইসলামপন্থীদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে হারাম।
আর তুমি মুমিনদেরকে বলে দাও তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনত রাখে। (সূরা নূর-৩০)
প্রজ্ঞাভিত্তিক ইসলামি শরিয়তের বিধি-বিধানের লক্ষ্য হচ্ছে ফিৎনা-ফাসাদ, অনাচার, ব্যভিচারসহ যাবতীয় অবাধ্যতার ছিদ্রপথ চিরতরে বন্ধ করে দেয়া।মুনতাকাল আখবার গ্রন্থের ব্যাখ্যাগ্রন্থ নাইলুল আওতারে উল্লেখ আছে, নারীর জন্যে মুখমন্ডল খোলা রেখে বেপর্দা হয়ে বের হওয়া বিশেষত: দুষ্ট-দুরাচার-পাপীলোকদের সম্মুখে ইসলামপন্থীদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে হারাম।
• মুখমন্ডল খোলা রাখার মতাবলম্বীদের কতিপয় যুক্তি:
আমার জানামতে যারা নারীর হাত ও মুখমন্ডলকে ইসলামি পর্দা বহিভূর্ত মনে করে, এবং তা অনাবৃত রাখা এবং তার প্রতি পরপুরুষের দৃষ্টিপাত করা জায়েয বলে মত পোষণ করেন, পবিত্র কোরআন ও সুন্নাহ ভিত্তিক তাদের কোনো দলীল নেই। হ্যাঁ কোরআন ও সুন্নাহ থেকে নিম্নোক্ত প্র্রমাণাদি পেশ করতে পারেন।
(১) আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন,
وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا
আর তারা যেন যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য তারা প্রকাশ করবে না। (সূরা নূর: ৩১)
কারণ, সাহাবি আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রা:) মা জাহারা মিনহা (যা সাধারণত: প্রকাশ হয়ে পড়ে) আয়াতের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, এখানে নারীর হাত, আংটি এবং মুখমন্ডল বুঝানো হয়েছে। (কেননা কোনো নারী প্রয়োজন বশত: বাইরে যেতে বাধ্য হলে চলা ফেরা ও লেন-দেনের সময় মুখমন্ডল ও হাত আবৃত রাখা খুবই কষ্টকর হয়)। এ তাফসীর ইমাম আমাশ সাঈদ বিন যুবাইরের মধ্যস্থতায় আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রা. হতে বর্ণনা করেছেন। আর সাহাবির তাফসীর শরিয়তের বিধান সাব্যস্ত হওয়ার ক্ষেত্রে দলীল হিসাবে গৃহীত।
وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا
আর তারা যেন যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য তারা প্রকাশ করবে না। (সূরা নূর: ৩১)
কারণ, সাহাবি আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রা:) মা জাহারা মিনহা (যা সাধারণত: প্রকাশ হয়ে পড়ে) আয়াতের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, এখানে নারীর হাত, আংটি এবং মুখমন্ডল বুঝানো হয়েছে। (কেননা কোনো নারী প্রয়োজন বশত: বাইরে যেতে বাধ্য হলে চলা ফেরা ও লেন-দেনের সময় মুখমন্ডল ও হাত আবৃত রাখা খুবই কষ্টকর হয়)। এ তাফসীর ইমাম আমাশ সাঈদ বিন যুবাইরের মধ্যস্থতায় আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রা. হতে বর্ণনা করেছেন। আর সাহাবির তাফসীর শরিয়তের বিধান সাব্যস্ত হওয়ার ক্ষেত্রে দলীল হিসাবে গৃহীত।
(২) ইমাম আবু-দাউদ তার প্রসিদ্ধ গ্রন্থ সুনানে আবু-দাউদ-এ উম্মত জননী আয়েশা (রা.) এর বর্ণনা উদ্ধৃত করেছেন, একদা আবু-বকর (রা.) তনয়া আসমা রা: পাতলা কাপড় পরিধান করে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সমীপে উপস্থিত হলে নবীজী চেহারা মুবারক অপর দিকে ফিরিয়ে হাত ও মুখমন্ডলের প্রতি ইংগিত করে আসমাকে বললেন, হে আসমা! মেয়ে মানুষের প্রাপ্তবয়স্ক হবার পর তার মুখমন্ডল ও হাত ছাড়া শরীরের অন্য কোনো অংশই দৃষ্টি গোচর হওয়া উচিত নয়।
(৩) বুখারি শরীফে উদ্ধৃত হয়েছে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) বর্ণনা করেন, বিদায় হজের সময় তার ভ্রাতা ফজল বিন আব্বাস রা: রাসূলের সাথে সওয়ারীর পিছনে উপবিষ্ট ছিলেন, ইতিমধ্যে খুসআম গোত্রের জনৈকা মহিলা রাসূলের সমীপে উপস্থিত হলে ফজল মহিলার প্রতি তাকাচ্ছিলেন এবং মহিলাও ফজলের প্রতি দৃষ্টি প্রদান করছিল, তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ফজল ইবনে আব্বাসের চেহারা অন্য দিকে ফিরিয়ে দেন। এতে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, মহিলাটির মূখমন্ডল খোলা ছিল।
(৪) সহীহ বুখারি ও অন্যান্য হাদীস গ্রন্থে জাবের (রা:) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কর্তৃক লোকদের নিয়ে ঈদের নামাজের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নামাজ শেষ করে লোকদেরকে আখেরাত সংক
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন