একদিন হযরত ওমর বিন আব্দুল আযীয র. জানাযার নামায পড়ার জন্য গোরস্তানে গেলেন। জানাযার নামায হওয়ার পর তিনি একটি কবরের পাশে দাঁড়িয়ে কাঁদতে লাগলেন। লোকেরা জিজ্ঞাসা করলো হযরত ! আপনিতো এই জানাযার পৃষ্ঠপোষক ! আপনি কেনো পিছনে দাঁড়িয়ে আছেন ?
তিনি বললেন , আমি এ কবর থেকে কিছু আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি । যেনো সে আমার সাথে কথোপকথন করছে ।
লোকেরা জানতে চাইলো, আমীরুল মু‘মিনীন ! কবর আপনার সাথে কই বলছে ?
তিনি বললেন, কবর আমাকে বলছে, “হে ওমর বিন আব্দুল আযীয ! কোন মানুষকে কবরস্ত করার পর আমি তার সাথে কিরুপ আচরন করি তা তুমি জানো?
আমি বললাম, নাহ তাতো জানি না।
: তবে জানতে চাচ্ছো না কেনো ?
: বলো ! কিরূপ আচরন করো তুমি ?
কবর বলতে লাগলো ,
১. প্রথমে আমি শরীরের গোশতগুলো খেয়ে ফেলি।
২. তারপর আঙ্গুলের অস্থিজোড়াগুলো হাত থেকে পৃথক করে দেই।
৩. তারপর কনুইকে শরীর থেকে আলাদা করে ফেলি।
৪. এরপর হাড়সমূহকে পৃথক করে ধীরে ধীরে তার পুরো দেহ খেয়ে ফেলি।
:
হযরত ওমর বিন আব্দুল আযীয র. বলেন, কবর যখন এই কথাগুলো বললো, তখন আমার কান্না এসে গেলো। আমি নিজেকে আর সামলাতে পারলাম না ।
:
বন্ধুরা ! আমরা ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছি নিষ্ঠুর কবরের দিকে। মৃত্যূই আমাদের শেষ পরিণতি। বাহুবল আমাদের যতোই থাকুক না কেনো, কবর কিন্তু চিবিয়ে চিবিয়ে খাবে আমাদের অস্থি-মজ্জা সব। মাটিতে মিশে নি:শ্বেষ হয়ে যাবে বহু যত্নের বহু স্বাধের এই দেহ। নি:শ্চিহ্ন হয়ে যাবে আমার অস্তিত্ব। একদিন আবার এই কবর থেকেই আমাকে উপস্থিত হত হবে তাঁর সামনে।
হাদীস শরীফে এসেছে “ কবর রওযাতুমম্মিন রিয়াযিল জান্নাহ অথবা হুফরাতুমম্মিন হুফারিন্নার“
তাই বন্ধু ! কবরের প্রস্তুতি নিয়েছি কি আমি ? কী সম্বল আছে আমার ?
:
হে প্রভু ! আমাদের কোন পুঁজি নেই। তোমাতেই পূর্ণ ভরসা আমাদের। ক্ষমা করো মালিক
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন