একজন উচ্চ ডিগ্রিধারী বুদ্ধিজীবি লোক গরুর গাড়িতে করে তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছেন। সাথে তার স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ে। কিছু দূর যাওয়ার পর সামনে একটি খাল পড়লো। এমতাবস্থায় গরুর গাড়ির চালক বললো, স্যার ! এই খালে পানি অনেক বেশী। সামনে এগুনো যাবে না। ডিগ্রিধারী লোকটি গাড়োয়ানকে ধমক দিয়ে বললো, ধ্যাত বেওকুফ ! কে বলেছে যাওয়া যাবে না? আমি একজন চাটার্ট এ্যাকাউন্টেন্ট। আগে হিসেব মিলিয়ে দেখি পানির পরিমাণ কতো ।
:
তারপর গরুর গাড়ি থেকে নেমে খালের পানি মাপতে শুরু করলো। মেপে দেখলো, খালের পানি কোথাও ১০ ফিট, কোন স্থানে ৫ ফিট, কোথাও বা দুই, এক কিংবা আধা ফিট।
মোট কথা, কোথাও কম কোথাও একটু বেশি। তারপর হিসেব কষে বের করলো, খালের পানির গভীরতার পরিমাণ গড়ে মাত্র দুই ফিট।
:
এর পর সে গাড়ি চালককে বললো, এই মিয়া ! তোমার গাড়ির চাকা তো দুই ফিটের চে‘ বেশি। বেওকুফ গাড়ি চালাও ! চালক জবাবে বললো, স্যার ! আপনি যে হিসেব কষলেন, তা আমার দেমাগে ঢুকছে না। তবে আপনি বললে চালাতে আপত্তি করবো না। বলছি কি, আপনারা সাঁতার জানেন তো? এই খালে গাড়ি চালালে সকলেই ডুবে মরবেন কিন্তু ! লোকটি চালকে ধমক দিয়ে বললো, আমি তোমাকে গাড়ি চালাতে বলছি, তুমি প্যাচাল বাদ দিয়ে গাড়ি চালাও। ব্যস। ওকে স্যার বলে চালক গাড়ি চালাতে শুরু করলো। ধীরে ধীরে ডুবে যেতে লাগলো গাড়ির চাকা। পানি উঠতে শুরু করলো গাড়িতে। বাচ্চারা গাড়িতে পানি উঠতে দেখে চিৎকার করে বললো, বাবা ! আমরা ডুবে যাচ্ছি তো! বাবা বললো, দাঁড়াও আমি আবারো হিসেবটা দেখি। দেখলেন হিসেবে কোনো ভুল নেই। পানি দুই ফিট।
:
তাই চালককে পুনরায় বললো, গাড়ি চালাও । নির্দেশ পেয়ে বেচারা গাড়ি চালক গাড়ি চালাতে থাকলো। খালের মাঝামাঝি যাওয়ার পর গাড়িটি সম্পূর্ণ ডুবে গেলো। স্ত্রী বাচ্চারা পানিতে হাবুডুবু খেতে খেতে মারা গেলো। সে তখনো হিসেব কষায় ব্যস্ত। হিসেবতো ঠিকই আছে, তবে গাড়ি ডুবলো কেনো?
:
বন্ধুরা ! আজকে আমরা সবাই গড় হিসেব নিয়ে ব্যাস্ত। সব কিছু অংক করে সমাধান করতে চাই। যেমন, একজন মেয়ে স্বামীর বাড়িতে নির্যাতিত হচ্ছে। বাবার কাছে মেয়েটা বারবার আবদার করছে ছাড়িয়ে আনার জন্য। বাবা হিসেব করেন, মেয়েকে ছাড়িয়ে আনলে সামাজিক ভাবে তিনি হেনস্থা হবেন। এমন হিসেবকি অন্যায় নয়? অবশ্যই অন্যায়। সরকার মহাশয় হিসেব করেন, রাস্তায় থ্রি হুইলার বন্ধ করলেই এক্সিডেন্ট বন্ধ হয়ে যাবে। বন্ধ হয়েছে কি? হয়নি। নারীবাদীরা মনে করছেন, নারী সোচ্ছার হলেই ধর্ষণ, ইভটিজিং বন্ধ হয়ে যাবে। বন্ধ হয়েছে কি? হয় নি, বরং বেড়েছে।
:
তথা কথিক নাস্তিক্যবাদীরা মনে করছে ধর্মের বন্ধণ থেকে মুক্ত হলেই মানুষের মাঝে সমতা ফিরে আসবে। হবে কি? কস্মিন কালেও না। সম্ভব নয়। কল্পনাও করা যায় না।
:
যদি প্রকৃত পক্ষেই সমাজ-রাষ্ট্রে সমতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে হয়, তাহলে অবশ্যই অনুস্বরণ করতে হবে সুন্নাতে উলার। আর না হয় হিসেব কষতে কষতেই একদিন সমাজ রাষ্ট্র সব তলিয়ে যাবে গোমরাহি আর অশান্তির অতলে। আমরা হারিয়ে যাবো বইয়ের পাতায় স্থান পাওয়া বোকা-জাতীর ইতিহাসের ভিড়ে। তাই এখনি সাবধান হওয়া উচিত আমাদের।
:
আল্লাহ আমাদের সবাইকে যুক্তির মানদন্ডে না চলে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে জীবন পরিচালনার তৌফিক দান করুন। আমীন।।
:
তারপর গরুর গাড়ি থেকে নেমে খালের পানি মাপতে শুরু করলো। মেপে দেখলো, খালের পানি কোথাও ১০ ফিট, কোন স্থানে ৫ ফিট, কোথাও বা দুই, এক কিংবা আধা ফিট।
মোট কথা, কোথাও কম কোথাও একটু বেশি। তারপর হিসেব কষে বের করলো, খালের পানির গভীরতার পরিমাণ গড়ে মাত্র দুই ফিট।
:
এর পর সে গাড়ি চালককে বললো, এই মিয়া ! তোমার গাড়ির চাকা তো দুই ফিটের চে‘ বেশি। বেওকুফ গাড়ি চালাও ! চালক জবাবে বললো, স্যার ! আপনি যে হিসেব কষলেন, তা আমার দেমাগে ঢুকছে না। তবে আপনি বললে চালাতে আপত্তি করবো না। বলছি কি, আপনারা সাঁতার জানেন তো? এই খালে গাড়ি চালালে সকলেই ডুবে মরবেন কিন্তু ! লোকটি চালকে ধমক দিয়ে বললো, আমি তোমাকে গাড়ি চালাতে বলছি, তুমি প্যাচাল বাদ দিয়ে গাড়ি চালাও। ব্যস। ওকে স্যার বলে চালক গাড়ি চালাতে শুরু করলো। ধীরে ধীরে ডুবে যেতে লাগলো গাড়ির চাকা। পানি উঠতে শুরু করলো গাড়িতে। বাচ্চারা গাড়িতে পানি উঠতে দেখে চিৎকার করে বললো, বাবা ! আমরা ডুবে যাচ্ছি তো! বাবা বললো, দাঁড়াও আমি আবারো হিসেবটা দেখি। দেখলেন হিসেবে কোনো ভুল নেই। পানি দুই ফিট।
:
তাই চালককে পুনরায় বললো, গাড়ি চালাও । নির্দেশ পেয়ে বেচারা গাড়ি চালক গাড়ি চালাতে থাকলো। খালের মাঝামাঝি যাওয়ার পর গাড়িটি সম্পূর্ণ ডুবে গেলো। স্ত্রী বাচ্চারা পানিতে হাবুডুবু খেতে খেতে মারা গেলো। সে তখনো হিসেব কষায় ব্যস্ত। হিসেবতো ঠিকই আছে, তবে গাড়ি ডুবলো কেনো?
:
বন্ধুরা ! আজকে আমরা সবাই গড় হিসেব নিয়ে ব্যাস্ত। সব কিছু অংক করে সমাধান করতে চাই। যেমন, একজন মেয়ে স্বামীর বাড়িতে নির্যাতিত হচ্ছে। বাবার কাছে মেয়েটা বারবার আবদার করছে ছাড়িয়ে আনার জন্য। বাবা হিসেব করেন, মেয়েকে ছাড়িয়ে আনলে সামাজিক ভাবে তিনি হেনস্থা হবেন। এমন হিসেবকি অন্যায় নয়? অবশ্যই অন্যায়। সরকার মহাশয় হিসেব করেন, রাস্তায় থ্রি হুইলার বন্ধ করলেই এক্সিডেন্ট বন্ধ হয়ে যাবে। বন্ধ হয়েছে কি? হয়নি। নারীবাদীরা মনে করছেন, নারী সোচ্ছার হলেই ধর্ষণ, ইভটিজিং বন্ধ হয়ে যাবে। বন্ধ হয়েছে কি? হয় নি, বরং বেড়েছে।
:
তথা কথিক নাস্তিক্যবাদীরা মনে করছে ধর্মের বন্ধণ থেকে মুক্ত হলেই মানুষের মাঝে সমতা ফিরে আসবে। হবে কি? কস্মিন কালেও না। সম্ভব নয়। কল্পনাও করা যায় না।
:
যদি প্রকৃত পক্ষেই সমাজ-রাষ্ট্রে সমতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে হয়, তাহলে অবশ্যই অনুস্বরণ করতে হবে সুন্নাতে উলার। আর না হয় হিসেব কষতে কষতেই একদিন সমাজ রাষ্ট্র সব তলিয়ে যাবে গোমরাহি আর অশান্তির অতলে। আমরা হারিয়ে যাবো বইয়ের পাতায় স্থান পাওয়া বোকা-জাতীর ইতিহাসের ভিড়ে। তাই এখনি সাবধান হওয়া উচিত আমাদের।
:
আল্লাহ আমাদের সবাইকে যুক্তির মানদন্ডে না চলে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে জীবন পরিচালনার তৌফিক দান করুন। আমীন।।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন