বডি ফিটেড জিন্স ও টি-শার্ট এর সাথে কড়া মেকাপধারী এবং তথাকথিত মুসলিম হিসেবে পরিচিত ফ্যাশনেবল হিজাবীদের সাথে সেক্যুলার বা উদারপন্থী নারীদের মৌলিক কোন পার্থক্য নেই।
কারণ, জিন্স-টপস পরিহিত হিজাবীরাও আল্লাহ’র পরিবর্তে তাদের নিজস্ব বুদ্ধি-বিবেচনা বা তাদের মনের খেয়াল-খুশীকেই তাদের "ইলাহ" হিসাবে নির্ধারণ করে তাদের খুশী মতো শালীনতা বা পর্দার সংজ্ঞা নির্ধারণ করেছে।
আবার, উনাদের মতো উদারপন্থী তথাকথিত মুসলিমরাও আল্লাহ’র পরিবর্তে তাদের নিজস্ব বুদ্ধি-বিবেচনা এবং খেয়াল-খুশীকে "ইলাহ" হিসাবে গ্রহণ করে তাদের নিজস্ব পছন্দ অনুযায়ী শালীনতার সংজ্ঞা নির্ধারণ করেছেন।
তাই, আল্লাহ’র দৃষ্টিতে বডি ফিটেড পোষাক পরিহিতা হিজাবী এবং সেক্যুলার নারীদের মতো শাড়ির সাথে বড় পিঠ খোলা ব্লাউজ পরিহিতা ও এলোকেশীদের মধ্যে আসলে মৌলিক কোন পার্থক্য নেই।
এদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেন:
“তুমি কি তাকে দেখেছো, যে তার নিজস্ব খেয়াল খুশীকে তার "ইলাহ" হিসাবে গ্রহণ করেছে? তারপরেও কি তুমি তাদের জিম্মাদার হতে চাও? তুমি কি মনে কর তাদের বেশীর ভাগ কানে শোনে বা বোঝে? তারা তো আসলে চতুষ্পদ পশুর ন্যায়। না, বস্তুত: তারা চতুষ্পদ পশুর চাইতেও আরো পথভ্রষ্ট।” (সুরা ফুরক্বান: ৪৩-৪৪)
এই ধরনের তথাকথিত মুক্তমনারা এবং নামধারী হিজাবীরা দাবী করেছে যে, যুগ বদলেছে। তাই আমাদের মা-খালা, চাচীদের মতো বখাটেদের নজর এড়াতে এখন আর অমন মধ্যযুগীয় হিজাবের প্রয়োজন নেই।
যুগের সাথে সাথে নারীর প্রতি পুরূষের দৃষ্টিভঙ্গি যদি এখন আগের থেকে অনেক উদার আর পরিবর্তিত হয়ে থাকে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের মতো মুক্তচিন্তা আর নারী স্বাধীনতার ধ্বজাধারী দেশ কেন ধর্ষণে চ্যাম্পিয়ন হয়? কিংবা, ভারতের মতো একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশকে কেন ধর্ষকদের দেশ হিসাবে খেতাব পেতে হয়?
এরকম তারা বিভিন্ন যুক্তি দেখিয়ে হিজাবকে কাটছাঁট করতে চায়, আসলে উলঙ্গ হতে চায়।
এই ধরনের ফ্যাশনেবল হিজাবীদের মতো বকধার্মিক মুসলিমদের জেনে রাখা উচিত, মুসলিম হবার প্রথম শর্ত হচ্ছে, ঈমান আনার পর আল্লাহ ও রাসুলের নি:শর্ত আনুগত্য করা, আল্লাহ’র হুকুমের বিরুদ্ধে বিষোদগার করা নয়। কিংবা, নিজের যেটুকু ভাল লাগে সেটুকু মানা নয়। আল্লাহ বলেন,
“তারা (ঈমানদাররা) বলে, আমরা শুনলাম এবং আমরা মানলাম।” (সুরা বাক্বারা: ২৮৫ )
সুতরাং, সত্যিকার মুসলিমরা আল্লাহ’র হুকুমের নি:শর্ত আনুগত্য করে। এগুলোর বিষয়ে তর্কবিতর্ক করে না। তাই, আপনার ভাষায় ইসলাম যেমন তথাকথিত এইসব হিজাবীদের মনের মাধুরী মিশিয়ে ইসলাম পালনের পথ খোলা রাখেনি, তেমনি ইসলাম আপনাদের মতো সেক্যুলারিজমে বিশ্বাসী উদারপন্থী মুসলিমদের জন্যও সেক্যুলার, ডেমোক্রেটিক বা লিবারেল উপায়ে ইসলাম পালনের পথ খোলা রাখেনি।
মহান আল্লাহ্ বলেন-
"আল্লাহ ও তাঁর রসূল কোন কাজের আদেশ করলে কোন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন ক্ষমতা নেই যে, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আদেশ অমান্য করে সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্ট তায় পতিত হয়। (সুরা আল আহযাবঃ ৩৬)
সবশেষে বলবো, মনের খুশী মতো হিজাব পরে দু’একটি আরবী শব্দ উচ্চারণ করে, লোক দেখানো হিজাব বা যে কোন প্রকার লোক দেখানো ইবাদাত দিয়ে সত্যিকার মুসলিম হওয়া যায় না।
আপনি এর মাধ্যমে কাকে ফাঁকি দিতে চাচ্ছেন?
কারণ, জিন্স-টপস পরিহিত হিজাবীরাও আল্লাহ’র পরিবর্তে তাদের নিজস্ব বুদ্ধি-বিবেচনা বা তাদের মনের খেয়াল-খুশীকেই তাদের "ইলাহ" হিসাবে নির্ধারণ করে তাদের খুশী মতো শালীনতা বা পর্দার সংজ্ঞা নির্ধারণ করেছে।
আবার, উনাদের মতো উদারপন্থী তথাকথিত মুসলিমরাও আল্লাহ’র পরিবর্তে তাদের নিজস্ব বুদ্ধি-বিবেচনা এবং খেয়াল-খুশীকে "ইলাহ" হিসাবে গ্রহণ করে তাদের নিজস্ব পছন্দ অনুযায়ী শালীনতার সংজ্ঞা নির্ধারণ করেছেন।
তাই, আল্লাহ’র দৃষ্টিতে বডি ফিটেড পোষাক পরিহিতা হিজাবী এবং সেক্যুলার নারীদের মতো শাড়ির সাথে বড় পিঠ খোলা ব্লাউজ পরিহিতা ও এলোকেশীদের মধ্যে আসলে মৌলিক কোন পার্থক্য নেই।
এদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেন:
“তুমি কি তাকে দেখেছো, যে তার নিজস্ব খেয়াল খুশীকে তার "ইলাহ" হিসাবে গ্রহণ করেছে? তারপরেও কি তুমি তাদের জিম্মাদার হতে চাও? তুমি কি মনে কর তাদের বেশীর ভাগ কানে শোনে বা বোঝে? তারা তো আসলে চতুষ্পদ পশুর ন্যায়। না, বস্তুত: তারা চতুষ্পদ পশুর চাইতেও আরো পথভ্রষ্ট।” (সুরা ফুরক্বান: ৪৩-৪৪)
এই ধরনের তথাকথিত মুক্তমনারা এবং নামধারী হিজাবীরা দাবী করেছে যে, যুগ বদলেছে। তাই আমাদের মা-খালা, চাচীদের মতো বখাটেদের নজর এড়াতে এখন আর অমন মধ্যযুগীয় হিজাবের প্রয়োজন নেই।
যুগের সাথে সাথে নারীর প্রতি পুরূষের দৃষ্টিভঙ্গি যদি এখন আগের থেকে অনেক উদার আর পরিবর্তিত হয়ে থাকে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের মতো মুক্তচিন্তা আর নারী স্বাধীনতার ধ্বজাধারী দেশ কেন ধর্ষণে চ্যাম্পিয়ন হয়? কিংবা, ভারতের মতো একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশকে কেন ধর্ষকদের দেশ হিসাবে খেতাব পেতে হয়?
এরকম তারা বিভিন্ন যুক্তি দেখিয়ে হিজাবকে কাটছাঁট করতে চায়, আসলে উলঙ্গ হতে চায়।
এই ধরনের ফ্যাশনেবল হিজাবীদের মতো বকধার্মিক মুসলিমদের জেনে রাখা উচিত, মুসলিম হবার প্রথম শর্ত হচ্ছে, ঈমান আনার পর আল্লাহ ও রাসুলের নি:শর্ত আনুগত্য করা, আল্লাহ’র হুকুমের বিরুদ্ধে বিষোদগার করা নয়। কিংবা, নিজের যেটুকু ভাল লাগে সেটুকু মানা নয়। আল্লাহ বলেন,
“তারা (ঈমানদাররা) বলে, আমরা শুনলাম এবং আমরা মানলাম।” (সুরা বাক্বারা: ২৮৫ )
সুতরাং, সত্যিকার মুসলিমরা আল্লাহ’র হুকুমের নি:শর্ত আনুগত্য করে। এগুলোর বিষয়ে তর্কবিতর্ক করে না। তাই, আপনার ভাষায় ইসলাম যেমন তথাকথিত এইসব হিজাবীদের মনের মাধুরী মিশিয়ে ইসলাম পালনের পথ খোলা রাখেনি, তেমনি ইসলাম আপনাদের মতো সেক্যুলারিজমে বিশ্বাসী উদারপন্থী মুসলিমদের জন্যও সেক্যুলার, ডেমোক্রেটিক বা লিবারেল উপায়ে ইসলাম পালনের পথ খোলা রাখেনি।
মহান আল্লাহ্ বলেন-
"আল্লাহ ও তাঁর রসূল কোন কাজের আদেশ করলে কোন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন ক্ষমতা নেই যে, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আদেশ অমান্য করে সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্ট তায় পতিত হয়। (সুরা আল আহযাবঃ ৩৬)
সবশেষে বলবো, মনের খুশী মতো হিজাব পরে দু’একটি আরবী শব্দ উচ্চারণ করে, লোক দেখানো হিজাব বা যে কোন প্রকার লোক দেখানো ইবাদাত দিয়ে সত্যিকার মুসলিম হওয়া যায় না।
আপনি এর মাধ্যমে কাকে ফাঁকি দিতে চাচ্ছেন?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন