হযরত আনাস রাঃ বলেন, আমি রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি এরশাদ করেন, আমার উম্মত কখনো গোমরাহীর উপর একমত হবে না । সুতরাং যখন তোমরা মতবিরোধ দেখো তখন তোমরা বড় জামাতের অনুসরণ কর । (ইবনে মাজাহ ২৮৩)
মিশকাত শরীফে এই হাদীসের দ্বিতীয় অংশ হচ্ছে- কেননা যে বড় জামাত থেকে পৃথক হয়ে যাবে, তাকে পৃথক ভাবে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে । (মিশকাত ১/৩০)
অন্য হাদীসে এরশাদ হয়েছে, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, নিশ্চই আল্লাহ পাক আমার সকল উম্মতকে গোমরাহীর পথে একতাবদ্ধ করবেন না । মুসলমানদের সম্মিলিত দলের উপর আল্লাহ পাকের (সাহায্যের) হাত রয়েছে । সুতরাং যে পৃথক হয়ে গেল, সে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে । (তিরমিযী ২/৩৯)
এসব হাদীস দ্বারা প্রমানিত হয় যে, বিশ্বের শত কোটি মুসলমান যে তাকলিদের উপর রয়েছে, তা সঠিক । আর তাকলিদ জরুরী নয় বরং তাকলিদ শিরক বলে যারা নতুন মতবাদ আবিষ্কার করছে, তারা বৃহৎ দল বহির্ভূত । শয়তান তাদের উপর সাওয়ার হয়ে গেছে । তারা নিজেদেরকে আহলে হাদীস বলে দাবী করছে, অথচ তারা সিহাহ সিত্তাহর ওই সব সহীহ হাদীস অস্বীকার করে হাদীস অস্বীকারকারীতে পরিণত হয়েছে । আর তা হচ্ছে কুফূরী ।
যারা হকের উপরে আছে, তারা নিজেদের দল ভারী করার জন্য কখনো প্রলোভনের আশ্রয় নেয় না । বরং তারা হক কথা জনগনের সামনে তুলে ধরে আর মানুষ নিঃশংকচে তা কবু করে, পক্ষান্তরে এই আহলে হাদীসের সম্প্রদায় নিজেদের দল ভারী করার জন্য বিভিন্ন টোপ ফেলছে । টাকা-পয়সা দিয়ে সাহায্য করছে । বিনা পয়সায় বই-পুস্তক, কাপড়-চোপড় বিলি করছে । রমযান মাসে রোজাদারদের ইফতার পার্টির আয়োজন করে দলে লোক ভিড়াচ্ছে । যে সমস্ত হানাফী বা মাযহাবপন্থি আহলে হাদীস বা লা-মাযহাবী হয়ে যাচ্ছে, তারা মূলতঃ এই প্রলোভনের কারনেই ঝুকছে । নইলে তারা এমন কোন বিদ্বান নয় যে, কোরআন-হাদীস গভীর ভাবে অধ্যায়ন করে আহলে হাদীসকে হক মনে করে সেদিকে ঝুকে পড়েছে । বরং তাদের অধিকাংশই এমন গন্ড মূর্খ যে, সূরায়ে ফাতিহা পর্যন্ত শুদ্ধ করে পড়তে পারে না । একটা আরবী হাদীস তার সামনে খুলে দিলে এক লাইনও যের যবর দিয়ে অড়তে পারবে না । ওরাই আবার কথায় কথায় বাঙ্গা বোখারী শরীফ খুলে দেখায় । অথচ কোরআন, কিতাব, হাদীস ইত্যাদি তো উস্তাদের কাছে পড়ে বুঝতে হয় । একা একা পড়ে পন্ডিত হওয়া যায় না । সেভাবে ঠুনকো পন্ডিত হতে চাইলে গোমরাহ হয়ে যেতে হয় । সাহাবায়ে কেরামকে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে শিক্ষা দিয়েছেন । তাদের নিকট থেকে তাবেঈনগণ শিখেছেন । তাদের নিকট থেকে তাবে তাবেঈনগণ শিখেছেন । এভাবে সীনা হতে সীনায় ইলম চিলে এসেছে । এখন একটা বাংলা বুখারী পড়ে যদি আমাদের দেশের লাল মিয়া আর কালা মিয়া আহলে হাদীস হয়ে যায়, তাতে বিস্ময়ের কিছু নেই । কেননা, কেয়ামত নিকটবর্তী, এটা কেয়ামতেরই আআমত ।
মিশকাত শরীফে এই হাদীসের দ্বিতীয় অংশ হচ্ছে- কেননা যে বড় জামাত থেকে পৃথক হয়ে যাবে, তাকে পৃথক ভাবে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে । (মিশকাত ১/৩০)
অন্য হাদীসে এরশাদ হয়েছে, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, নিশ্চই আল্লাহ পাক আমার সকল উম্মতকে গোমরাহীর পথে একতাবদ্ধ করবেন না । মুসলমানদের সম্মিলিত দলের উপর আল্লাহ পাকের (সাহায্যের) হাত রয়েছে । সুতরাং যে পৃথক হয়ে গেল, সে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে । (তিরমিযী ২/৩৯)
এসব হাদীস দ্বারা প্রমানিত হয় যে, বিশ্বের শত কোটি মুসলমান যে তাকলিদের উপর রয়েছে, তা সঠিক । আর তাকলিদ জরুরী নয় বরং তাকলিদ শিরক বলে যারা নতুন মতবাদ আবিষ্কার করছে, তারা বৃহৎ দল বহির্ভূত । শয়তান তাদের উপর সাওয়ার হয়ে গেছে । তারা নিজেদেরকে আহলে হাদীস বলে দাবী করছে, অথচ তারা সিহাহ সিত্তাহর ওই সব সহীহ হাদীস অস্বীকার করে হাদীস অস্বীকারকারীতে পরিণত হয়েছে । আর তা হচ্ছে কুফূরী ।
যারা হকের উপরে আছে, তারা নিজেদের দল ভারী করার জন্য কখনো প্রলোভনের আশ্রয় নেয় না । বরং তারা হক কথা জনগনের সামনে তুলে ধরে আর মানুষ নিঃশংকচে তা কবু করে, পক্ষান্তরে এই আহলে হাদীসের সম্প্রদায় নিজেদের দল ভারী করার জন্য বিভিন্ন টোপ ফেলছে । টাকা-পয়সা দিয়ে সাহায্য করছে । বিনা পয়সায় বই-পুস্তক, কাপড়-চোপড় বিলি করছে । রমযান মাসে রোজাদারদের ইফতার পার্টির আয়োজন করে দলে লোক ভিড়াচ্ছে । যে সমস্ত হানাফী বা মাযহাবপন্থি আহলে হাদীস বা লা-মাযহাবী হয়ে যাচ্ছে, তারা মূলতঃ এই প্রলোভনের কারনেই ঝুকছে । নইলে তারা এমন কোন বিদ্বান নয় যে, কোরআন-হাদীস গভীর ভাবে অধ্যায়ন করে আহলে হাদীসকে হক মনে করে সেদিকে ঝুকে পড়েছে । বরং তাদের অধিকাংশই এমন গন্ড মূর্খ যে, সূরায়ে ফাতিহা পর্যন্ত শুদ্ধ করে পড়তে পারে না । একটা আরবী হাদীস তার সামনে খুলে দিলে এক লাইনও যের যবর দিয়ে অড়তে পারবে না । ওরাই আবার কথায় কথায় বাঙ্গা বোখারী শরীফ খুলে দেখায় । অথচ কোরআন, কিতাব, হাদীস ইত্যাদি তো উস্তাদের কাছে পড়ে বুঝতে হয় । একা একা পড়ে পন্ডিত হওয়া যায় না । সেভাবে ঠুনকো পন্ডিত হতে চাইলে গোমরাহ হয়ে যেতে হয় । সাহাবায়ে কেরামকে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে শিক্ষা দিয়েছেন । তাদের নিকট থেকে তাবেঈনগণ শিখেছেন । তাদের নিকট থেকে তাবে তাবেঈনগণ শিখেছেন । এভাবে সীনা হতে সীনায় ইলম চিলে এসেছে । এখন একটা বাংলা বুখারী পড়ে যদি আমাদের দেশের লাল মিয়া আর কালা মিয়া আহলে হাদীস হয়ে যায়, তাতে বিস্ময়ের কিছু নেই । কেননা, কেয়ামত নিকটবর্তী, এটা কেয়ামতেরই আআমত ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন