জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষন বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি মানিক কেক কেটে উৎসব করে ধষর্নের সেঞ্চুরীর উৎযাপন পালন করে। এর প্রতিক্রিয়ায় সাধারণ ছাত্রদের ধর্ষন বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। পাচুটিয়া গ্রাম যেদিন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে গিয়েছিল সেদিন কেউ বুঝেনি ২৮ কি ২৯ বছর পর ছাত্রলীগের নেতৃত্বে অনন্য এক ইতিহাস সৃষ্টি করবে এই বিদ্যাপীঠ। ১৯৯৯ সালের ২ আগস্ট। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সমাজ অসামান্য এক লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে লিখল এক নতুন সকালের গল্প। পুরো নব্বই দশক জুড়ে যে বিশবিদ্যালয়ের ছাত্র অন্দোলন অন্যায়-প্রতিক্রিয়াশীল-শোষন প্রতিবন্ধকতা-নীপিড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে দিশা দেখিয়েছে, তারই অনিবার্য পরিনতি ২ আগস্টের সেই সকাল। ২ অগস্ট হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোন ইতিহাস নয়। ছাত্র সমাজের ধারাবাহিক আন্দোলনের ফসল এই দশ দিক কাঁপানো দিনটি।
১৭ আগস্ট’৯৮, কিছু ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর ছাত্রী ধর্ষনের খবর প্রথম পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ২০ তারিখ থেকে শুরু হয় সংঘবদ্ধ আন্দোলন। সাধারন ছাত্র ঐক্য’র ব্যানারে সংগঠিত করেছিল প্রথম ধর্ষন বিরোধী আন্দোলন। আন্দোলন চলাকালে ২৩ আগস্ট ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা নৃবিজ্ঞান বিভাগের তৎকালীন অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদকে লাঞ্চিত করে। তার আভিযোগের প্রেক্ষিতে পৃথক একটি কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তীতে দুজনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করে প্রশাসন। কিন্তু ধর্ষনের বিচারের দাবি প্রলম্বিত করার চেষ্টা চালায় প্রশাসন। আন্দোলনের মুখে আওয়ামীপন্থী শিক্ষক প্রশাসন সত্যতা যাচাই কমিটি গঠন করলেও টালবাহানার আশ্রয়ে তারা ধর্ষকদের পক্ষ অবলম্বন করে।
৩ সেপ্টেম্বর কমিটির রিপোর্ট প্রকাশের কথা ছিল। কিন্তু পরিবর্তিত হয়ে প্রথমে ১৩, তারপর ২২ এবং ২৪ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত হয় রায় প্রকাশের দিন। অন্য দিকে আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকেই ক্যাম্পাসে অনবরত চলতে থাকে ছাত্রলীগের হুমকি ভয়-ভীতি। ছাত্রসমাজের আন্দোলনকে অযৌক্তিক আখ্যা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকে দোষীরা নিজেদের রক্ষার ঢাল বের করে। স্যুটলিস্ট-রেপলিস্ট-হিটলিস্ট বানিয়ে আন্দোলনকে দূর্বল করার চেষ্টা করে মুখোশ পরা সন্ত্রাসীরা। প্রশাসনও দেয় প্রত্যক্ষ্ মদদ । এর মধ্যেই ঘটে যায় স্মরণাতীতকালের মহাপ্লাবী বন্যা। এর পরও ছাত্র সমাজ দুর্বার গতিতে, অসীম সাহসীকতায় বিজয়ের স্বপ্নে আন্দোলন
চালিয়ে যাচ্ছিল।
২৪ সেপ্টেম্বর’৯৮, সেদিন ছিল দিনব্যাপী সিন্ডিকেট সভা। আন্দোলনরত ছাত্ররা ঘেরাও করে সিন্ডিকেট। অন্যদিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে দিয়ে চালাতে থাকে ছাত্রলীগের সশস্ত্র শোডাউন।
দুপুরে সিন্ডিকেট সদস্যরা সভা মুলতবী রেখে খাবার খেতে বের হলে তাদের অনিরাপদে রেখে ভিসি আলাউদ্দিন আহমেদকে প্রশাসনিক ভবন ত্যাগ না করার অনুরোধ জানায় আন্দোলনকারীরা। কিন্তু তিনি অনুরোধ উপেক্ষা করে কয়েকজন ছাত্রীকে পদপিষ্ট করে প্রশাসনিক ভবন ত্যাগ করেন। সভা চলার এক পর্যায়ে রাত ৯টায় সিন্ডিকেট সদস্য এ. এন. রাশেদা প্রশাসনিক ভবন ত্যাগ করতে চাইলে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা তাকে লাঞ্চিত করে। অবস্থা প্রতিকুল দেখে তিনি আবার সভায় যোগ দেন। সভা শেষে রাত ১টার দিকে ভিসি ৭ জন ধর্ষণকারী ও ৬ জন সহযোগীসহ মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রদান করতে সিদ্ধান্ত দেন। কিন্তু ২৮ তারিখের সিন্ডিকেট পূর্ববর্তী সভার রায় পরিবর্তন করে। ককটেল পার্টি আর মিষ্টি বিতরনের মধ্য দিয়ে ‘ধর্ষণ সেঞ্চুরী’ উদযাপন করা নাটক ও নাট্যতত্ত্ব
বিভাগের ছাত্র এবং জা'বি শাখা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক যৌন সন্ত্রাসী জসীমউদ্দিন মানিকসহ মাত্র ৫ জনকে শাস্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। বহিষ্কার করা হয় শুধু মানিককে। অন্যদের ‘গুরু পাপে লঘু দন্ড’ দেওয়া হয়। এমনকি একজনকে সদাচরনের জন্য তার শাস্তি স্থগিত করা হয়। কিন্তু এসব ছাত্রআন্দোলনকে পিছু হটাতে পারেনি।
৩ সেপ্টেম্বর কমিটির রিপোর্ট প্রকাশের কথা ছিল। কিন্তু পরিবর্তিত হয়ে প্রথমে ১৩, তারপর ২২ এবং ২৪ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত হয় রায় প্রকাশের দিন। অন্য দিকে আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকেই ক্যাম্পাসে অনবরত চলতে থাকে ছাত্রলীগের হুমকি ভয়-ভীতি। ছাত্রসমাজের আন্দোলনকে অযৌক্তিক আখ্যা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকে দোষীরা নিজেদের রক্ষার ঢাল বের করে। স্যুটলিস্ট-রেপলিস্ট-হিটলিস্ট বানিয়ে আন্দোলনকে দূর্বল করার চেষ্টা করে মুখোশ পরা সন্ত্রাসীরা। প্রশাসনও দেয় প্রত্যক্ষ্ মদদ । এর মধ্যেই ঘটে যায় স্মরণাতীতকালের মহাপ্লাবী বন্যা। এর পরও ছাত্র সমাজ দুর্বার গতিতে, অসীম সাহসীকতায় বিজয়ের স্বপ্নে আন্দোলন
চালিয়ে যাচ্ছিল।
২৪ সেপ্টেম্বর’৯৮, সেদিন ছিল দিনব্যাপী সিন্ডিকেট সভা। আন্দোলনরত ছাত্ররা ঘেরাও করে সিন্ডিকেট। অন্যদিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে দিয়ে চালাতে থাকে ছাত্রলীগের সশস্ত্র শোডাউন।
দুপুরে সিন্ডিকেট সদস্যরা সভা মুলতবী রেখে খাবার খেতে বের হলে তাদের অনিরাপদে রেখে ভিসি আলাউদ্দিন আহমেদকে প্রশাসনিক ভবন ত্যাগ না করার অনুরোধ জানায় আন্দোলনকারীরা। কিন্তু তিনি অনুরোধ উপেক্ষা করে কয়েকজন ছাত্রীকে পদপিষ্ট করে প্রশাসনিক ভবন ত্যাগ করেন। সভা চলার এক পর্যায়ে রাত ৯টায় সিন্ডিকেট সদস্য এ. এন. রাশেদা প্রশাসনিক ভবন ত্যাগ করতে চাইলে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা তাকে লাঞ্চিত করে। অবস্থা প্রতিকুল দেখে তিনি আবার সভায় যোগ দেন। সভা শেষে রাত ১টার দিকে ভিসি ৭ জন ধর্ষণকারী ও ৬ জন সহযোগীসহ মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রদান করতে সিদ্ধান্ত দেন। কিন্তু ২৮ তারিখের সিন্ডিকেট পূর্ববর্তী সভার রায় পরিবর্তন করে। ককটেল পার্টি আর মিষ্টি বিতরনের মধ্য দিয়ে ‘ধর্ষণ সেঞ্চুরী’ উদযাপন করা নাটক ও নাট্যতত্ত্ব
বিভাগের ছাত্র এবং জা'বি শাখা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক যৌন সন্ত্রাসী জসীমউদ্দিন মানিকসহ মাত্র ৫ জনকে শাস্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। বহিষ্কার করা হয় শুধু মানিককে। অন্যদের ‘গুরু পাপে লঘু দন্ড’ দেওয়া হয়। এমনকি একজনকে সদাচরনের জন্য তার শাস্তি স্থগিত করা হয়। কিন্তু এসব ছাত্রআন্দোলনকে পিছু হটাতে পারেনি।
২৮ সেপ্টেম্বর’৯৮, সাধারন ছাত্ররা সম্মেলনে রায় প্রত্যাখান করে ‘রেপিস্ট গ্রুপের’ ঐ কুখ্যাত ১৩ জনকেই ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষনা করে। ছাত্রসমাজের অদম্য ইচ্ছাশক্তির কাছে নতি স্বীকার করে ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য হয় ধর্ষকরা। ২৯ তারিখ পূজার ছুটিতে শুরু হয় হল ত্যাগ। ক্যাম্পাস খুললে অন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বহু লড়াকু মুহুর্তকে সঙ্গী করে অবশেষে ২অগাষ্ট ১৯৯৯ সফল হয় ৪০ দিনোধিক স্থায়ী প্রথম ধর্ষন প্রতিরোধ আন্দোলন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন