জাতী হিসেবে পৃথিবীতে আমরাই শ্রেষ্ঠ জাতি। কারণ আমাদের
আছে একটি
গৌরবোজ্জল সোনালী অতীত আমাদের হাতেই রচিত হয়েছে. পৃথিবীর তামাম সফলতার
সোনালী- গাঁথা।
অর্ধ-পৃথিবী শাষণ আমরাই করেছি। সব সভ্যতা ও সুশিক্ষার রূদ্ধদ্বার আমরাই খুলেছি। পৃথিবীতে যখন সভ্যতার আলো
বলেকিছু ছিল না। মানবতা যখন দিকভ্রান্ত পথিকের ন্যায় গুমড়ে গুমড়ে কেঁদে ফিরছিলো। মিথ্যার তমশা যখন
ছড়িয়ে পড়েছিলো
সর্বত্র। ঠিক তখনি সত্যের আলোক
বর্তিকা হাতে পৃথিবীতে আগমন
করেছিলেন মানবতার মুক্তির দিশারী
মুহাম্মাদে আরাবী সা.। তিনি
মানবেতিহাসে সভ্যতা ও
মানবতার এক নব দিগন্ত উন্মোচন করেছিলেন তাঁর উসওয়ায়ে
হাসানার বদৌলতে।
হিংস্র মানুষগুলোকেপরিণতকরেছেন সোনার মানুষে। তারি পদাঙ্ক অনুস্বরণ করে পরবর্তীতে সাহাবা ও তাবেঈনগন সোনালী আখরে রচনা করেছেন এক চমকপ্রদ, দ্বীপ্তিমান দাস্তান। যার
আলোচনা করে আমরা
আজো আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে পরি। তৃপ্তি অনুভব করি হৃদয় কোনে :তখন
সবখানে ছিলো শান্তি আর শান্তি।
কারণ, পৃথিবীতে বিরাজমান ছিলো ইসলামী খিলাফাত ব্যবস্থা। তখনি পৃথিবীতে গড়ে ওঠেছে স্পেনের কর্ডোভা
ইউনিভার্সিটি। মিশরের
আল-আজহার আর মক্কার উম্মুল কোরা বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু পরবর্তীতে মুসলিম শাষকদের অদক্ষতা, ক্ষমতার মোহ ও সম্পদের নেশা সর্বোপরি রাসূল সা. এর
আদর্শ হতে বিচ্যূতির
কারণে আমরা ধীরে ধীরে পরাস্ত
হতে শুরু করি।বিধর্মীদের রীতি-নীতির
অন্ধ অনুকরণ আমাদের করে তোলে
অন্তসার শূন্য জীবন্ত মমিতে।
আমরা হতে শুরু করি সবখানে লাঞ্চিত
ও অপদস্ত। পরিণত হই অকর্মন্য ও অথর্ব জাতিতে। আমাদের সকল সফলতা হাতছাড়া হয়ে যায়।
আমাদেরকে পৃথিবী নামক গ্রহের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। পর্যায়ক্রমে পৃথিবীতে আমরা হয়ে
পরেছি কার্যত অবরুদ্ধ। যেনো নিজ গৃহে পরবাসী। বন্ধুরা ! যদি আবারো অতীতের সেই স্বর্ণ-যুগ ফিরিয়ে আনতে
চাও। তবে জাগো।
তাকবীর ধ্বনীতুলে জেগে ওঠো
গা-ঝেড়ে। পুনরায় বলিয়ান হও বদরের
সেই ঈমানী জযবায়। পৃথিবীকে তোমার
অস্তিত্বের জানান দাও। সুন্নাতে
নববীর ছাঁচে নিজেকে গড়ে তোল।
নবীউল মালাহিমের সেই নিগৃহীত সুন্নাহকে আবার জাগিয়ে তোলো। নিজের মাঝে ধারণ করো সিদ্দীকি সেই সততা কে ।
ফারুকী সেই
রুদ্রমূর্তি আপন করে হায়দারী হাঁক
ছেড়ে আবারো গর্জে ওঠো। পুনরুদ্ধার
করো হৃত খিলাফাত ব্যবস্থাকে।
তবেই পৃথিবী তোমাকে স্যালুট
জানাবে। তুমি হবে অপরাজেয়।।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন