শত যোজনের কত মরুভূমি
পারায়ে গো,
কত বালুচরে কত আঁখি- ধারা ঝরায়ে গো,
বরষের পরে আসিল ঈদ!
(কাজী নজরুল ইসলাম)
কত বালুচরে কত আঁখি- ধারা ঝরায়ে গো,
বরষের পরে আসিল ঈদ!
(কাজী নজরুল ইসলাম)
যে সব আনুষ্ঠানিক উৎসব মুসলমানদের অস্তিত্বের জানান্ দেয় ‘ঈদ’ তার অন্যতম। ‘ঈদ’ শব্দটি আরবি। যা আওদ্ থেকে উৎকলিত। এর শাব্দিক অর্থ ঘুরে ঘুরে আসা, প্রত্যাবর্তন করা। প্রচলিত অর্থে ঈদ মানে আনন্দ বা খুশি। যেহেতু এ আনন্দ বছর ঘুরে ফিরে আসে এজন্য ঈদকে ‘ঈদ’ বলে নামকরণ করা হয়েছে। মুসলমানদের জাতীয় সাংস্কৃতিক চেতনার প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে ঈদ। বছরে পালিত হয় ঈদুল্ ফিতর ও ঈদুল আযহা নামে দু’টি উৎসব ।
ঈদের সূচনা যেভাবে
ইসলামের ইতিহাস পাঠে জানা যায় মদীনাবাসী জাহেলী যুগ থেকে শরতের পূর্ণিমায় ‘নওরোজ’ এবং বসন্তের পূর্ণিমায় ‘ মেহেরজান’ নামে দু’টো উৎসব পালন করতো। যা ছিল ইসলামের সাথে সামঞ্জস্যহীন।
এ ব্যাপারে খাদিমুল রাসূল হযরত আনাস (রাদ্বি.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘‘ বিশ্বনবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন (৬২২ খৃষ্টাব্দে) পবিত্র মক্কা নগরী থেকে
হিজরত করে মদীনা মুনাওয়ারায় তাশরীফ আনলেন, তখন তাদেরকে (বৎসরে) দু’দিন খেলাধূলা করতে দেখে জিজ্ঞাসা করলেন, এ দু’দিন কিসের? সাহাবাগণ জবাবে বললেন, জাহেলী
যুগে আমরা এই দুই দিবসে খেলাধূলা বা আনন্দ প্রকাশ করতাম। অতপর রাসূলে পাক
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ ফরমালেন, আল্লাহ তায়ালা উপরি-উক্ত দিন দু’টির পরিবর্তে তা অপেক্ষা উত্তম দু’টি দিন তোমাদের খুশি প্রকাশ করার জন্য দান করেছেন- এর একটি হচ্ছে- ‘ঈদুল আদ্বহা’ এবং অপরটি হচ্ছে- ‘ঈদুল ফিতর’। তখন থেকেই ইসলামী শরীয়তে দু’টি ঈদ আনুষ্ঠান পালিত হয়ে আসছে।
ঈদের পরিচিতি
সর্বাধিক মহিমান্বিত ও সাওয়াবে ভর্তি মাস পবিত্র রামাদ্বানের পরেই চন্দ্র
বর্ষের দশম মাসের সূচনা দিনের মধ্য দিয়েই মাহে সাওয়ালের আগমন। সাওয়ালের বাঁকা চাঁদ
বয়ে আনে মুমিন মুসলমানের আনন্দ উৎসবের এক গুচ্ছ স্লোগান
ঈদ ঈদ ঈদ!
হে! মোবারক ঈদ!
তুমি আসবে বলে
চোখে নেই নিদ।
অর্থাৎ দীর্ঘ একমাস পবিত্র সিয়াম সাধনার পর সাওয়ালের প্রথম দিনে ইসলামী শরীয়তের প্রণেতা মুসলমানদের জন্য যে উৎসব নির্ধারণ করেছেন তা-ই হচ্ছে ‘ঈদুল ফিতর’। আমাদের জাতীয় কবি নজরুলের ভাষায় বলা যায়- ‘রমজানের ঐ রোজার শেষে এল খুশির ঈদ।’’ অপরদিকে চন্দ্র বছরের প্রান্তিক মাস হল জিলহজ্জ। এ মাসের দশম তারিখে পশু জবেহ্ করার মাধ্যমে যে উৎসব পালন করা হয় তা হচ্ছে ঈদুল আদ্বহা বা কুরবানীর ঈদ। উভয় ঈদের ঘোষণা আল্লাহর হাবীব রহমতে আলম (সাঃ) দ্বিতীয় হিজরী সনে জারী করেন।
ঈদ ঈদ ঈদ!
হে! মোবারক ঈদ!
তুমি আসবে বলে
চোখে নেই নিদ।
অর্থাৎ দীর্ঘ একমাস পবিত্র সিয়াম সাধনার পর সাওয়ালের প্রথম দিনে ইসলামী শরীয়তের প্রণেতা মুসলমানদের জন্য যে উৎসব নির্ধারণ করেছেন তা-ই হচ্ছে ‘ঈদুল ফিতর’। আমাদের জাতীয় কবি নজরুলের ভাষায় বলা যায়- ‘রমজানের ঐ রোজার শেষে এল খুশির ঈদ।’’ অপরদিকে চন্দ্র বছরের প্রান্তিক মাস হল জিলহজ্জ। এ মাসের দশম তারিখে পশু জবেহ্ করার মাধ্যমে যে উৎসব পালন করা হয় তা হচ্ছে ঈদুল আদ্বহা বা কুরবানীর ঈদ। উভয় ঈদের ঘোষণা আল্লাহর হাবীব রহমতে আলম (সাঃ) দ্বিতীয় হিজরী সনে জারী করেন।
ঈদুল ফিতরের তাৎপর্য
নানা দিক দিয়ে ঈদুল ফিতরের তাৎপর্য অপরিসীম। এ ব্যাপারে মহানবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম’র বাণী-প্রণিধানযোগ্য।
তিনি এরশাদ করেন, ‘‘যখন ঈদুল ফিতরের দিন আসে, তখন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যারা রোজা পালন করেছে; তাদের সম্পর্কে ফিরিশতাদের নিকট গৌরব করে বলেন- ‘‘ হে আমার ফিরিশতাগণ, তোমরা বলতো! যে শ্রমিক তার কাজ পুরোপুরি সম্পাদন করে তার প্রাপ্য কি হওয়া উচিত? উত্তরে ফিরিশতাগণ বললেন, হে মাবুদ! পুরোপুরি পারিশ্রমিকই তার প্রাপ্য। ফিরিশতাগণ, আমার বান্দা-বান্দীগণ তাদের প্রতি নির্দেশিত ফরজ আদায় করেছে, এমনকি দোয়া করতে করতে ঈদের (ওয়াজিব) নামাজের জন্য বের হয়ে গেছে। এমতাবস্থায়
আমার মহিমা, গরিমা, উচ্চ মর্যাদা ও উচ্চাসনের শপথ, আমি অবশ্যই তাদের প্রার্থনায় সাড়া দেব। এরপর নিজ বান্দাগণকে লক্ষ্য করে আল্লাহ
পাক ঘোষণা দেন; তোমরা
ফিরে যাও, ‘‘আমি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিলাম এবং তোমাদের সাধারণ পাপরাশিকে পুণ্যে পরিণত করে
দিলাম। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তখন তারা ক্ষমা প্রাপ্ত অবস্থায় (বাড়িতে) প্রত্যাবর্তন করে।’’ (আততারগীব ওয়াত তারহীব) ঈদুল ফিতর-এর ফযীলত ও তাৎপর্য
সম্পর্কে হযরত সাঈদ আনসারী (রা.) থেকে বর্ণিত। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, ঈদুল
ফিতরের দিনে আল্লাহর ফিরিশতাগণ রাস্তায় নেমে আসেন এবং গলিতে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে
বলতে থাকেন- মুসলমানগণ! তোমরা আল্লাহর দিকে দ্রুত ধাবিত হও। তিনি তোমাদের ক্ষুদ্র
ক্ষুদ্র ইবাদত কবুল করে অসংখ্য পুণ্য দান করে থাকেন। রোজা রাখার আদেশ করা হয়েছিল
তোমাদেরকে, তা
তোমরা পালন করেছো যথাযথভাবে। রাতেও জাগ্রত থেকে আল্লাহর ইবাদত করেছো। অতএব যাও, তাঁর নিকট থেকে গ্রহণ কর তোমাদের ইবাদতের প্রতিদান। (তাবারানী) হাদীসে কুদসীতে
আল্লাহ পাকের বাণী- ‘‘ রোজা আমার
জন্য এবং আমি নিজেই এর প্রতিদান দেব।’’ ঈদের দিনে আল্লাহ তায়ালার এ ঘোষণা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। ঈদ শুধু আনন্দই নয়, ইবাদতও বটে। এ প্রসঙ্গে হযরত আবু উমামা (রা.) বলেন, ‘‘ যে
ব্যক্তি ঈদের রাতে ঈমানের সাথে এবং সওয়াবের নিয়তে জাগ্রত থেকে ইবাদত করে, তার অন্তর কিয়ামতের বিভীষিকা হতে মুক্ত থাকবে।’’ মুয়াজ বিন জাবাল (রা.) হতে বর্ণিত আছে, ‘‘ যে
ব্যক্তি পাঁচটি রজনী জাগ্রত থেকে ইবাদত করে তার জন্য বেহেশত্ ওয়াজিব হয়ে যায়।
রজনীগুলো এই- জিলহজ্ব মাসের অষ্টম, নবম ও দশম তারিখের রাত, ঈদুল
ফিতরের রাত এবং শাবান মাসের পনের তারিখের রাত অর্থাৎ শবে বারাআত।’’ এতেই অনুধাবন করা যায় ঈদুল ফিতরের মাহাত্ম্য, গুরুত্ব ও তাৎপর্য।
ঈদুল ফিতরের শিক্ষা
ইসলামে কোন অনুষ্ঠানই অযথা বা অনর্থক পালনীয় নয়। এর মধ্যে নিহিত আছে
সুদূরপ্রসারী শিক্ষা। এ হিসেবে ঈদুল ফিতরে যেমন আছে আনন্দ ও ইবাদত, তেমনি আছে সুসংঘবদ্ধতার মহান শিক্ষা। বিশিষ্ট লেখক মুহাম্মদ মনজুর হোসেন খান’র ভাষ্য এখানে উল্লেখযোগ্য। তিনি বলেন, ‘‘ঈদ রুচিশীল ও মননশীল সংস্কৃতির শিক্ষা দেয়। ঈদ উৎসব সময়ানুবর্তিতা ও
নিয়মানুবর্তিতা শেখায়। চাঁদ দেখে রোজা শুরু করা ও শেষ করার মধ্য দিয়ে যেমন সময়ানুবির্ততা
শেখায় তেমনি ইফতার, সেহরি
ঈদগাহের নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়েও সময়ানুবর্তিতার শিক্ষা পাওয়া যায়। এভাবে
মুসলমানদের জীবনে ঈদুল ফিতর এক উজ্জ্বল ও সুন্দর শৃঙ্খলাবোধের সম্মিলন ঘটায়। মূলত
রামাদ্বান এক মাসের একটি প্রশিক্ষণ কোর্স। এ কোর্সের প্রশিক্ষক স্বয়ং আল্লাহ এবং
শিক্ষার্থী হল মুসলিম উম্মাহ। এর সিলেবাস রামাদ্বানের নিয়ম-কানুন এবং নম্বরপত্র
হচ্ছে তাকওয়া অর্জন, আর এর
সুদূরপ্রসারী ফলাফল হচ্ছে বাস্তব জীবনের প্রত্যেক ধাপে ধাপে প্রতিটি পদে পদে
তাকওয়ার সুচিন্তিত শিক্ষা।” এছাড়া মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য, শক্তি, শান্তি
ও প্রগতি তথা ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত হওয়ার বৈষয়িকতা ও আধ্যাত্মিকতার শিক্ষা পাওয়া
যায় ঈদুল ফিতর থেকে। ধনীর পক্ষ থেকে গরিবের প্রতি ঈদগায় যাওয়ার পূর্বেই যাকাত
প্রদান করে দয়া ও সহানুভূতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত মিলে ঈদুল ফিতরে।’ সকল মানুষের সমান অধিকার এ স্লোগানের উপাদান
ঈদুল ফিতরে বিদ্যমান। জাতীয় কবির কণ্ঠে তা বিবৃত হয়েছে এভাবে- ইসলাম বলে, সকলের তরে মোরা সবাই, / সুখ-দুখ
সমভাগ করে নেব সকলে ভাই,/ নাই
অধিকার সঞ্চয়ের।/ ঈদ্-অল্-ফিতর আনিয়াছে তাই নববিধান,/ ওগো সঞ্চয়ী উদ্বৃত্ত যা করিবে দান, / ক্ষুধার অন্ন হোক তোমার। ঈদের দিনে গোসল, নতুন পোশাক পরিধান, সুগন্ধি
ব্যবহার ইত্যাদির মাধ্যমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও উন্নত মন-মানসিকতার শিক্ষা
অর্জিত হয়। আসলে ঈদুল ফিতরের আনন্দ কাদের জন্যে। আমরা কি আদৌ ঈদের গুরুত্ব তাৎপর্য
ও শিক্ষা আমাদের জীবনে বাস্তবায়ন করতে চাই? মিশকাত শরীফের উর্দু তরজমা ও ব্যাখ্যা সম্বলিত ‘ মোজাহেরে হক’ গ্রন্থ থেকে একটা আরবি কবিতা এখানে প্রযোজ্য।
কবিতাটি এই-
১. লাইছাল্ ঈদু লিমান লাবিছাল্ জাদীদ
ইন্নামাল্ ঈদু লিমান আমিনা মিনাল্ ওয়ীদ।
২. লাইছাল্ ঈদু লিমান তাবাখ্খরা বিল্উদ
ইন্নামাল্ ঈদু লিত্-তায়িবিল্লাজি লাইয়াউদ।
৩. লাইছাল্ ঈদু লিমান তাজাইয়ানা বিজিনাতিদ্ দুন্ইয়া
ইন্নামাল্ ঈদু লিমান তাজাও ওয়াদা বিজাদিত্ তাকওয়া।
৪. লাইছাল্ ঈদু লিমান রাকিবাল মাত্বায়া
ইন্নামাল্ ঈদু লিমান তারাকাল খাত্বায়া।
৫. লাইছাল্ ঈদু লিমান বাছাতাল্ বিছাত্
ইন্নামাল ঈদু লিমান জাওয়াজাস্ সিরাত।
অর্থাৎ ১. ‘‘ যে ব্যক্তি নতুন পোশাক পরিধান করেছে তার জন্য ঈদ নয়, ঈদ সে ব্যক্তির জন্য যে আল্লাহর শাস্তি হতে নিরাপদ থাকে।
২. যে ব্যক্তি ঈদের সাথে সুগন্ধি ব্যবহার করে তার জন্য ঈদ নয়, ঈদ সেই তাওবাকারী ব্যক্তির জন্য, যে পুনরায় পাপাচারে লিপ্ত না হয়।
৩. দুনিয়ার সাজ সজ্জায় যে ব্যক্তি সজ্জিত হয় ঈদ সেই ব্যক্তির জন্য নয়, ঈদ সেই ব্যক্তির জন্য যে, আখিরাতের সম্বল তাকওয়া সঞ্চয় করেছে।
৪. সোয়ারীদের উপর আরোহনকারীর জন্য ঈদ নয়, ঈদ সেই ব্যক্তির জন্য যে পাপাচার ত্যাগ করেছে।
৫. যার জন্য বিছানা পাতানো হয়েছে, তার জন্য ঈদ নয়, ঈদ সেই ব্যক্তির জন্য যে পুলসিরাত অতিক্রম করেছে।
বিশ্বনবী রাহমাতুল্লিল আলামীনের ভাষ্যমতে ঈদুল ফিতরের দিনের নাম হল ইয়াওমুল জায়িজাহ্ বা প্রতিদান দিবস। এ দিনে যেন আমরা ভুলে না যাই ঐক্য, শান্তি, প্রগতি ও তাহযিব-তমদ্দুনকে। এ দিনটি হোক আমাদের জন্য আনন্দের বিশ্বাসের, ভ্রাতৃত্ববোধের। প্রতিটি মুমিনের আত্মা ভরপুর হোক তাকওয়ায়, রাব্বুল ইজ্জতের পাক দরবারে এটাই মোদের কামনা।
কবিতাটি এই-
১. লাইছাল্ ঈদু লিমান লাবিছাল্ জাদীদ
ইন্নামাল্ ঈদু লিমান আমিনা মিনাল্ ওয়ীদ।
২. লাইছাল্ ঈদু লিমান তাবাখ্খরা বিল্উদ
ইন্নামাল্ ঈদু লিত্-তায়িবিল্লাজি লাইয়াউদ।
৩. লাইছাল্ ঈদু লিমান তাজাইয়ানা বিজিনাতিদ্ দুন্ইয়া
ইন্নামাল্ ঈদু লিমান তাজাও ওয়াদা বিজাদিত্ তাকওয়া।
৪. লাইছাল্ ঈদু লিমান রাকিবাল মাত্বায়া
ইন্নামাল্ ঈদু লিমান তারাকাল খাত্বায়া।
৫. লাইছাল্ ঈদু লিমান বাছাতাল্ বিছাত্
ইন্নামাল ঈদু লিমান জাওয়াজাস্ সিরাত।
অর্থাৎ ১. ‘‘ যে ব্যক্তি নতুন পোশাক পরিধান করেছে তার জন্য ঈদ নয়, ঈদ সে ব্যক্তির জন্য যে আল্লাহর শাস্তি হতে নিরাপদ থাকে।
২. যে ব্যক্তি ঈদের সাথে সুগন্ধি ব্যবহার করে তার জন্য ঈদ নয়, ঈদ সেই তাওবাকারী ব্যক্তির জন্য, যে পুনরায় পাপাচারে লিপ্ত না হয়।
৩. দুনিয়ার সাজ সজ্জায় যে ব্যক্তি সজ্জিত হয় ঈদ সেই ব্যক্তির জন্য নয়, ঈদ সেই ব্যক্তির জন্য যে, আখিরাতের সম্বল তাকওয়া সঞ্চয় করেছে।
৪. সোয়ারীদের উপর আরোহনকারীর জন্য ঈদ নয়, ঈদ সেই ব্যক্তির জন্য যে পাপাচার ত্যাগ করেছে।
৫. যার জন্য বিছানা পাতানো হয়েছে, তার জন্য ঈদ নয়, ঈদ সেই ব্যক্তির জন্য যে পুলসিরাত অতিক্রম করেছে।
বিশ্বনবী রাহমাতুল্লিল আলামীনের ভাষ্যমতে ঈদুল ফিতরের দিনের নাম হল ইয়াওমুল জায়িজাহ্ বা প্রতিদান দিবস। এ দিনে যেন আমরা ভুলে না যাই ঐক্য, শান্তি, প্রগতি ও তাহযিব-তমদ্দুনকে। এ দিনটি হোক আমাদের জন্য আনন্দের বিশ্বাসের, ভ্রাতৃত্ববোধের। প্রতিটি মুমিনের আত্মা ভরপুর হোক তাকওয়ায়, রাব্বুল ইজ্জতের পাক দরবারে এটাই মোদের কামনা।
লেখক :
প্রাবন্ধিক; সিনিয়র শিক্ষক, সৎপুর দারুল হাদীস কামিল মাদরাসা, বিশ্বনাথ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন