১ম মূলনীতি > শরীয়তের দলীল শুধু দু’টি । আহলে হাদীস শুধুমাত্র দু’টি দলীলই মান্য করেন । কোরআন আর হাদীস । এতদুভয় ব্যতীত তাদের নিকট তৃতীয় কোন দলীল গ্রহনযোগ্য নয় । তাদের দাবী আর শ্লোগান হল- #আহলে হাদীসের দুই উসূল* কোরআন ও হাদীসে রাসূল [স.]
আহলে হাদীসের নেতা মাওলানা মুহাম্মাদ জুনাগড়ী বলেন , ভাইয়েরা ! আপনার হাত দু’টি । আর শরীয়ত আপনাকে দুই হাতে দুইটি বস্তু দান করেছে । আল্লাহর বাণী ও রাসূলের বাণী । এরপর আপনার যেমন তৃতীয় কোন হাত নেই , তেমনি ভাবে তৃতীয় কোন বস্তুও নেই । (লাহোর থেকে প্রকাশিত ত্বরীকে মুহাম্মাদী, পৃষ্ঠা নং ১৯)
২য় মূলনীতি > কারো কিয়াসই দলীল নয় ।
আললে হাদীসের নিকট নবী বা উম্মত , কারো কিয়াসই দলীল নয় আহলে হাদীসের নেতা মাওলানা মুহাম্মাদ জুনাগড়ী বলেন, বুযুর্গদের , মুজতাহিদদের , ইমামদের কেয়াস তো দূরের কথা , শরীয়তে ইসলামে রাসূল (সঃ) এর কোন কথা সরাসরি ওহি না হলে , তাও দলীল নয় । (লাহোর থেকে প্রকাশিত ত্বরীকে মুহাম্মাদী, পৃষ্ঠা নং ৫৭)
আহলে হাদীস আলেম মুহাম্মাদ আবুল হাসান সাহেব বলেন, কেয়াস করো না । কারন সর্ব প্রকার কেয়াস করেছে শয়তান । (যফরুল মুবীন পৃষ্ঠা নং ১৪)
৩য় মূলনীতি > তাকলিদ করা শিরক ।
আহলে হাদীসের নিকট উম্মাতের তাকলিদ করা শিরক । তাদের বড় আলেম মুহাম্মাদ আবুল হাসান সাহেব বলেন, ইমাম চতুষ্টয় বা অন্য যার তাকলিদই হোক না কেন ,তা হল শিরক ।
তাদের সংকীর্ণতার একটি দৃষ্টান্ত ঃ
এ সম্পর্কে প্রশ্ন-উত্তর আকারে উপস্থাপিত আহলে হাদীসের নেতা মাওলানা মুহাম্মাদ জুনাগড়ীর একটি মাসয়ালা লক্ষ্য করুন ।
(প্রশ্ন- এটা কি ঠিক যে, কোন আহলে হাদীসের পিতা হানাফী হয়ে মৃত্যু বরণ করলে , সে “ ربى اغفرلى و لوالدى “ তথা- হে আমার আল্লাহ তুমি আমাকে ও আমার পিতা-মাতাকে ক্ষমা কর । এ দোয়া পড়বে না ?
উত্তর – মুশরিকদের মাগফিরাতের জন্য দোয়া করা জায়েয নেই । (লাহোর থেকে প্রকাশিত সীরাতে মুহাম্মাদী, পৃষ্ঠা নং ৪৭)
এ কিতাবের ১২ নং পৃষ্ঠায় স্পষ্ট লাল অক্ষরে লেখা আছে – তাকলিদ হল শিরক ।
আহলে হাদীসদের দেয়া তাকলিদের ভুল সঙ্গা =
আহলে হাদীসের একজন প্রাজ্ঞ আলেম তাকলিদের সঙ্গা দিতে গিয়ে বলেন, তাকলিদ হল দলীল ছাড়া কোন বিধান মেনে নেয়া এবং এ কথা জিজ্ঞাসা না করা যে, এ বিধান আল্লাহ ও রাসূল সমর্থিত কিনা ? (যফরুল মুবীন পৃষ্ঠা নং ১৫)
(যে কিতাবগুলোর রেফারেন্স দেয়া হয়েছে সেগুলো আহলে হাদীসের কয়েকটি প্রসিদ্ধ কিতাব)
আহলে হাদীসের জন্য অবশ্য পালনীয় মূলনীতি=
যেহেতু গায়রে মুকাল্লিদদের নিকট উম্মাতের তাকলিদ হল শিরক । আর কেয়াস হল শয়তানের কাজ । সুতরাং এ মূলনীতি অনুযায়ী তারা কোন রাবী সম্পর্কে মন্তব্য করার জন্য , হাদীসের মান তথা হাদীসটি সহী কিংবা দুর্বল ইত্যাদি বয়ান করার জন্য এমনকি কোন হাদীসের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করার জন্য উম্মাতের কোন মত বা মন্তব্য পেশ করতে পারবে না ।
রাতা শুধু কোরআনের আয়াত ও হাদীসের অনুবাদ করবেন । ব্যাখ্যা করার ছুতোয় আপন খেয়াল অন্তর্ভূক্ত করতে পারবে না ।আহলে হাদীস বন্ধুরা হাদীসের তিরজমা করার পর আপন উদ্দেশ্য পূরণের জন্য যে ব্যাখ্যা পেশ করেন, তা তো তাদেরই কথা । তারা তো আপন মতকেই হাদীস নামে অভিহিত করেন ।
উদাহারণস্বরূ – لا صلاة لمن لم يقرء بفاتحة الكتاب
অর্থাৎ যে ব্যক্তি সূরায়ে ফাতিহা পড়ল না , তার নামায হয় নি । (বুখারী শরিফ পৃষ্ঠা ১০৪ ১ম খন্ড )
এ হাদীস সম্পর্কে ইমাম আহুমাদ ও সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা রহঃ বলেন, এখানে একাকী নামায আদায়কারীর কথা বলা হয়েছে । অর্থাৎ একাকী নামায আদায়কারী ব্যক্তি সূরায়ে ফাতিহা না পড়লে তার নামায হবে না । কিন্তু আহলে হাদীসগন বলেন, এখানে من (যে/যারা)শব্দটি ব্যাপক । ইমাম, মুক্তাদী ও একাকী নামায আদায়কারী সবাই এর অন্তর্ভূক্ত । বুঝলাম । কিন্তু হাদীসে من (যে/যারা) শব্দটি যে ব্যাপক , এটা তো তাদের কথা । এ কথা আল্লাহও বলেন নি , রাসূলও বলেন নি । অথচ তারা এ হাদীস পেশ করে বলে , রাসূল (সঃ) বলেছেন, সূরায়ে ফাতিহা ব্যতীত ইমাম, মুক্তাদী ও একাকী নামায আদায়কারী কারো নামাযই হবে না । অর্থাৎ নিজ মতকেই তারা হাদীস বলে চালিয়ে নিল । এ জন্য তারা আলোচনাকালে উম্মাতের কারো কথা বা মত পেশ করলে সর্ব প্রথম তাদেরকে তাকলিদের শিরক ও কেয়াসের শয়তানী থেকে তওবা করাবেন । এরপর সামনে অগ্রসর হবেন ।
আহলে হাদীসের নেতা মাওলানা মুহাম্মাদ জুনাগড়ী বলেন , ভাইয়েরা ! আপনার হাত দু’টি । আর শরীয়ত আপনাকে দুই হাতে দুইটি বস্তু দান করেছে । আল্লাহর বাণী ও রাসূলের বাণী । এরপর আপনার যেমন তৃতীয় কোন হাত নেই , তেমনি ভাবে তৃতীয় কোন বস্তুও নেই । (লাহোর থেকে প্রকাশিত ত্বরীকে মুহাম্মাদী, পৃষ্ঠা নং ১৯)
২য় মূলনীতি > কারো কিয়াসই দলীল নয় ।
আললে হাদীসের নিকট নবী বা উম্মত , কারো কিয়াসই দলীল নয় আহলে হাদীসের নেতা মাওলানা মুহাম্মাদ জুনাগড়ী বলেন, বুযুর্গদের , মুজতাহিদদের , ইমামদের কেয়াস তো দূরের কথা , শরীয়তে ইসলামে রাসূল (সঃ) এর কোন কথা সরাসরি ওহি না হলে , তাও দলীল নয় । (লাহোর থেকে প্রকাশিত ত্বরীকে মুহাম্মাদী, পৃষ্ঠা নং ৫৭)
আহলে হাদীস আলেম মুহাম্মাদ আবুল হাসান সাহেব বলেন, কেয়াস করো না । কারন সর্ব প্রকার কেয়াস করেছে শয়তান । (যফরুল মুবীন পৃষ্ঠা নং ১৪)
৩য় মূলনীতি > তাকলিদ করা শিরক ।
আহলে হাদীসের নিকট উম্মাতের তাকলিদ করা শিরক । তাদের বড় আলেম মুহাম্মাদ আবুল হাসান সাহেব বলেন, ইমাম চতুষ্টয় বা অন্য যার তাকলিদই হোক না কেন ,তা হল শিরক ।
তাদের সংকীর্ণতার একটি দৃষ্টান্ত ঃ
এ সম্পর্কে প্রশ্ন-উত্তর আকারে উপস্থাপিত আহলে হাদীসের নেতা মাওলানা মুহাম্মাদ জুনাগড়ীর একটি মাসয়ালা লক্ষ্য করুন ।
(প্রশ্ন- এটা কি ঠিক যে, কোন আহলে হাদীসের পিতা হানাফী হয়ে মৃত্যু বরণ করলে , সে “ ربى اغفرلى و لوالدى “ তথা- হে আমার আল্লাহ তুমি আমাকে ও আমার পিতা-মাতাকে ক্ষমা কর । এ দোয়া পড়বে না ?
উত্তর – মুশরিকদের মাগফিরাতের জন্য দোয়া করা জায়েয নেই । (লাহোর থেকে প্রকাশিত সীরাতে মুহাম্মাদী, পৃষ্ঠা নং ৪৭)
এ কিতাবের ১২ নং পৃষ্ঠায় স্পষ্ট লাল অক্ষরে লেখা আছে – তাকলিদ হল শিরক ।
আহলে হাদীসদের দেয়া তাকলিদের ভুল সঙ্গা =
আহলে হাদীসের একজন প্রাজ্ঞ আলেম তাকলিদের সঙ্গা দিতে গিয়ে বলেন, তাকলিদ হল দলীল ছাড়া কোন বিধান মেনে নেয়া এবং এ কথা জিজ্ঞাসা না করা যে, এ বিধান আল্লাহ ও রাসূল সমর্থিত কিনা ? (যফরুল মুবীন পৃষ্ঠা নং ১৫)
(যে কিতাবগুলোর রেফারেন্স দেয়া হয়েছে সেগুলো আহলে হাদীসের কয়েকটি প্রসিদ্ধ কিতাব)
আহলে হাদীসের জন্য অবশ্য পালনীয় মূলনীতি=
যেহেতু গায়রে মুকাল্লিদদের নিকট উম্মাতের তাকলিদ হল শিরক । আর কেয়াস হল শয়তানের কাজ । সুতরাং এ মূলনীতি অনুযায়ী তারা কোন রাবী সম্পর্কে মন্তব্য করার জন্য , হাদীসের মান তথা হাদীসটি সহী কিংবা দুর্বল ইত্যাদি বয়ান করার জন্য এমনকি কোন হাদীসের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করার জন্য উম্মাতের কোন মত বা মন্তব্য পেশ করতে পারবে না ।
রাতা শুধু কোরআনের আয়াত ও হাদীসের অনুবাদ করবেন । ব্যাখ্যা করার ছুতোয় আপন খেয়াল অন্তর্ভূক্ত করতে পারবে না ।আহলে হাদীস বন্ধুরা হাদীসের তিরজমা করার পর আপন উদ্দেশ্য পূরণের জন্য যে ব্যাখ্যা পেশ করেন, তা তো তাদেরই কথা । তারা তো আপন মতকেই হাদীস নামে অভিহিত করেন ।
উদাহারণস্বরূ – لا صلاة لمن لم يقرء بفاتحة الكتاب
অর্থাৎ যে ব্যক্তি সূরায়ে ফাতিহা পড়ল না , তার নামায হয় নি । (বুখারী শরিফ পৃষ্ঠা ১০৪ ১ম খন্ড )
এ হাদীস সম্পর্কে ইমাম আহুমাদ ও সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা রহঃ বলেন, এখানে একাকী নামায আদায়কারীর কথা বলা হয়েছে । অর্থাৎ একাকী নামায আদায়কারী ব্যক্তি সূরায়ে ফাতিহা না পড়লে তার নামায হবে না । কিন্তু আহলে হাদীসগন বলেন, এখানে من (যে/যারা)শব্দটি ব্যাপক । ইমাম, মুক্তাদী ও একাকী নামায আদায়কারী সবাই এর অন্তর্ভূক্ত । বুঝলাম । কিন্তু হাদীসে من (যে/যারা) শব্দটি যে ব্যাপক , এটা তো তাদের কথা । এ কথা আল্লাহও বলেন নি , রাসূলও বলেন নি । অথচ তারা এ হাদীস পেশ করে বলে , রাসূল (সঃ) বলেছেন, সূরায়ে ফাতিহা ব্যতীত ইমাম, মুক্তাদী ও একাকী নামায আদায়কারী কারো নামাযই হবে না । অর্থাৎ নিজ মতকেই তারা হাদীস বলে চালিয়ে নিল । এ জন্য তারা আলোচনাকালে উম্মাতের কারো কথা বা মত পেশ করলে সর্ব প্রথম তাদেরকে তাকলিদের শিরক ও কেয়াসের শয়তানী থেকে তওবা করাবেন । এরপর সামনে অগ্রসর হবেন ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন