বিজ্ঞান বিজ্ঞান করতে করতে নাস্তিকরা পাগল
হয়ে যায় অথচ বোঝে না ইউরোপকে অন্ধকার যুগ থেকে বিজ্ঞানে এনেছে মুসলিমরাই ! আসলে
তারা খ্রিস্টান ধর্ম দিয়ে ইসলামকে বিচার করে ! ইউরোপের
ইতিহাসে সব সময় খ্রিস্টান ধর্মীয় নেতারা বিজ্ঞানের বিরোধিতা করেছে আর তাই
ইউরোপীয় নাস্তিকদের ধারণা মুসলিমরাও বুঝি বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে ! ইসলাম নৈতিক
বিজ্ঞানের ব্যবহারকে সমর্থন করে কিন্তু বিজ্ঞানকে অনৈতিক কাজে ব্যবহারকে ইসলাম
সমর্থন করে না ! অনেক নাস্তিক আমাকে বলে মুসলিম বিশ্বের দারিদ্র অবস্থার কথা ! আমি
উত্তরে বলি এই বর্তমান অশিক্ষা আর দারিদ্রের মূল কারণ দুশ বছরের ইউরোপীয় শাসন আর
শোষণ ! তারা কি আফ্রিকায় দরিদ্র খ্রিস্টান দেশগুলো দেখে না যেখানে মধ্য আফ্রিকায়
খ্রিস্টানরা মুসলিমদের জীবন্ত জালিয়ে ভক্ষণ করেছিল কিছুদিন আগে যিশুর নামে ? তারা আর্থিক দৈন্যতা দেখে কিন্তু তারা মানবিক দৈন্যতা দেখে না যখন মা বাবাকে
বৃদ্ধাশ্রমে পাঠায় ইউরোপে আমেরিকায় ? তারা কি অমানবিকতা দেখে না
যখন নাস্তিক ধনী দেশগুলো দরিদ্র দেশগুলোকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আইনে আর্থিকভাবে WTO, G8, IMF করে শোষণ করে ? তারা তাদের অর্থ সম্পদের
কতটুকু দান করে ? তারা কেনো বাবা মা বা
পশুপাখির সাথে যৌনকর্মকে আইনত সিদ্ধ্ব করে ? তারা কেনো হিরোশিমায় বোমা ফেলে ? তাদের মাঝে যেই মানবিক
আইনগুলো আছে যেমন বিধবা ভাতা, বেকার ভাতা, বিনা পয়সায় চিকিত্সা, বৃদ্ধ ভাতা , শিশু ভরণ পোষণ আইন - এগুলো সবই তো মুসলিমদের কাছ থেকে নেয়া ! ইউরোপ নাকি
খ্রিস্টান মতবাদের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে ! তাই নাকি ? তালাকের নিয়ম কোথা থেকে এসেছিল ? বাইবেলে তো মেয়েদের শেখানো
হয়েছে তারা স্বামীর শরীরের অংশ আর তাই স্বামী অত্যাচার করলে একমাত্র উপাসনা করে
স্বামীর জন্য দোয়া করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না ! ইসলামের তালাকের নিয়ম
পৃথিবীতে না আসলে আর আজকে তালাকের নিয়ম উঠিয়ে দিলে পশ্চিমের নারীরাই সবচাইতে আগে
দলে দিলে মুসলিম হওয়া শুরু করবে ! পশ্চিমের যা কিছু ভালো দেখি প্রায় সবই ইসলাম
থেকে এসেছে আর মুসলিম বিশ্বের এই অবস্থার জন্য মূল কারণ আমরা মুসলিমরা ইসলাম থেকে
সরে বর্বর মধ্য যুগিয় খ্রিস্টান নিয়মগুলোকে আপন করে নিয়েছি !! পশ্চিম বিশ্ব
আর্থিকভাবে দরিদ্র হয়ে গেলে বোঝা যাবে মানবিকতা কোথায় যায় ! - মুফাস্সিল ইসলাম
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন