" ইসলাম মেয়েটিকে শ্রেষ্ট রোমান্টিক প্রেমিকা ও সার্থক স্ত্রী বানিয়ে ছাড়লো "
ইউরোপ হতে বহু বছর পড়াশোনা করে বাবা মার ইচ্ছায় ছেলেটি বিয়ে করে দ্বীনদার একটি মেয়েকে। বউয়ের পুরো শরীর মোড়ানো লাল শাড়ি ও চুপ চাপ বসে থাকা প্রথম দিন হতেই ছেলেটির ভাল লাগছিলনা।
বাসর রাতে মেয়েটির পরিবার ছেড়ে আসায় মন খারাপ, কিছুটা ক্লান্ত। এমন একটা অলস মেয়েকে দেখে কোন ভাবে ছেলেটি খুশি হতে পারলোনা।শুরু হতে থাকলো মেয়েটির প্রতি গোপন এক ঘৃনা। কারন স্বপ্ন ছিল ইউরোপের মেয়ে বা এমন কাউকেই বিয়ে করা।
ইউরোপে উলংগ মেয়েদের সাদা, হলুদ চমকানো টাইট ফিটিং আকর্ষনীয় সুগন্ধিময় লম্বা, চওরা শরীর দেখে দেখে হ়দয়টা এত বেশী অন্ধকার ছিল যে,, ছেলেটি পুতলের মেয়ে কাপড়ে আবৃত নীরব বউয়ের পবিএ ভালবাসাটা বুঝতে পারলোনা।তার মনে কোন ভাবেই বউয়ের প্রতি খুশি আসছিলনা।
সংসার চলছে, মেয়েটি বুঝতে পারছেনা কোন ভাবে কেন তার স্বামি তাকে পছন্দ করছেনা। কৌশল করে তার জামাইয়ের ইচ্ছাটা বোঝার চেষ্টা করতে লাগলো।
লম্বা সময় পর বুঝতে পারলো যে তার স্বামি ইউরোপের মেয়ের মতই তাকে দেখতে চায়।
শত হোক সংসারটা তো বাচাতে হবে। তারপর মেয়েটা ইউরোপের মেয়েদের কিছু ফটো দেখলো। তাদের চাল চলনটা বুঝতে চেষ্টা করলো।।
তারপর হতে, সারাদিন সংসার করে জামাইয়ের সাথে ভালবাসা বাড়াতে শুরু করলো, কখনো মেসেস দেয়া, কখনো Love u, Miss u বলা শুরু করলো। ছেলেটি ফিরে আসার আগেই চুল শ্যাম্পু করে নানা ডিজাইনে বেধে মেক আপ, গেট আপ এবং কিছু মডার্ন ড্রেস পড়া শুরু করলো।
ওদিকে জায়নামাজে 'আল্লাহ ' কে বলতে লাগলো : হে আল্লাহ আপনি আমার স্বামির চোখে আমাকেই সবচেয়ে সুন্দর দেখান, তার হৃদয় অপবিএ নারীদের খেয়াল মুছে দেন।
স্বামির চোখে মেয়েটি দিন দিন আকর্ষনিয় ভংগিতে সামনে আসতে লাগলো, ভালবাসার মধ্যেও প্রান সৃষ্টি করতে লাগলো, দুরে থাকলে, সব সময় নানা মেসেজে কানেক্ট থাকলো।
একটা সময় আসলো ছেলেটি তার বউয়ের ভালবাসায় চরম ভাবে নিজেকে হারাতে লাগলো, তার অভিযোগ কেটে গেলো ; সব শেষে বলে দিল :
" আগে যে খারাপ আচরন করছি মাফ করে দাও, প্রকৃত তুমি আমার সবচেয়ে প্রিয়, আমি গর্বিত তোমার মত স্ত্রী পেয়ে ''!
আজ হাজারো মেয়ে সংসারের অনেক কাজ করে কিন্তু জামাইয়ের ভালবাসার সময় এরা বড় অলস, তখনি এই সংসারে অশান্তির আগুন জ্বলে উঠে! তারা ভুলে যায়, তাদেরকে বানানোই হয়েছে শুধু স্বামির প্রশান্তির জন্য!!!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন