আল্লাহ তাআলা বলেন,
لَا جُنَاحَ عَلَيْهِنَّ فِي آَبَائِهِنَّ وَلَا أَبْنَائِهِنَّ وَلَا إِخْوَانِهِنَّ وَلَا أَبْنَاءِ إِخْوَانِهِنَّ وَلَا أَبْنَاءِ أَخَوَاتِهِنَّ وَلَا نِسَائِهِنَّ وَلَا مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ وَاتَّقِينَ اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ شَهِيدًا
لَا جُنَاحَ عَلَيْهِنَّ فِي آَبَائِهِنَّ وَلَا أَبْنَائِهِنَّ وَلَا إِخْوَانِهِنَّ وَلَا أَبْنَاءِ إِخْوَانِهِنَّ وَلَا أَبْنَاءِ أَخَوَاتِهِنَّ وَلَا نِسَائِهِنَّ وَلَا مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ وَاتَّقِينَ اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ شَهِيدًا
নবীর স্ত্রীদের জন্য তাদের পিতাদের, তাদের পুত্রদের, তাদের ভাইদের, তাদের ভাইয়ের ছেলেদের, তাদের বোনের ছেলেদের, তাদের নারীদের ও তাদের অধিকারভুক্ত দাস-দাসীদের বেলায় (হিজাব না করায়) কোন অপরাধ নেই। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ সকল কিছুর প্রত্যক্ষদর্শী। (সুরা আহযাব-৫৫)
ইবনে কাসীর (রহ.) এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন: আল্লাহ তাআলা মহিলাদেরকে গাইরে মাহরাম (ইসলামি শরিয়তে যাদের সাথে বিবাহ অনুমোদিত)-এর সাথে পর্দা করার নির্দেশ দানের পর এটিও বর্ণনা করে দিয়েছেন যে, আত্মীয় মাহরামদের সাথে পর্দা করা ওয়াজিব নয়। যেমন, সূরা নূরের ৩১ নং আয়াতে বর্ণিত আছে:
وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ
“তারা যেন তাদের স্বামী ছাড়া অন্যের সামনে তাদের সাজ-সজ্জা প্রকাশ না করে”।
পরপুরুষের সামনে পর্দার অপরিহার্যতার উপর পবিত্র কোরআন থেকে এই চারটি দলীল পেশ করা হল শুধু প্রথম আয়াতেই এ বিষয়ের উপর পাঁচটি প্রণালীতে নাতিদীর্ঘ আলোচনা করা হয়েছে। (যা আমাদের জন্যে যথেষ্ট।)
ইবনে কাসীর (রহ.) এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন: আল্লাহ তাআলা মহিলাদেরকে গাইরে মাহরাম (ইসলামি শরিয়তে যাদের সাথে বিবাহ অনুমোদিত)-এর সাথে পর্দা করার নির্দেশ দানের পর এটিও বর্ণনা করে দিয়েছেন যে, আত্মীয় মাহরামদের সাথে পর্দা করা ওয়াজিব নয়। যেমন, সূরা নূরের ৩১ নং আয়াতে বর্ণিত আছে:
وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ
“তারা যেন তাদের স্বামী ছাড়া অন্যের সামনে তাদের সাজ-সজ্জা প্রকাশ না করে”।
পরপুরুষের সামনে পর্দার অপরিহার্যতার উপর পবিত্র কোরআন থেকে এই চারটি দলীল পেশ করা হল শুধু প্রথম আয়াতেই এ বিষয়ের উপর পাঁচটি প্রণালীতে নাতিদীর্ঘ আলোচনা করা হয়েছে। (যা আমাদের জন্যে যথেষ্ট।)
দ্বিতীয়ত:
সুন্নাহর আলোকে পর্দার অপরিহার্যতা
সুন্নাহর আলোকে পর্দার অপরিহার্যতা
প্রথম দলীল,
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন,
إذا خطب أحدكم امرأة فلا جناح عليه أن ينظر منها إذا كان إنما ينظر إليها لخطبة و إن كانت لا تعلم ( رواه أحمد)
“তোমাদের কেউ কোনো নারীর প্রতি বিয়ের প্রস্তাব প্রদানের পর তাকে দেখলে কোন গুণাহ হবে না”। (মুসানদে আহমাদ)
মাজমাউজ্জাওয়ায়েদ গ্রন্থে উক্ত হাদীসকে ত্রুটিমুক্ত ও বিশুদ্ধ বলে মন্তব্য করা হয়েছে।
উল্লেখিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লাম) বলেন, বিয়ের প্রস্তাব দাতা যদি বিয়ের উদ্দেশ্যে পাত্রীকে দেখে, তাহলে গুণাহ হবে না। এতে প্রতীয়মান হলো যে, যারা বিয়ের উদ্যোগ না নিয়ে, এমনিই দেখে তারা গুনাহগার হবে। অনুরূপ যারা বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বিয়ের উদ্দেশ্যে নয় বরং মহিলার রূপ লাবণ্য দর্শনের স্বাদ উপভোগ করার উদ্দেশ্যে দেখে থাকে, তারাও পাপাচারীদের দলভুক্ত হবে।
প্রশ্ন হতে পারে, হাদীসে মহিলার কোন অঙ্গটি দর্শনীয় তা নির্দিষ্ট করা হয়নি। বক্ষদেশ, হাত, পা ইত্যাদি যে কোনো একটি অঙ্গের দর্শনওতো উদ্দেশ্য হতে পারে।
উত্তর: সৌন্দর্য ও রূপ উপলব্ধিকারী প্রস্তাব দাতার পক্ষে পাত্রীর চেহারার সৌন্দর্য দেখাই উদ্দেশ্য হয়ে থাকে। কারণ, চেহারাই হল, নারী সৌন্দর্যের প্রতীক। অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সৌন্দর্য অন্বেষনকারী প্রস্তাবদাতা নারীর চেহারাই দেখে থাকে, এতে কোন সন্দেহ নেই। (নারীর দর্শনীয় অঙ্গটি চেহারাই হয়ে থাকে)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন,
إذا خطب أحدكم امرأة فلا جناح عليه أن ينظر منها إذا كان إنما ينظر إليها لخطبة و إن كانت لا تعلم ( رواه أحمد)
“তোমাদের কেউ কোনো নারীর প্রতি বিয়ের প্রস্তাব প্রদানের পর তাকে দেখলে কোন গুণাহ হবে না”। (মুসানদে আহমাদ)
মাজমাউজ্জাওয়ায়েদ গ্রন্থে উক্ত হাদীসকে ত্রুটিমুক্ত ও বিশুদ্ধ বলে মন্তব্য করা হয়েছে।
উল্লেখিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লাম) বলেন, বিয়ের প্রস্তাব দাতা যদি বিয়ের উদ্দেশ্যে পাত্রীকে দেখে, তাহলে গুণাহ হবে না। এতে প্রতীয়মান হলো যে, যারা বিয়ের উদ্যোগ না নিয়ে, এমনিই দেখে তারা গুনাহগার হবে। অনুরূপ যারা বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বিয়ের উদ্দেশ্যে নয় বরং মহিলার রূপ লাবণ্য দর্শনের স্বাদ উপভোগ করার উদ্দেশ্যে দেখে থাকে, তারাও পাপাচারীদের দলভুক্ত হবে।
প্রশ্ন হতে পারে, হাদীসে মহিলার কোন অঙ্গটি দর্শনীয় তা নির্দিষ্ট করা হয়নি। বক্ষদেশ, হাত, পা ইত্যাদি যে কোনো একটি অঙ্গের দর্শনওতো উদ্দেশ্য হতে পারে।
উত্তর: সৌন্দর্য ও রূপ উপলব্ধিকারী প্রস্তাব দাতার পক্ষে পাত্রীর চেহারার সৌন্দর্য দেখাই উদ্দেশ্য হয়ে থাকে। কারণ, চেহারাই হল, নারী সৌন্দর্যের প্রতীক। অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সৌন্দর্য অন্বেষনকারী প্রস্তাবদাতা নারীর চেহারাই দেখে থাকে, এতে কোন সন্দেহ নেই। (নারীর দর্শনীয় অঙ্গটি চেহারাই হয়ে থাকে)
২য় দলীল,
রাসূলল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম) মহিলাদেরকে ঈদগাহে ঈদের নামায আদায় করার আদেশ প্রদান করলে জনৈকা নারী বলে উঠলেন। হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের করো কারো পরিধান করার মত চাদর-কাপড় নেই (আমরা কিভাবে জনসমাবেশে ঈদের নামায আদায় করতে যাব।) প্রত্যুত্তেরে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন যার চাদর নাই তাকে যেন অন্য বোন পরার জন্যে চাদর দিয়ে দেয়। (বুখারী-মুসলিম)
উক্ত হাদীস দ্বারা সুস্পষ্ট প্রমাণিত হল যে, সাহাবায়ে কেরামের স্ত্রীরা কোন অবস্থাতেই চাদর পরিধান না করে গৃহ থেকে বের হতেন না, এমনকি চাদর ব্যতীত ঘর হতে বের হওয়াকে অসম্ভব মনে করতেন। এ কারণে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে ঈদগাহে যাওয়ার নির্দেশ দানের পরও তারা চাদর ছাড়া ঈদগাহে যাওয়াকে সমীচীন মনে করেননি। তাইতো রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের সমস্যা সমাধান করতে গিয়ে এরশাদ করেন, সে যেন তার অন্য বোন হতে ধার নিয়ে হলেও চাদর পরিধান করে ঘর থেকে বের হয়। লক্ষনীয় যে, রাসূল বিনা চাদরে বের হওয়ার অনুমতি প্রদান করেননি। অথচ ঈদ গাহে গিয়ে নামায আদায় করা নারী পুরুষ উভয়ের জন্য ইসলামি শরিয়ত সম্মত বিধান। যখন রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম) শরিয়ত সম্মত কাজের জন্যেও চাদর ব্যতীত (পুরাপুরী পর্দা করা ব্যতীত) ঈদগাহে যাওয়ার অনুমতি প্রদান করেননি, তাহলে অনৈসলামিক, অহেতুক, শরিয়ত অসম্মত কাজে চাদর ব্যতীত বেপর্দায় যাওয়ার অনুমতি কিভাবে দেওয়া যেতে পারে? নি:সন্দেহে তা অবৈধ হবে। বরং নারীর পক্ষে বাজারে মার্কেটে চলাফেরা করা এবং পরপুরুষের সাথে খোলা-মেলা ভাবে ঘুরে বেড়ানো অহেতুক কাজ যা প্রকৃত পক্ষে তাদের জন্যে অকল্যাণকর।
বস্তুত: আয়াতে ও হাদীসে চাদর পরিধান করার নির্দেশ এ কথাই প্রমাণ করে যে, নারীর জন্যে মুখমন্ডলসহ পরিপূর্ণ পর্দা করা
রাসূলল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম) মহিলাদেরকে ঈদগাহে ঈদের নামায আদায় করার আদেশ প্রদান করলে জনৈকা নারী বলে উঠলেন। হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের করো কারো পরিধান করার মত চাদর-কাপড় নেই (আমরা কিভাবে জনসমাবেশে ঈদের নামায আদায় করতে যাব।) প্রত্যুত্তেরে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন যার চাদর নাই তাকে যেন অন্য বোন পরার জন্যে চাদর দিয়ে দেয়। (বুখারী-মুসলিম)
উক্ত হাদীস দ্বারা সুস্পষ্ট প্রমাণিত হল যে, সাহাবায়ে কেরামের স্ত্রীরা কোন অবস্থাতেই চাদর পরিধান না করে গৃহ থেকে বের হতেন না, এমনকি চাদর ব্যতীত ঘর হতে বের হওয়াকে অসম্ভব মনে করতেন। এ কারণে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে ঈদগাহে যাওয়ার নির্দেশ দানের পরও তারা চাদর ছাড়া ঈদগাহে যাওয়াকে সমীচীন মনে করেননি। তাইতো রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের সমস্যা সমাধান করতে গিয়ে এরশাদ করেন, সে যেন তার অন্য বোন হতে ধার নিয়ে হলেও চাদর পরিধান করে ঘর থেকে বের হয়। লক্ষনীয় যে, রাসূল বিনা চাদরে বের হওয়ার অনুমতি প্রদান করেননি। অথচ ঈদ গাহে গিয়ে নামায আদায় করা নারী পুরুষ উভয়ের জন্য ইসলামি শরিয়ত সম্মত বিধান। যখন রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম) শরিয়ত সম্মত কাজের জন্যেও চাদর ব্যতীত (পুরাপুরী পর্দা করা ব্যতীত) ঈদগাহে যাওয়ার অনুমতি প্রদান করেননি, তাহলে অনৈসলামিক, অহেতুক, শরিয়ত অসম্মত কাজে চাদর ব্যতীত বেপর্দায় যাওয়ার অনুমতি কিভাবে দেওয়া যেতে পারে? নি:সন্দেহে তা অবৈধ হবে। বরং নারীর পক্ষে বাজারে মার্কেটে চলাফেরা করা এবং পরপুরুষের সাথে খোলা-মেলা ভাবে ঘুরে বেড়ানো অহেতুক কাজ যা প্রকৃত পক্ষে তাদের জন্যে অকল্যাণকর।
বস্তুত: আয়াতে ও হাদীসে চাদর পরিধান করার নির্দেশ এ কথাই প্রমাণ করে যে, নারীর জন্যে মুখমন্ডলসহ পরিপূর্ণ পর্দা করা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন