হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: "হজ্জ ও উমরা পালনকারীগণ হলো দাওয়াতী যাত্রীদল (আল্লাহর মেহমান) তারা যদি আল্লাহর কাছে দোয়া করে তবে তিনি তা কবুল করেন এবং যদি ক্ষমা প্রার্থনা করে তবে তিনি তাদের ক্ষমা করেন।" - (ইবনে মাজাহ)
হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, "যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ্জ করলো এবং অশালীন কথাবার্তা ও গুনাহ থেকে বিরত রইল, সে নবজাতক শিশু যাকে তাঁর মা এ মুহূর্তেই প্রসব করেছে, তার ন্যায় নিষ্পাপ হয়ে ফিরবে।" - [সহীহ বুখারী]
হযরত আবু হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : "যে ব্যক্তি হজ্জ পালন করলো এবং হজ্জ চলা-কালীন অশ্লীল ও অন্যায় আচরণ করলো না, সে নিজের গুনাহ ও অপরাধ থেকে তার জন্মের দিনের মতো নিষ্পাপ শিশু’র মতো মুক্ত ও পাক-পবিত্র হয়ে ঘরে ফিরে আসলো।" - [সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম]
হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমরা তো দেখেছি জিহাদই হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ আমল, তাহলে আমরা (মেয়েরা) জিহাদ করবো না কেনো? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জবাব দিলেনঃ মাবরূর হজ্জই হচ্ছে শ্রেষ্ঠ জিহাদ। - [বুখারী]
হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “আরাফাতের দিনের চেয়ে বেশী (সংখ্যায়) আর কোন দিন আল্লাহ বান্দাকে দোযখ থেকে মুক্তি দেন না।” অপর এক বর্ণনায় আছে, “আল্লাহ আরাফাতের দিনে কোন হাজী-র হাত ফিরিয়ে দেন না।” -[মুসলিম]
হযরত কুতায়বা ইবনে সাঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : "তোমরা ধারাবাহিক হজ্জ ও উমরা আদায় করতে থাকো। এ দুটো আমল দারিদ্র ও গুনাহ বিদূরিত করে দেয়, যেমন ভাটার আগুনে লোহা ও সোনা-রূপার ময়লা-জং দূরিভূত হয়ে থাকে। একটি কবুল হজ্জের প্রতিদান তো জান্নাত ছাড়া আর কিছুই নয়।" [তিরমিযী]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন