বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই, ২০১৫

আহলে হাদীস

কিছুদিন আগে আহলে হাদীসভাইদের এক আস্তানার মধ্যে বসে তাদের সায়েখদের জালিয়াতির কথা এক এক করে বলছিলাম। তাদের অবস্থা হল নাথিং টু সে এর মতো।
যাই হোক। টপিক পাল্টানোর জন্য এক ভাই বললেন আচ্ছা ভাই রাফুল ইয়াদাইনের ব্যাপারটা এ কি সমাধান ??
আমি বললাম রাফুল ইয়াদাইন করাও সুন্নত না করাও সুন্নত। তবে উসূলের বিচারে রাফুল ইয়াদাইন না করার হাদীসকে আমরা অধিক গ্রহনযোগ্য মনে করি।
পাশ থেকে এক আহলে হাদীস বলে উঠলেন সুন্নত আবার একাধিক হয় কি করে ???
সময় নষ্ট না করে আমি প্রশ্ন করলাম ভাই বেতেরের সালাত কত রাকায়াত?
তিনি বললেন ১,৩,৫,৭ সবই পড়া যায়।
আমি বললাম - বাহ্‌, একটু আগে না বললেন সুন্নত একাধিক হয় কি করে ??
বেচারা থতমত খেয়ে অপ্রসঙ্গিক কথা বলা শুরু করলো।
আমি আবার জিজ্ঞাসা করলাম , নামাযে হাত কিভাবে বাধবেন ? জিরার উপর জিরা রেখে নাকি ডান হাতের পাঞ্জা দিয়ে বাম হাতের কবজি ধরে?? (কারণ তাদের শায়খরা দুটুকেই সুন্নত বলে)
তিনি বললেন জিরার উপর জিরা রেখে। এটাই সঠিক। আমি বললাম আগে শায়খদের কিতাব পড়ুন । তারা উভয়টিকেই সুন্নত বলেছেন। এরুপ আরাকটা আমলের ব্যাপারে আপনাদের শায়খরা উভয়টিকেই সুন্নত বলেছেন। আর তা হল তাকবীরে তাহারিমার সময় হাতকে কাধ পর্যন্ত উঠানো এবং কানের লতি পর্যন্ত উঠানো উভয়টিকে সুন্নত বলেন।
এরপর আমি বললাম মতপার্থক্য হলে যদি ক্ষতিই হয় তাহলে আগে বলুন আপনাদের শায়খরা ফরজ নিয়ে মতপার্থক্য করে কেন ??
আপনাদের একজন শায়খ মতিউর রহমান মাদানী। সে বুখারীর হাদীসের রেফারেন্স দিয়ে ওজুতে নিয়ত করাকে ফরজ বলেছেন। তিনি তার মাযহাব পরিচিতি নামক লেকচারে এ কথা বলেছেন।
আবার আপনাদের আরাকজন শায়খ আসাদুল্লাহ আল গালিব সাহেব। তিনি কোরআনের আয়াতকে রেফারেন্স হিসেবে পেশ করে ওজুতে নিয়ত ফরজ নয় বলেছেন।
এবার বলুন মাদানী সাহেব কোরআন বিরুধী, নাকি গালিব সাহেব বুখারীর ঐ হাদীস বিরুধী।
এরকম আরো কিছু প্রশ্ন করার পর বেচারে ঐ আহলে হাদীস ভাইয়ের অবস্থা 'ছাইরা দে মা কাইন্দা বাচি' এর মত হয়ে গেল। আমিও তাকে তার ইজ্জতের চিন্তা করে সালাম দিয়ে ছেড়ে দিলাম ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন