১. ঢিলাঢালাা ও সমস্ত শরীর ঢাকে এমন হওয়া। সুতরাং যে পোশাকে নারীর চুল, ঘাড়, বক্ষ, পেট-পিঠ যেমন: শাড়ি ও ছোট ব্লাউজে এবং হাঁটু ও ঊরু যেমন: স্ক্যার্ট, ঘাগরা, ফ্রক্ ইত্যাদিতে প্রকাশ পায় তা মুসলিম মহিলার জন্য বেগানা পুরুষের সামনে পরিধান করা হারাম। আর মাহরাম পুরুষদের (যাদের সাথে স্থায়ী ভাবে বিবাহ হারাম) সামনে শরীরের ততটুকু অংশ প্রকাশ করা যাবে যতটুকু খুলে রাখা প্রচলিত প্রথামতে চলে যেমন: মাথা, ঘাড়, মুখমণ্ডল, হাত-পায়ের কিছু অংশ।
২. সৌন্দর্যময় ও দৃষ্টি-আকর্ষণীয় না হওয়া। অতএব, এমব্রয়ডারি করা চকচকে রঙ্গিন বোরকা পরে বাড়ীর বাইরে যাওয়া হারাম।
৩. শরীর ঢাকে এমন কাপড়ের পোশাক হওয়া। ফিন্ফিনে পাতলা যা শরীরের ভিতরের চামড়ার রঙ দেখা যায় এমন পোশাাক স্বামী ছাড়া অন্যের সামনে পরিধান করা হারাম।
৩. শরীর ঢাকে এমন কাপড়ের পোশাক হওয়া। ফিন্ফিনে পাতলা যা শরীরের ভিতরের চামড়ার রঙ দেখা যায় এমন পোশাাক স্বামী ছাড়া অন্যের সামনে পরিধান করা হারাম।
৪. টাইট্ফিট তথা আঁট-সাাঁট অতি সংকীর্ণ না হওয়া যা দ্বারা শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সাইজ প্রকাশ পায়। তাই মুসলিম নারী চুশ্ত ও ফ্যাশনের পোশাক স্বামী ছাড়া অন্যের সামনে পরিধান করবে না; যাতে তার শরীরের আকার প্রকাশ পায়। বেহায়াপনা পোশাক পরে নিজেদেরকে প্রদর্শন করে বেড়ানো সম্পূর্ণ হারাম।
৫. পুরুষদের সদৃশ পোশাক না হওয়া। সুতরাং প্যান্ট, শার্ট ইত্যাদি মহিলাদের জন্য পরিধান করা ঠিক নয়। কারণ নবী [সা] “পুরুষদের বেশধারিণী নারীদের প্রতি অভিশাপ করেছেন।” [বুখারী]
৬. অমুসলিম মহিলাদের অনুকরণে তাদের সদৃশ পোশাক না হওয়া। রাসূলুল্লাহ [সা] বলেন:“যে ব্যক্তি যে জাতির অনুকরণ করে, সে সেই জাতির দলভুক্ত।” [আবূ দাঊদ] মুসলিম নারীরা ঢিলে ম্যাক্সি বা শেলোয়ার-কামিস তার উপর রোরকা ও মাথায় চাদর বা উড়না ব্যবহার করবে যা দ্বারা মাথার কেশ ও বক্ষস্থল ইত্যাদি আচ্ছাদিত হয়।
৭. আতর বা সেন্ট লাগিয়ে সুবাসিত হয়ে যেন না বের হয়। কারণ যে নারী সুগন্ধি মেখে বাইরে যায় তাকে নবী [সা] ব্যভিচারিণী নারী বলে আখ্যায়িত করেছেন। [আহমাদ]
৮. জাঁকজমক ও মানুষের মধ্যে খ্যাতি লাভের উদ্দেশ্যে পোশাক না হওয়া।
নোট:
প্রকাশ থাকে যে, নারীদেহে যৌবনের লক্ষণ দেখা মাত্রই বাড়ীর বাহিরের জন্য এই শর্তের পোশাক পরিধান করা ফরজ। স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কোন পর্দা নেই উভয়ে এক অপরের পোশাক। [সূরা আল-ইমরান: ২৮৭] উভয়ে উভয়ের সর্বাঙ্গ দেখতে পারে।
প্রকাশ থাকে যে, নারীদেহে যৌবনের লক্ষণ দেখা মাত্রই বাড়ীর বাহিরের জন্য এই শর্তের পোশাক পরিধান করা ফরজ। স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কোন পর্দা নেই উভয়ে এক অপরের পোশাক। [সূরা আল-ইমরান: ২৮৭] উভয়ে উভয়ের সর্বাঙ্গ দেখতে পারে।
মাহ্রাম পুরু্ষদের সামনে নারীর পর্দা গলা থেকে হাঁটু পর্যন্ত। অবশ্য কোন চরিত্রহীন মাহ্রাম পুরুষের কথায় বা ভাবভঙ্গিতে অশ্লীলতা ও কামভাব বুঝলে, তার নিকটেও যথা সম্ভব অন্যান্য অঙ্গও পর্দা করবে। দৃষ্টিহীন অন্ধ ব্যক্তিদের সামনে পর্দা করা প্রয়োজন নয়। আর অন্ধদেরকে পর্দা করার বর্নিত হাদীস দুর্বল।
অন্যান্য মুসলিম নারীদের সামনে শালিনতা বজায় রাখবে। তবে কোন চরিত্রহীনা নারীর সামনে সৌন্দর্য প্রকাশ করা উচিত নয়।
অনুরূপ যে নারীরা অন্য নারীর রূপ কোন বন্ধু বা স্বামীর নিকটে বর্ণনা করে তাদের সামনে বেপর্দা হওয়া নিষিদ্ধ। আর অমুসলিম মহিলাদের সামনে হাত ও চেহারা ছাড়া অন্যান্য অঙ্গ খোলা বৈধ নয়।
অনুরূপ যে নারীরা অন্য নারীর রূপ কোন বন্ধু বা স্বামীর নিকটে বর্ণনা করে তাদের সামনে বেপর্দা হওয়া নিষিদ্ধ। আর অমুসলিম মহিলাদের সামনে হাত ও চেহারা ছাড়া অন্যান্য অঙ্গ খোলা বৈধ নয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন