আইনষ্টাইনের যে আপেক্ষিক তত্ত্বটি (E=mc^2 অর্থাৎ,শক্তি হলো ভর এবং আলোর গতির বর্গের গুনফলের সমান) সকল শিক্ষাপ্রতিষ্টানেই পড়ানো হয়, তা মূলত “আল-আসমা ওয়াস-সিফাত” আর এর অর্থ হচ্ছে-(আল্লাহ্ সুন্দরতম নামসমূহ এবং গুণাবলীর ক্ষেত্রে একত্ববাদঃ অর্থাৎ এই বিশ্বাস করতে হবে যে, মহান আল্লাহর সুন্দরতম নামসমূহ এবং পরিপূর্ণ গুণাবলী রয়েছে, যেগুলি কুরআনুল কারীম ও সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। মহান আল্লাহ বলেন, “আর আল্লাহ্র রয়েছে সুন্দরতম নামসমূহ। অতএব, সেগুলির মাধ্যমেই তাঁকে ডাকো” (আ'রাফ ১৮০)। এই নামসমূহ এবং গুণাবলীতে কোনোরূপ পরিবর্তন-পরিবর্ধন করা যাবে না এবং এগুলির কল্পিত কোনো আকৃতি যেমন স্থির করা যাবে না, তেমনি কোনো সৃষ্টির সাথে সেগুলির কোনোরূপ সাদৃশ্য বিধানও করা চলবে না। আমাদেরকে আরো বিশ্বাস করতে হবে যে, মহান আল্লাহ্র মত আর কেউ নেই। আল্লাহ বলেন, “কোন কিছুই তাঁর অনুরূপ নয়। তিনি সর্বশ্রোতা এবং সর্বদ্রষ্টা” (শূরা ১১)”
সংশ্লিষ্ট এই প্রকার শিরকের বহিঃপ্রকাশ। এই তথ্য অনুযায়ী, শক্তিকে ধ্বংস বা সৃষ্টি করা যায় না।শক্তি কেবল রূপান্তরিত হয়ে শক্তিতে পরিনত হয়। তবে বাস্তব সত্য হলো, পদার্থ এবং শক্তি উভয়ই সৃষ্ট সত্তা এবং এদের উভয়ই ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে।
এই মর্মে আল্লাহ সুবহানাহুওয়া’তাআলা সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন,
“আল্লাহ সবকিছুর স্রষ্টা এবং তিনি সবকিছুর তত্ত্বাবধায়ক”।(আয-যুমার,৩৯:৬২)।
“পৃথিবীর যা কিছু আছে সবই ধ্বংসশীল।“(আর-রাহমান,৫৫:২৬)।
এই তত্ত্বের আরও অর্থ হলো, পদার্থ বা পদার্থের ভর এবং শক্তি যেহেতু সৃষ্ট কোন সত্তা নয়; বরং একটি আরেকটিতে রূপান্তরিত হয়ে থাকে, তাই এরা চিরস্থায়ী এবং এদের কোন শুরু বা শেষ নেই। অথচ সত্য হল এই গুন শুধু কেবল আল্লাহরই জন্য যার কোন শুরু বা শেষ নেই।
(“এক” বা The Fundamentals Of Tawhid by Dr. Abu Aminah Bilal Philips) এর রচিত বই থেকে নেয়া।বাংলায় অনূদিত বইয়ের পৃষ্ঠা নাম্বার হচ্ছে:৫৮-৫৯।

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন