বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

যুগে যুগে মুসলমানদের ঈমান কে শেষ করার জন্য বিভিন্ন ফিৎনাবাজদের আবির্ভাব হয়েছে

যুগে যুগে মুসলমানদের ঈমান কে শেষ করার জন্য বিভিন্ন
ফিৎনাবাজদের আবির্ভাব হয়েছে, যাদের কবলে পড়ে কিছু
শিক্ষিত সম্প্রদায় নিজেদের ঈমান
হারিয়ে জাহান্নাম কে নিজেদের
ঠিকানা বানিয়ে নিয়েছে ।
বর্তমান জাকির নায়েকের কিছু কিছু ভ্রান্ত মতবাদ বা তার লেকচার সমুহও সেই সেই ধরনের ফিৎনা সৃষ্টি করছে যা তার ভক্তদের চোখে ধরা পরেনা।
জাকির নায়েকের কিছু কিছু কোরান ও হাদিস বিরোধী বক্তব্যই প্রমান
করে যে,সে এক জন ভ্রান্ত মতবাদি।
তার কিছু বিভ্রান্তিমূলক
বক্তব্য এবং তার
জবাব নিম্নে উল্ল্যেখ করা হলঃ-
১.জাকির নায়েক বলেছে যে,
সে অন্ধভাবে পরকাল,
জান্নাত,জাহান্নাম,রূহ,
জ্বিন,ফেরেস্তা বিশ্বাস করে না ।
সে যুক্তি এবং সম্ভবনা তত্ত্ব (theory
of probably)
দ্বারা বিশ্বাস করে ।(নাউযুবিল্লাহ)
Quran and Modern Science- conflict or conciliation---
-"Presenting Islam and Clarifying
Misconceptions
(– Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by
AHYA Multi-Media- 12 Enlightening Sessions)
তার এই বক্তব্য স্পষ্টতঃ সূরা বাক্বারার ২ এবং ৩ নম্বর
আয়াত শরীফের বিরোধী । আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “এ
সেই কিতাব মুবারক যাতে কোন সন্দেহ নেই । মুত্তাকিদের
জন্য যারা অদৃশ্যের উপর বিশ্বাস
স্থাপন করেছে ।”
২.জাকির নায়েক
বলেছে যে,দাড়ি রাখা ও টুপি পরার
কথা কোরান ও হাদিসে নেই {পোশাকের
বিধান পৃঃ ১৩৮৯}
[Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by
AHYA Multi-Media- 12 Enlightening Sessions]
তার এই বক্তব্য দ্বারা সে প্রমাণ
করেছে সে কত বড় গন্ড
মুর্খ ও হাদিস সম্পর্কে অজ্ঞ! হাদীছ
শরীফে হুযুর পাক
সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম
ঈরশাদ করেন
“তোমরা (পুরুষরা) দাড়ি লম্বা করো”।
(মুসলিম শ রীফ ১ম
খন্ড ১২২ পৃঃ,তিরমীযি শরীফ হাদিস
নং২৭৬৩,নেসাঈ
শরীফ)
৩. জাকির নায়েক বলেছে যে,
মুসলমানদের জন্য টাই
পরা জায়িজ। কারণ বাইবেলের কোথাও
টাইকে ক্রুশের
প্রতীক হিসেবে উল্লেখ
করা হয়নি।,সে আরো বলেছে,
টাই যদি ক্রুশের মত
হয়ে থাকে তবে কুর্তা আরো বেশী ক্রুশের
মত।
সে আরো বলেছে যে, যে কোন পোশাক
পরিধান
করা যাবে যদি সেটি শরীয়া বিরোধী না হয়।
(নাউযুবিল্লাহ
মিন যালিক) [পোশাকের বিধান১৩৭৯
পৃঃ (Muhammed
in various world religious scripture- from the CD
-"Presenting Islaam and Clarifying
Misconceptions
– Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by
AHYA Multi-Media- 12 Enlightening Sessions)]
জাকির নায়েক কত বড় মাপের মূর্খ
যে সে বাইবেলে ইসলামী আদেশ-
নিষেধ খুজে বেড়ায়!মহান আল্লাহ পাক সূরা ইমরান এর ৮৫
নম্বর আয়াত শরীফ এ ইরশাদ করেন,
“যে দ্বীন ইসলাম
ব্যতীত অন্য
কোন ধর্ম বা মতবাদের নিয়ম-
নীতি গ্রহণ করবে সেটা তার
থেকে গ্রহণ
করা হবে না এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্থদের
অর্থাৎ
জাহান্নামীদের অন্তর্ভূক্ত হবে ।”
আবার হুযুর পাক
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
মিশকাত শরীফ এ
ইরশাদ
করেন,“যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের
সাথে মিল রাখে,
সে তাদের অন্তর্ভুক্ত এবং তার
হাশর-নশর তাদের
সাথে হবে ।”
৪.জাকির নায়েক বলেছে যে,গীতা ও
বাইবেল
পড়া হচ্ছে মুস্তাহাব। (মিডিয়া এন্ড
ইস লাম ১২৭৩)
মহান আল্লাহ পাক সূরা মায়িদার ৪৪
নম্বর আয়াত শরীফ
এ ইরশাদ করেন, “আল্লাহ পাক
তিনি যা নাযিল করেছেন
সে অনুযায়ী যারা আদেশ- নির্দেশ
করবে না তারা কাফির
।” আর কোরান হচ্ছে The complete code of
human
life.অথচ জাকির নায়েক বিধর্মীদের পুস্তক পাঠ করা কে মুস্তাহাব বলছে এবং তা থেকে আদেশ ও
নিষেধাজ্ঞা জারী করে কোরানের
আইন অমান্য করার
প্রচার চালাচ্ছে ।
5. জাকির নায়েক
নাস্তিকদেরকে স্বাগত জানায় কারণ
তারা কলেমা শরীফ এর প্রথম অংশ
“লা ইলাহা” অর্থাৎ
“কোন প্রভু নেই” স্বীকার করে।
(নাউযুবিল্লাহ মিন
যালিক)
(Quraan and Modern Science- conflict or
conciliation----"Presenting Islaam and Clarifying
Misconceptions – Lecture series by Dr.Zaakir
Naik,
Developed by AHYA Multi-Media- 12 Enlightening
Sessions)
প্রথমত কালেমা শরীফ এর প্রথম
অংশ
হলো “লা ইলাহা ইল্লালাহ” অর্থাৎ
“আল্লাহ পাক
ব্যতীত কোন ইলাহ নেই” কিন্তু জাকির
নায়েক
“ইল্লালাহ” বাদ দিয়ে বলেছে।
দ্বিতীয়তঃ তার মত
কুফরী আক্বীদা পোষণ করে কেউ
যদি সারা জীবন
কলেমা শরীফ পড়েও থাকে তবুও
সে ৭২টি বাতিল ফিরকার
সাথে শামিল হবে । এ সকল ছাড়াও
তার আরও বহু
লেকচারের দ্বারা সে যে ভ্রান্ত মতবাদি তার প্রমান
প্রমান দিয়েছে।
মুসলিম ভাইদের নিকট আবেদন
এই যে,
তারা যেন নিজদের জাকির নায়েকের ভ্রান্ত মতবাদিতার
বেড়াজাল হতে দূরে রাখে ।
আল্লার নিকট প্রার্থনা করি
এই সকল ফিৎনা হতে মুসলিম
সমাজ কে হেফাজত করুন ।
(আমীন)
এখানে
প্রত্যেকটা কথা রেফারেন্স
সহকারে দেওয়া আছে এবং প্রত্যেকটা কথা
কোরআনের
বিপরীত তারপরও কেউ যদি বলে সে সহিহ দিনের
প্রচারক তাহলে তার থেকে মুর্খ
আর কে হতে পারে?
বিদ্রঃ কারো বিরোধিতা নয়,
ভুলগুলো সংসধনের উদ্দ্যেশ্যে লিখছি।
আল্লাহ আমাদের কে সহিহ বুঝ দান করুন,
আমিন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন