একদিন এক যুবক জীবিকার উদ্দেশ্যে, মক্কার নগরীর অলি গলি দিয়ে হাঁটছিলো। হঠাত চোখে পড়লো, রাস্তার মাঝে একটা হার পড়ে আছে। আশেপাশে আর কেউ নেই দেখে, হারটা উঠিয়ে নিলো।
মালিকের খোঁজে হেরেম শরীফে এলো। এমন সময় একটা ঘোষণা গোচরীভূত হলোঃ আমার একটা হার হারিয়ে গেছে। যদি কোনো দয়ালু ব্যাক্তি পেয়ে থাকেন
আল্লাহর ওয়াস্তে দয়া করে ফিরিয়ে দেবেন।
সঙ্গে সঙ্গে যুবকটা এগিয়ে গেল আর বলল আমি একটি হার পেয়েছি, আপনার হারটা কেমম, বর্ণনা দিন তো ? বর্ণনা মিলে গেলে হারটা আমি হস্তান্তর করব, হারের বর্ণনা মিলে গেল আর যুবকটি হারটাও ফিরিয়ে দিল।
আল্লাহর ওয়াস্তে দয়া করে ফিরিয়ে দেবেন।
সঙ্গে সঙ্গে যুবকটা এগিয়ে গেল আর বলল আমি একটি হার পেয়েছি, আপনার হারটা কেমম, বর্ণনা দিন তো ? বর্ণনা মিলে গেলে হারটা আমি হস্তান্তর করব, হারের বর্ণনা মিলে গেল আর যুবকটি হারটাও ফিরিয়ে দিল।
আশ্চর্যের বিষয় হল লোকটা হারখানা নিয়ে টু- শব্দটিও করলো না। সোজা গটগট করে হেঁটে চলে গেলো। সামান্য ধন্যবাদ টুকুও দিল না। যুবকটি আল্লাহর কাছে দোয়া করল- ইয়া আল্লাহ! আমি
যদি এই সামান্য কাজটুকু যদি আপনাকে সন্তুষ্ট করার
জন্যই করে থাকি, তাহলে আপনি আমার জন্য এর
চেয়েও ভালো কিছু প্রতিদান জমা করে রাখুন! "আমীন "।
যদি এই সামান্য কাজটুকু যদি আপনাকে সন্তুষ্ট করার
জন্যই করে থাকি, তাহলে আপনি আমার জন্য এর
চেয়েও ভালো কিছু প্রতিদান জমা করে রাখুন! "আমীন "।
এরপর যুবকটি রুজি-রোজগারের উদ্দেশ্যে, একটি জাহাজে চড়ে বসল। তাকদীরের এমনই লিখন,
জাহাজ পড়লো ঝড়ের কবলে। পুরো জাহাজ ভেঙে লণ্ডভণ্ড হয় গেলো। হাতের কাছে যে যা পেলো ওটা
ধরেই ভেসে রইলো। যুবকটি ভাসতে ভাসতে একটা দ্বীপে গিয়ে উঠল।
জাহাজ পড়লো ঝড়ের কবলে। পুরো জাহাজ ভেঙে লণ্ডভণ্ড হয় গেলো। হাতের কাছে যে যা পেলো ওটা
ধরেই ভেসে রইলো। যুবকটি ভাসতে ভাসতে একটা দ্বীপে গিয়ে উঠল।
দ্বীপে উঠে কিছু দুর হাঁটতেই চোখা পড়ল একটা
মসজিদ। মন খুশি হয়ে উঠলো তার। মসজিদে
গিয়ে নামায আদায় করল। নামাজ আদায়ের পর বসে বসে ভাবতে লাগলো আমার তো যাওয়ার আপাতত কোনও জায়গা নেই ভবঘুরে হয়ে কোথায় আর ঘুরব।
মসজিদ। মন খুশি হয়ে উঠলো তার। মসজিদে
গিয়ে নামায আদায় করল। নামাজ আদায়ের পর বসে বসে ভাবতে লাগলো আমার তো যাওয়ার আপাতত কোনও জায়গা নেই ভবঘুরে হয়ে কোথায় আর ঘুরব।
মসজিদে এদিক ওদিক তাকাতেই একটা কুরআন শরীফ দেখতে পেল। শুধু শুধু বসে না থেকে ওটাই
তিলাওয়াত করতে শুরু করল। কুরআন খানা পড়তে
দেখে উপস্থিত মুসাল্লীরা সবাই তার চারপাশ
থেকে ঘিরে ধরলো। অবাক হয়ে সবাই প্রশ্ন করলো
-আপনি কুরআন পড়তে পারেন? যুবকটিঃ -জ্বী, পারি।
তারা বললোঃ-আমাদের কাছে এই কুরআন কারীম অনেক দিন ধরে পড়ে আছে। আমরা এটা পড়তে পারি না। আমরা এটাকে পরম যত্নে রেখে দিয়েছি।
এক নাবিকের কাছ থেকেই আমরা এটা কিনেছিলাম।
তিলাওয়াত করতে শুরু করল। কুরআন খানা পড়তে
দেখে উপস্থিত মুসাল্লীরা সবাই তার চারপাশ
থেকে ঘিরে ধরলো। অবাক হয়ে সবাই প্রশ্ন করলো
-আপনি কুরআন পড়তে পারেন? যুবকটিঃ -জ্বী, পারি।
তারা বললোঃ-আমাদের কাছে এই কুরআন কারীম অনেক দিন ধরে পড়ে আছে। আমরা এটা পড়তে পারি না। আমরা এটাকে পরম যত্নে রেখে দিয়েছি।
এক নাবিকের কাছ থেকেই আমরা এটা কিনেছিলাম।
আমাদের এই দ্বীপে, আগে একজন ছিলেন, তিনি এই কুরআন পড়তে পারতেন। ঠিকঠাক করা ছিলো, তিনিই সবাইকে কুরআন শিক্ষা দিবেন। এরপর তিনি হজ্জে
গেলেন। আর ফিরে আসেননি। এখন আপনি আমাদেরকে, আমাদের সন্তানদেরকে কুরআন শিক্ষা দিন। যুবকটি দ্বীপের বাচ্চাদেরকে কুরআন কারীম শিক্ষা দিতে লাগল।
গেলেন। আর ফিরে আসেননি। এখন আপনি আমাদেরকে, আমাদের সন্তানদেরকে কুরআন শিক্ষা দিন। যুবকটি দ্বীপের বাচ্চাদেরকে কুরআন কারীম শিক্ষা দিতে লাগল।
তাদেরকে অন্যান্য লেখাপড়াও শেখাতে থাকল। কিছুদিন পর এলাকার মুরুব্বিরা বললেনঃ- আমাদের
এলাকায় একজন ইয়াতীম মেয়ে আছে। আল্লাহ্ মাহের বানীকা সর্বগুণে গুণান্বিতা। আপনি কি তাকে বিয়ে করতে রাজি হবেন? যুবকটিঃ- মেয়েকে না দেখেই বলল আমার কোনও আপত্তি নেই।
এলাকায় একজন ইয়াতীম মেয়ে আছে। আল্লাহ্ মাহের বানীকা সর্বগুণে গুণান্বিতা। আপনি কি তাকে বিয়ে করতে রাজি হবেন? যুবকটিঃ- মেয়েকে না দেখেই বলল আমার কোনও আপত্তি নেই।
এরপর একটা দিন ধার্য করে তাদের বিয়ে হয়ে গেলো, বাসর রাতে স্ত্রীর সাথে দৃষ্টি বিনিময় করতেই অবাক, যুবকটি তাকে দেখে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেল। দেখল তার গলায়
মক্কায় কুড়িয়ে পাওয়া সেই হার ঝুলছে। জানতে চাইল- এই হার তোমার কাছে কিভাবে এলো? নববধূ লাজুক মুখে উত্তর দিলো এটা আমার আব্বু হজে গিয়ে আমার জন্য খরিদ করে এনেছিলেন।
মক্কায় কুড়িয়ে পাওয়া সেই হার ঝুলছে। জানতে চাইল- এই হার তোমার কাছে কিভাবে এলো? নববধূ লাজুক মুখে উত্তর দিলো এটা আমার আব্বু হজে গিয়ে আমার জন্য খরিদ করে এনেছিলেন।
দুর্ভাগ্যক্রমে এই হারটি আব্বু হারিয়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু এক মহত ব্যক্তির বদান্যতায় হারটা ফিরে পেয়েছিলেন। তার পর থেকে আব্বু সব সময় তার জন্য দু'আ করতেন, আর বলতেন “ইয়া আল্লাহ্! আমার মেয়ের জন্য, মক্কার ঐ মহত ব্যক্তির মতো এমন একজন স্বামী মিলিয়ে দিন”
সুবহান আল্লাহ্" আলহামদুলিল্লাহ্ " আল্লাহ্ চাইলে সবই সম্ভব।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন