মদীনার একটি এলাকার নাম ‘সাখ’। এখানেই বাস করেন হযরত আবু বকর (রা:)। এই সাখ পল্লীর মানুষদেরকে তিনি বিভিন্নভাবে উপকার করতেন। তাদের বিভিন্ন কাজ করে দিতেন। যেমন, টাকা-পয়সা দিয়ে সাহায্য করা।
কাপড়-চোপড় দেয়া। ঘর দোর বানিয়ে দেয়া। এমনকি বকরীর দুধ দোহন করে পর্যন্ত দিতেন তিনি। এই সাখ পল্লীর একটি ছোট্ট মেয়ে। তার কেউ নেই। তার অনেকগুলো বকরী। সে এগুলোকে মাঠে নিয়ে ঘাস খাওয়ায়। লালন-পালন করে।
কিন্তু এত টুকুন ছোট্ট মেয়ে। সে তো আর এতগুলো বকরীর দুধ দোহন করতে পারে না। সেই পল্লীর সবার প্রিয় মানুষ আবু বকর। তিনিই এই ছোট্ট মেয়েটির বকরীর দুধ দোহন করে দেন। মাখন তৈরী করে দেন। একদিন আবু বকর খলীফা হলেন।
আবু বকর (রা:) হলেন ইসলামী রাষ্ট্রের প্রথম খলিফা। সাখ পল্লীল লোকেরা যেদিন জানলো আবু বকর ইসলামী রাষ্ট্রের শাসন কর্তা হয়েছেন। সে দিন তারা খুব খুশী হয়েছিল। আনন্দ-ফুর্তি করেছিল। শুধু ঐ ছোট্ট মেয়েটি খুশী হতে পারেনি।
সে লোকদের সাথে আনন্দেও শামিল হয়নি। সে দরজা বন্ধ করে ঘরে বসেছিল। অভিমানে কারো সাথে কথাও বলেনি। তবে খুব কেঁদেছিল।
লোকদের আনন্দের সময় আবু বকর (রা:) র মেয়েটির কথা মনে হলো। তিনি ছুটে গেলেন মেয়েটির বাড়ি। বাড়িতে গিয়েই আবু বকর অবাক হলেন। মেয়েটি কাঁদছে। কিন্তু কেন কাঁদছে?
তিনি মেয়েটিকে আদর করে জিজ্ঞেস করলেন-
ঃ কাঁদছো কেন মা?
মেয়েটি অভিমানে কথা বলে না। আবু বকর আবার জিজ্ঞেস করেন-
ঃ কি হয়েছে মা। বলনা শুনি। এবার মেয়েটি কথা বললো অভিমানের সুরে।
ঃ আপনাকে খলীফা হতে কে বলেছে?
ঃ কি করব বলো। লোকেরা আমাকে জোর করে খলীফা বানিয়ে দিয়েছে।
ঃ বলুন তো এখন আমার বকরীর দুধ দোহন করে দেবে কে? মাখন বানিয়ে দেবে কে? আপনি তো এখন খলীফা।
খলীফা কি আমার বকরীর দুধ দোহন করবে? মাখন বানিয়ে দেবে?
এবার আবু বকর হেসে ফেললেন। বললেন-
ঃ এই জন্যেই তুমি এত রাগ করে আছো? ভেবো না। আগে যেমন তোমার বকরীর দুধ দোহন করে দিতাম। মাখন বানিয়ে দিতাম। এখনো তাই দেব। খলীফ হয়েছি তো কি হয়েছে। খলীফা তো মানুষই। আমি আগে যা দিলাম এখনও তাই
আছি। এবার বকরীগুলো নিয়ে মাঠে যাও।
কাপড়-চোপড় দেয়া। ঘর দোর বানিয়ে দেয়া। এমনকি বকরীর দুধ দোহন করে পর্যন্ত দিতেন তিনি। এই সাখ পল্লীর একটি ছোট্ট মেয়ে। তার কেউ নেই। তার অনেকগুলো বকরী। সে এগুলোকে মাঠে নিয়ে ঘাস খাওয়ায়। লালন-পালন করে।
কিন্তু এত টুকুন ছোট্ট মেয়ে। সে তো আর এতগুলো বকরীর দুধ দোহন করতে পারে না। সেই পল্লীর সবার প্রিয় মানুষ আবু বকর। তিনিই এই ছোট্ট মেয়েটির বকরীর দুধ দোহন করে দেন। মাখন তৈরী করে দেন। একদিন আবু বকর খলীফা হলেন।
আবু বকর (রা:) হলেন ইসলামী রাষ্ট্রের প্রথম খলিফা। সাখ পল্লীল লোকেরা যেদিন জানলো আবু বকর ইসলামী রাষ্ট্রের শাসন কর্তা হয়েছেন। সে দিন তারা খুব খুশী হয়েছিল। আনন্দ-ফুর্তি করেছিল। শুধু ঐ ছোট্ট মেয়েটি খুশী হতে পারেনি।
সে লোকদের সাথে আনন্দেও শামিল হয়নি। সে দরজা বন্ধ করে ঘরে বসেছিল। অভিমানে কারো সাথে কথাও বলেনি। তবে খুব কেঁদেছিল।
লোকদের আনন্দের সময় আবু বকর (রা:) র মেয়েটির কথা মনে হলো। তিনি ছুটে গেলেন মেয়েটির বাড়ি। বাড়িতে গিয়েই আবু বকর অবাক হলেন। মেয়েটি কাঁদছে। কিন্তু কেন কাঁদছে?
তিনি মেয়েটিকে আদর করে জিজ্ঞেস করলেন-
ঃ কাঁদছো কেন মা?
মেয়েটি অভিমানে কথা বলে না। আবু বকর আবার জিজ্ঞেস করেন-
ঃ কি হয়েছে মা। বলনা শুনি। এবার মেয়েটি কথা বললো অভিমানের সুরে।
ঃ আপনাকে খলীফা হতে কে বলেছে?
ঃ কি করব বলো। লোকেরা আমাকে জোর করে খলীফা বানিয়ে দিয়েছে।
ঃ বলুন তো এখন আমার বকরীর দুধ দোহন করে দেবে কে? মাখন বানিয়ে দেবে কে? আপনি তো এখন খলীফা।
খলীফা কি আমার বকরীর দুধ দোহন করবে? মাখন বানিয়ে দেবে?
এবার আবু বকর হেসে ফেললেন। বললেন-
ঃ এই জন্যেই তুমি এত রাগ করে আছো? ভেবো না। আগে যেমন তোমার বকরীর দুধ দোহন করে দিতাম। মাখন বানিয়ে দিতাম। এখনো তাই দেব। খলীফ হয়েছি তো কি হয়েছে। খলীফা তো মানুষই। আমি আগে যা দিলাম এখনও তাই
আছি। এবার বকরীগুলো নিয়ে মাঠে যাও।
মেয়েটি আবু বকর (রা:) র কথা মন দিয়ে শুনছিল। এতক্ষণে মেয়েটির মুখে হাসির রেখা ফুটে উঠলো। একটা তৃপ্তির নিঃশ্বাস ছেড়ে বকরীগুলো নিয়ে মেয়েটি মাঠে চলে গেল।
>>>আবুবকর (রা:) একটি রাষ্ট্রের শাসনকর্তা হয়েও একজন শিশুর মুখে হাসি ফুটানোর জন্য শিশুটির যাবতীয় কাজ নিজের হাতে করে দিতেন।
আল্লাহ আমাদের সবার মধ্যে মায়া,মহব্বত ও ভালোবাসা বাড়িয়ে এক ভাই কে অন্য ভাইয়ের সুখে দুঃখের সংগী করে তুলুক। আমীন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন