বুধবার, ১ জুলাই, ২০১৫

পাপীদের রূহের অবস্থা"

রাসূল (সঃ) বলেন, ফেরেশতারা জাহান্নাম থেকে একটি কফিন নিয়ে তার কাছে নেমে আসে। মৃত্যুর ফেরেশতা এসে তার কাছে বসে এবং বলে, "হে পাপী আত্মা! আল্লাহ্‌র ক্রোধ এবং শাস্তির দিকে বেরিয়ে এসো।" তখন ভয়ে সেই পাপী বান্দার রূহ তার দেহের ভিতরে ছড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে এবং প্রতিটি স্নায়ু এবং মাংসপেশি আঁকড়ে ধরে টিকে থাকার চেষ্টা করবে। তা কিছুতেই বেরিয়ে আসতে চাইবেনা। মৃত্যুর ফেরেশতা এই অবাধ্য রূহকে টেনে বের করবেন। আল্লাহর রাসূল (সঃ) বলেন, এই রূহ টেনে বের করে আনাটা এতটাই কষ্টদায়ক হবে যে, যেভাবে একটা ভেজা উলের বল থেকে একটা কাঁটাযুক্ত গাছের ডাল টেনে বের করে আনা হয়।
এই ভয়াবহ অবস্থা সম্পর্কে আরও একবার ভাবুন! কাঁটাযুক্ত একটা ডালকে ভেজা উলের বল থেকে বের করে আনার কথা!
মৃত্যুযন্ত্রণায় সেই ব্যক্তির এক একটি স্নায়ু এবং পেশি ছিঁড়ে আসবে। সেই রূহ বের হয়ে আসার পর ফেরেশতারা তাকে পাকড়াও করার জন্য লাফিয়ে পড়বেন। তারা তাকে আটক করে জাহান্নামের সেই কফিনে ঢুকিয়ে ফেলবেন এবং আসমানের দিকে নিয়ে যাবেন। আল্লাহর রাসূল (সঃ) বলেন, সেই রূহ থেকে একটা বিশ্রী দুর্গন্ধ বের হবে এবং ফেরেশতাদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তারা তাকে অভিশাপ দেয়া শুরু করবে এবং জিজ্ঞেস করবে, "এটি কার রূহ?"
তখন বাহক ফেরেশতারা তাকে নিকৃষ্টতম নামে পরিচয় দেবেন। তারপর ফেরেশতারা তাকে প্রথম আসমানে নিয়ে যাবেন এবং আরো উপরে নিয়ে যাবার জন্য অনুমতি চাইবেন। কিন্তু তাদের জন্য আসমানের দরজাগুলো খোলা হবেনা।
তখন আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলবেন, "এই রুহকে নিম্নতম যমীনে নিক্ষেপ কর" তখন আল্লাহ্‌ অপমানের সাথে সেই রুহ কে নিচে ছুঁড়ে ফেলার আদেশ দিবেন।
এরপর রুহেরা ক্ববরে ফিরে যায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন