এক আহলে হাদীসকে বলা হল, আপনি সুন্নাতের সঙ্গা বলুন ।
তিনি বললেন, হাদীস ও সুন্নাত একই ।তাকে বলা হল, আপনি কোরআনের এমন কোন আয়াত বা এমন কোন হাদীস পড়েন , যাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, সুন্নাত ও হাদীস একই জিনিস ।তিনি বললেন, এমন কোন আয়াত বা হাদীস নেই ।তাকে বলা হল, আওনি যা বললেন, তা তো নবীর কথা নয় । বরং উম্মাতেরই কারো না কারো মত । আর আওনাদের মূলনীতি অনুযায়ী ধর্মীয় উম্মাতের মত গ্রহণ করা শয়তানের কাজ । সাথে সাথে সুন্নাত ও হাদীস যদি একই জিনিস হয়, তাহলে তো আহলে হাদীস হাজারো সুন্নাত ছেড়ে দিচ্ছে । কেননা
১. হাদীসে আছে , এক মহিলা রাসূল সঃ এর নির্দেশে একজন বালেগ পুরুষকে দুধ আন করিয়েছিলেন । অথচ আহলে হাদীস পুরুষ-মহিলা দুধ আন করা ও করানোর এ সুন্নাত থেকে বঞ্চিত ।
২. হাদীসে আছে , রাসূল সঃ কখনো দাঁড়িয়ে পেশাব করেছেন । অথচ আহলে হাদীস পুরুষ-মহিলা এ সুন্নাতের অনুসরণ কঅরছে না ।
৩. হাদীসে আছে, রাসূল সঃ অজুর পরে স্ত্রীকে চুম্বন করেছেন । এরপর এসে নামায পড়িয়েছেন । অথচ আহলে হাদীস ইমাম-মুক্তাদী এ সুন্নাতের ব্যাপারে উদাসীন ।
৪. হাদীসে আছে, রাসূল সঃ তার নাতী উমামকে কাধে নিয়ে নামায পড়েছেন । অথচ আহলে হাদীস সন্তানদেরকে মসজিদেও আনে না । কাধে নিয়ে নামাযও পড়ে না । আল্লাহ আপনাদেরকে মৃত সুন্নাতগুলোকে জিন্দা করার তাওফীক দান করুক ।
অবস্থা বেগতিক দেখে সে বলতে লাগল, রাসূল সঃ এর ত্বিরীকাকে সুন্নাত বলে ।
তাকে বলা হল, আপনি কোরআনের এমন কোন আয়াত বা এমন কোন হাদীস পড়েন , যার অনুবাদ হল - রাসূল সঃ এর ত্বিরীকাকে সুন্নাত বলে ।
তিনি বললেন, এমন কোন আয়াত বা হাদীস নেই ।
তাকে বলা হল, তাহলে তো এটা উম্মাতের কথা । যা আপনাদের নিকট গ্রহনযোগ্য নয় । সাথে সাথে উপরে যে চারটি হাদীস বলা হল, আহলে হাদীস তা বর্জন করে থাকে ।
পেরেশান হয়ে সে বলতে লাগল, সুন্নাত ঐ ত্বরীকাকে বলা হয়, যা রাসূল সঃ এর সাথে খাছ নয় ।
তাকে বলা হল, এ মর্মে এমন কোন আয়াত বা হাদীস পাঠ করেন ও এমন চারটি হাদীস শোনান যাতে রাসূল সঃ উক্ত চার বিষয়কে নিজের জন্য খাছ বলেছেন । অন্যথায় আপনার উচিৎ নিজস্ব মত ও উম্মাতের মত বর্জন করে সুন্নাতের প্রতি মনোনিবেশ করা ।
সে বলল, সুন্নাত ঐ ত্বরীকাকে বলা হয়, যার উপর নবী স্বয়ং আমল করেছেন ও উম্মতকে আমল করার নির্দেশ দিয়েছেন
তাকে বলা হল, এ মর্মে এমন কোন আয়াত বা হাদীস পাঠ করেন, যার অনুবাদ আপনার বক্তব্যের অনুরূপ ও এমন হাদীস শোনান , যাতে রুকুর আগে, রুকুর পরে ও তৃতীয় রাকাতের শুরুতে হাত উত্তোলনের নির্দেশ রয়েছে এবং ঐ সকল হাদিসও শুনান, যার মধ্যে খালী মাথায় নামায পড়া, ফরজের ছয় রাকাতে আমীন উচ্চস্বরে বলা ও এগারো রাকাতে আমীন নীচুস্বর্ব বলা, বুকের উপর হাত বাঁধা ও নামাযে পা ছড়িয়ে দাঁড়ানো ইত্যাদির নির্দেশ রয়েছে ।
অপারগ হয়ে সে বলল, আমি তাহকিক করব ।
তারপর বলল, তাহলে আপনি সুন্নাতের সঙ্গা বলুন ।
উত্তরে বলা হল, এমন ত্বরীকাকে সুন্নাত বলাহয়, যা রাসূল সঃ অথবা খুলাফায়ে রাশেদীন চালু করেছেন ।
সে বলল, এমন কোন আয়াত বা হাদীস পাঠ করেন, যাতে এ সঙ্গা উল্লেখ আছে ।
জবাবে বলা হল, সঙ্গা কোরান-হাদীসে থাকে না । বরং সঙ্গা বিশেষজ্ঞরা করে থাকেন । সুন্নাতের এ সঙ্গা ফুকাহায়ে কেরাম করেছেন । আমরা তাদের থেকে এ সঙ্গা গ্রহন করেছি ।
তিনি বললেন, হাদীস ও সুন্নাত একই ।তাকে বলা হল, আপনি কোরআনের এমন কোন আয়াত বা এমন কোন হাদীস পড়েন , যাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, সুন্নাত ও হাদীস একই জিনিস ।তিনি বললেন, এমন কোন আয়াত বা হাদীস নেই ।তাকে বলা হল, আওনি যা বললেন, তা তো নবীর কথা নয় । বরং উম্মাতেরই কারো না কারো মত । আর আওনাদের মূলনীতি অনুযায়ী ধর্মীয় উম্মাতের মত গ্রহণ করা শয়তানের কাজ । সাথে সাথে সুন্নাত ও হাদীস যদি একই জিনিস হয়, তাহলে তো আহলে হাদীস হাজারো সুন্নাত ছেড়ে দিচ্ছে । কেননা
১. হাদীসে আছে , এক মহিলা রাসূল সঃ এর নির্দেশে একজন বালেগ পুরুষকে দুধ আন করিয়েছিলেন । অথচ আহলে হাদীস পুরুষ-মহিলা দুধ আন করা ও করানোর এ সুন্নাত থেকে বঞ্চিত ।
২. হাদীসে আছে , রাসূল সঃ কখনো দাঁড়িয়ে পেশাব করেছেন । অথচ আহলে হাদীস পুরুষ-মহিলা এ সুন্নাতের অনুসরণ কঅরছে না ।
৩. হাদীসে আছে, রাসূল সঃ অজুর পরে স্ত্রীকে চুম্বন করেছেন । এরপর এসে নামায পড়িয়েছেন । অথচ আহলে হাদীস ইমাম-মুক্তাদী এ সুন্নাতের ব্যাপারে উদাসীন ।
৪. হাদীসে আছে, রাসূল সঃ তার নাতী উমামকে কাধে নিয়ে নামায পড়েছেন । অথচ আহলে হাদীস সন্তানদেরকে মসজিদেও আনে না । কাধে নিয়ে নামাযও পড়ে না । আল্লাহ আপনাদেরকে মৃত সুন্নাতগুলোকে জিন্দা করার তাওফীক দান করুক ।
অবস্থা বেগতিক দেখে সে বলতে লাগল, রাসূল সঃ এর ত্বিরীকাকে সুন্নাত বলে ।
তাকে বলা হল, আপনি কোরআনের এমন কোন আয়াত বা এমন কোন হাদীস পড়েন , যার অনুবাদ হল - রাসূল সঃ এর ত্বিরীকাকে সুন্নাত বলে ।
তিনি বললেন, এমন কোন আয়াত বা হাদীস নেই ।
তাকে বলা হল, তাহলে তো এটা উম্মাতের কথা । যা আপনাদের নিকট গ্রহনযোগ্য নয় । সাথে সাথে উপরে যে চারটি হাদীস বলা হল, আহলে হাদীস তা বর্জন করে থাকে ।
পেরেশান হয়ে সে বলতে লাগল, সুন্নাত ঐ ত্বরীকাকে বলা হয়, যা রাসূল সঃ এর সাথে খাছ নয় ।
তাকে বলা হল, এ মর্মে এমন কোন আয়াত বা হাদীস পাঠ করেন ও এমন চারটি হাদীস শোনান যাতে রাসূল সঃ উক্ত চার বিষয়কে নিজের জন্য খাছ বলেছেন । অন্যথায় আপনার উচিৎ নিজস্ব মত ও উম্মাতের মত বর্জন করে সুন্নাতের প্রতি মনোনিবেশ করা ।
সে বলল, সুন্নাত ঐ ত্বরীকাকে বলা হয়, যার উপর নবী স্বয়ং আমল করেছেন ও উম্মতকে আমল করার নির্দেশ দিয়েছেন
তাকে বলা হল, এ মর্মে এমন কোন আয়াত বা হাদীস পাঠ করেন, যার অনুবাদ আপনার বক্তব্যের অনুরূপ ও এমন হাদীস শোনান , যাতে রুকুর আগে, রুকুর পরে ও তৃতীয় রাকাতের শুরুতে হাত উত্তোলনের নির্দেশ রয়েছে এবং ঐ সকল হাদিসও শুনান, যার মধ্যে খালী মাথায় নামায পড়া, ফরজের ছয় রাকাতে আমীন উচ্চস্বরে বলা ও এগারো রাকাতে আমীন নীচুস্বর্ব বলা, বুকের উপর হাত বাঁধা ও নামাযে পা ছড়িয়ে দাঁড়ানো ইত্যাদির নির্দেশ রয়েছে ।
অপারগ হয়ে সে বলল, আমি তাহকিক করব ।
তারপর বলল, তাহলে আপনি সুন্নাতের সঙ্গা বলুন ।
উত্তরে বলা হল, এমন ত্বরীকাকে সুন্নাত বলাহয়, যা রাসূল সঃ অথবা খুলাফায়ে রাশেদীন চালু করেছেন ।
সে বলল, এমন কোন আয়াত বা হাদীস পাঠ করেন, যাতে এ সঙ্গা উল্লেখ আছে ।
জবাবে বলা হল, সঙ্গা কোরান-হাদীসে থাকে না । বরং সঙ্গা বিশেষজ্ঞরা করে থাকেন । সুন্নাতের এ সঙ্গা ফুকাহায়ে কেরাম করেছেন । আমরা তাদের থেকে এ সঙ্গা গ্রহন করেছি ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন