ক) আমার বাবা সাইন্সল্যবরেটরী বাইতুল মামুর মসজিদের খতীব ছিলেন প্রায় ৪৫ বছর। কর্মজীবনে মসজিদের দায়িত্ব আদায়ের পাশাপাশি পরিবারের চাহিদা মেটাতে ঘড়ি মেরামতের কাজও করতেন। নিজ হাতের কামাইয়ের চেয়ে হালাল রুযী আর কী হতে পারে?!!
এলিট শ্রেণির ইমাম হওয়া সত্ত্বেও কখনো কারো কাছে ধর্ণা দিতে শুনি নি।
মরহুম বিচারপতি প্রেসিডেন্ট আ.সাত্তার, হোটেল পূর্বানির তৎকালীন মালিক আ.সাত্তার সাহেব. উড়োজাহাজ মার্কা আলকাতরার মালিক গোলাম হায়দার সাহেব, চান্দ টেক্সটাইলের মালিক আলী আহমাদ সাহেব, হাতুড়ি মার্কা সুতা, কসকো সাবানের মালিক সেকান্দার সাহেবরা ছিলেন বাবার একান্ত ভক্ত। তালিকায় বাংলাদেশের এক সময়ের শীর্ষ ধনিদের অনেকেই ছিলেন।
কিন্তু বাবা সবসময়ই তাদেরকে এড়িয়ে চলতেন। নিজের কামাই করা হালাল উপার্জন দিয়েই চলতো সংসার।
এর জন্য অনেক সময়ই অনেকের বিরাগভাজন হয়েছেন।
একদিনের গল্প;
মহল্লার এক মুরুব্বী মৃত্যুবরণ করেছেন, তার বাড়ীতে দোয়ার আয়োজন, আপনজনরা দাওয়াত করতে এসেছেন, বাবার সোজা জবাব আমি যেতে পারবো না। প্রভাবশালী হওয়ায় চাপ প্রয়োগ করছিলেন তারা, বাবা অটল তার সিদ্ধান্তে, আমি যাবো না।
সবাইকে অবাক করে আয়োজকরা দলবল নিয়ে আমাদের বাসায় হাজির; যেতেই হবে আপনাকে। বাবা ছিলেন প্রচণ্ড রাগী মানুষ, দ্বীনি বিষয়েই প্রকাশ পেতো তিনি কতোটা রাগতে পারেন!
হঠাৎ দাঁড়িয়ে গেলেন, একে একে গলা ধাক্কা দিয়ে সবাইকে বের করে দিলেন।
বেধে গেলো মহা গ্যাঞ্জাম!
আমরা ছোট ছিলাম, ভয়ে তটস্ত; তিনি অবিচল।
ঘর থেকে ভয়ে অনেকদিন আর বের হই নি। কিন্তু বাবা ছিলেন স্বাভাবিক।
তারপর কীভাবে কী হলো জানি না, পরিস্থিত শান্ত হলো। সেই তারা বাবার প্রচণ্ড ভক্ত হয়ে গেলো, আজও যে কোনো বিষয়ে আমাদের পাশে পাই।
এলিট শ্রেণির ইমাম হওয়া সত্ত্বেও কখনো কারো কাছে ধর্ণা দিতে শুনি নি।
মরহুম বিচারপতি প্রেসিডেন্ট আ.সাত্তার, হোটেল পূর্বানির তৎকালীন মালিক আ.সাত্তার সাহেব. উড়োজাহাজ মার্কা আলকাতরার মালিক গোলাম হায়দার সাহেব, চান্দ টেক্সটাইলের মালিক আলী আহমাদ সাহেব, হাতুড়ি মার্কা সুতা, কসকো সাবানের মালিক সেকান্দার সাহেবরা ছিলেন বাবার একান্ত ভক্ত। তালিকায় বাংলাদেশের এক সময়ের শীর্ষ ধনিদের অনেকেই ছিলেন।
কিন্তু বাবা সবসময়ই তাদেরকে এড়িয়ে চলতেন। নিজের কামাই করা হালাল উপার্জন দিয়েই চলতো সংসার।
এর জন্য অনেক সময়ই অনেকের বিরাগভাজন হয়েছেন।
একদিনের গল্প;
মহল্লার এক মুরুব্বী মৃত্যুবরণ করেছেন, তার বাড়ীতে দোয়ার আয়োজন, আপনজনরা দাওয়াত করতে এসেছেন, বাবার সোজা জবাব আমি যেতে পারবো না। প্রভাবশালী হওয়ায় চাপ প্রয়োগ করছিলেন তারা, বাবা অটল তার সিদ্ধান্তে, আমি যাবো না।
সবাইকে অবাক করে আয়োজকরা দলবল নিয়ে আমাদের বাসায় হাজির; যেতেই হবে আপনাকে। বাবা ছিলেন প্রচণ্ড রাগী মানুষ, দ্বীনি বিষয়েই প্রকাশ পেতো তিনি কতোটা রাগতে পারেন!
হঠাৎ দাঁড়িয়ে গেলেন, একে একে গলা ধাক্কা দিয়ে সবাইকে বের করে দিলেন।
বেধে গেলো মহা গ্যাঞ্জাম!
আমরা ছোট ছিলাম, ভয়ে তটস্ত; তিনি অবিচল।
ঘর থেকে ভয়ে অনেকদিন আর বের হই নি। কিন্তু বাবা ছিলেন স্বাভাবিক।
তারপর কীভাবে কী হলো জানি না, পরিস্থিত শান্ত হলো। সেই তারা বাবার প্রচণ্ড ভক্ত হয়ে গেলো, আজও যে কোনো বিষয়ে আমাদের পাশে পাই।
(খ) বাবা তার মতো করেই আমাদেরকে গড়ে তোলেন, পরনির্ভরতা নয়, অন্যায়ের সাথে আপোষ নয়।
এবার আমার কথা বলিঃ
আমার এলাকার সংসদ সদস্য জনাব ফজলে নূর তাপস।
তার শশুর বাড়ী আমাদের মসজিদ মহল্লায়।
তার শাশুড়ির জানাযা পড়ানোর পর এক ভদ্রলোক এগিয়ে এলেন আমার কাছে, হাত বাড়ালেন মুসাফাহার জন্যে। মুঠিভরা টাকা, বেশ হবে।
কীসের টাকা জানতে চেয়ে বুঝলাম জানাযা পড়ানোর বিনিময়। অবাক হলাম, বিনয়ের সাথে ফিরিয়ে দিলাম।
তিনি প্রচণ্ড আঘাত পেলেন, আমি পেলাম ভয়ঙ্কর খেতাব; অহঙ্কারী।
প্রভাবশালী এক ফ্যামেলি হয়ে গেলো আমার শত্রু। ভিতরে ভিতরে তারা নিয়েছেন আমাকে শায়েস্তা করার সিদ্ধান্ত।
কুলখানির আয়োজন হলো, আমাকে দাওয়াত করা হলো। শত্রুতা কমাতে এবং সত্য প্রকাশ করতে রাজি হলাম যেতে।
আলোচনা করলাম কুলখানি, চল্লিশা এবং মৃত ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে নানা অনৈসলামিক অনুষ্ঠান সম্পর্কে। আলোচনায় আসলো এসবের বিনিময় দেওয়া এবং গ্রহণকরা বিষয়ে।
প্রোগ্রামের পর আবারও সেই তিনি এগিয়ে এলেন, ইতস্ততঃ কিছু দিতে চাইলেন।
বিনয়ের সাথে আবারো ফিরিয়ে দিলাম, এবার তিনি কৌতূহলী প্রশ্ন করলেন, সারাদিন যারা কুরআন পড়লো সবাইতো নিলো!
কী জবাব দিবো বুঝতে পারছিলাম না, শুধু বললাম আমি পারবো না নিতে।
তিনি টলমলে ছলছলে চোখে শুধু বললেন " থেঙ্কস ", আমিও ওয়েলকাম বলে সালাম দিয়ে বিদায় নিলাম।
এবার আমার কথা বলিঃ
আমার এলাকার সংসদ সদস্য জনাব ফজলে নূর তাপস।
তার শশুর বাড়ী আমাদের মসজিদ মহল্লায়।
তার শাশুড়ির জানাযা পড়ানোর পর এক ভদ্রলোক এগিয়ে এলেন আমার কাছে, হাত বাড়ালেন মুসাফাহার জন্যে। মুঠিভরা টাকা, বেশ হবে।
কীসের টাকা জানতে চেয়ে বুঝলাম জানাযা পড়ানোর বিনিময়। অবাক হলাম, বিনয়ের সাথে ফিরিয়ে দিলাম।
তিনি প্রচণ্ড আঘাত পেলেন, আমি পেলাম ভয়ঙ্কর খেতাব; অহঙ্কারী।
প্রভাবশালী এক ফ্যামেলি হয়ে গেলো আমার শত্রু। ভিতরে ভিতরে তারা নিয়েছেন আমাকে শায়েস্তা করার সিদ্ধান্ত।
কুলখানির আয়োজন হলো, আমাকে দাওয়াত করা হলো। শত্রুতা কমাতে এবং সত্য প্রকাশ করতে রাজি হলাম যেতে।
আলোচনা করলাম কুলখানি, চল্লিশা এবং মৃত ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে নানা অনৈসলামিক অনুষ্ঠান সম্পর্কে। আলোচনায় আসলো এসবের বিনিময় দেওয়া এবং গ্রহণকরা বিষয়ে।
প্রোগ্রামের পর আবারও সেই তিনি এগিয়ে এলেন, ইতস্ততঃ কিছু দিতে চাইলেন।
বিনয়ের সাথে আবারো ফিরিয়ে দিলাম, এবার তিনি কৌতূহলী প্রশ্ন করলেন, সারাদিন যারা কুরআন পড়লো সবাইতো নিলো!
কী জবাব দিবো বুঝতে পারছিলাম না, শুধু বললাম আমি পারবো না নিতে।
তিনি টলমলে ছলছলে চোখে শুধু বললেন " থেঙ্কস ", আমিও ওয়েলকাম বলে সালাম দিয়ে বিদায় নিলাম।
এসব বিষয়ে আপোষহিনতার তা'লীম বাবার কাছেই পেয়েছি, তাই আমার বাবাই আমার শাইখ, আমার উস্তাদ।
رب ارحمهما كما ربياني صغيرا
رب ارحمهما كما ربياني صغيرا
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন